এস কে সুর ও তার পরিবারের ৫ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ফ্রিজ
Published: 20th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সীতাংশু কুমার সুর, তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, এফডিআর, আমানত ও সঞ্চয়পত্রে জমানো ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৭ টাকা ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন ফ্রিজের আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, এস কে সুর অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি, অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর, রূপান্তরসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সম্পৃক্ত ধারার অপরাধের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী ৪৪ লাখ ১৭ হাজার ৭০০ টাকার স্থাবর ও ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার অস্থাবর। সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর ব্যাংকে স্থিতি ১৫ লাখ ২৩ হাজার ১৪৮ টাকা। তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার স্থাবর। সুপর্ণা সুর চৌধুরীর ব্যাংকে স্থিতি ৮৪ লাখ ২৯ হাজার ০৮৭ টাকা এবং কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকার স্থাবর, কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর ব্যাংকে স্থিতি ১ কোটি ১৪ লাখ ১২ হাজার ৮৬২ টাকা অর্থাৎ মোট ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৭ টাকার সম্পদ দখলে রেখেছেন বা মালিকানা অর্জন করেছেন। যা সাবেক ডেপুটি গভর্নর জনাব সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারি চাকরির সুবাদে দুর্নীতির মাধ্যমে অসাধু উপায়ে নিজ, স্ত্রী ও কন্যার নামে অর্জন করেছেন এবং তাদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে এবং নিয়মিত মামলা দায়েরের পূর্বেই তারা এসব সম্পত্তি স্থানান্তর করতে পারেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এইসব সম্পত্তি স্থানান্তর করা হলে অনুসন্ধান কার্যক্রমের ফলাফল শূন্য হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে উক্ত সম্পত্তি ক্রোক করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ১৮(১) অনুযায়ী উক্ত সম্পত্তির এখতিয়ারাধীন বিজ্ঞ স্পেশাল জজ আদালতের অনুমতি প্রয়োজন।
এমতাবস্থায়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী, তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী এবং কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরী এর নামে বর্ণিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা প্রয়োজন।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: নন দ ত স পর ণ স থ বর
এছাড়াও পড়ুন:
কথা রাখেনি দীঘি,যোগ হলেন পূজা
বছরের শুরুতে ‘টগর’ নামে নতুন এক সিনেমার নাম ঘোষণা করেন পরিচালক আলোক হাসান। অ্যানাউন্সমেন্ট টিজারে সেদিন নায়ক আদর আজাদের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল প্রার্থনা ফারদীন দীঘিকে। দেড় মাস পর জানা গেল, ‘টগর’ নামের সেই ছবি থেকে বাদ পড়েছেন দীঘি। আর দীগি যে চরিত্রের জন্য চূড়ান্ত হয়েছিলেন, সেটি করছেন পূজা চেরী। এরই মধ্যে দীঘিকে বাদ দিয়ে পূজা চেরীর সঙ্গে চুক্তিপত্রের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নিয়েছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। আজ শনিবার প্রকাশিত হওয়া মোশন পোস্টারে আদর আজাদের সঙ্গে দেখা গেল পূজা চেরীকে।
দীঘিকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে জানতে পরিচালক আলোক হাসান বলেন, ‘দীঘির মধ্যে পেশাদারত্বের অভাব পেয়েছি। আমাদের সঙ্গে ছবিটি নিয়ে কথাবার্তা হওয়ার পর থেকেই কোনো ধরনের যোগাযোগ করেনি। স্ক্রিপ্ট পর্যন্ত পড়েনি। এমনকি তাঁর সঙ্গে ছবিটি নিয়ে আরও যা যা বিষয়ে কথাবার্তা হয়েছে, কোনো কথা রাখেননি দীঘি। তাই আমাদেরকে বাধ্য হয়ে ছবিটি থেকে দীঘিকে বাদ দেওয়ার মতো সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে।’
তবে দীঘির সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত কোনো জটিলতা নেই। একজন পরিচালক হিসেবে নায়িকার মধ্যে পেশাদারি আচরণ না দেখার কারণে আমাকে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। এটা পুরোপুরি ছবির স্বার্থে। তা না হলে একজন শিল্পীকে সাইন করিয়ে, টিজার শুট করিয়ে তাঁকে বাদ দেওয়ার তো কোনো কারণ নেই। একটা টিজার শুট করার পেছনেও তো বিনিয়োগ করতে হয়েছে। সেটাও তো কোনো ছোট বিনিয়োগ নয়।