সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সীতাংশু কুমার সুর, তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ও মেয়ে নন্দিতা সুর চৌধুরীর বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, এফডিআর, আমানত ও সঞ্চয়পত্রে জমানো ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৭ টাকা ফ্রিজের (অবরুদ্ধ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের উপপরিচালক নাজমুল হুসাইন ফ্রিজের আবেদন করেন।

আবেদনে বলা হয়, এস কে সুর অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব ফাঁকি, অবৈধ সম্পদ অর্জন, অর্থ স্থানান্তর, হস্তান্তর, রূপান্তরসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সম্পৃক্ত ধারার অপরাধের অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য তিন সদস্যের অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।

সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী ৪৪ লাখ ১৭ হাজার ৭০০ টাকার স্থাবর ও ১ কোটি ৮৫ লাখ টাকার অস্থাবর। সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর ব্যাংকে স্থিতি ১৫ লাখ ২৩ হাজার ১৪৮ টাকা। তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার স্থাবর। সুপর্ণা সুর চৌধুরীর ব্যাংকে স্থিতি ৮৪ লাখ ২৯ হাজার ০৮৭ টাকা এবং কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর ৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকার স্থাবর, কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরীর ব্যাংকে স্থিতি ১ কোটি ১৪ লাখ ১২ হাজার ৮৬২ টাকা অর্থাৎ মোট ৫ কোটি ৭৬ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৭ টাকার সম্পদ দখলে রেখেছেন বা মালিকানা অর্জন করেছেন। যা সাবেক ডেপুটি গভর্নর জনাব সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী বাংলাদেশ ব্যাংকে সরকারি চাকরির সুবাদে দুর্নীতির মাধ্যমে অসাধু উপায়ে নিজ, স্ত্রী ও কন্যার নামে অর্জন করেছেন এবং তাদের জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ বলে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে এবং নিয়মিত মামলা দায়েরের পূর্বেই তারা এসব সম্পত্তি স্থানান্তর করতে পারেন বলে প্রতীয়মান হয়েছে। এইসব সম্পত্তি স্থানান্তর করা হলে অনুসন্ধান কার্যক্রমের ফলাফল শূন্য হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

অভিযোগটি সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে উক্ত সম্পত্তি ক্রোক করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ এর বিধি ১৮(১) অনুযায়ী উক্ত সম্পত্তির এখতিয়ারাধীন বিজ্ঞ স্পেশাল জজ আদালতের অনুমতি প্রয়োজন।

এমতাবস্থায়, অভিযোগসংশ্লিষ্ট সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী, তার স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরী এবং কন্যা নন্দিতা সুর চৌধুরী এর নামে বর্ণিত স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করা প্রয়োজন।

বিএইচ

.

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: নন দ ত স পর ণ স থ বর

এছাড়াও পড়ুন:

আইপিএলে মাঠেই কেন ব্যাট পরীক্ষা করা হচ্ছে

টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটে ব্যাট ও বলের লড়াইয়ে ভারসাম্য নেই। এবার আইপিএল শুরুর আগে কথাটা বলেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার কাগিসো রাবাদা। এর আগে–পরে বলেছেন আরও অনেকেই। কারণটা প্রায় সবার জানা। টি–টোয়েন্টিতে এখন দলগুলো ২০০ পেরিয়ে ৩০০ রান তোলার চেষ্টায় মত্ত। রাবাদার মতে, এভাবে চলতে থাকলে খেলাটির নাম ‘ক্রিকেট’ পাল্টে ‘ব্যাটিং’ রাখা উচিত।

রাবাদার এ কথা নিশ্চয়ই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কানেও পৌঁছেছে। তাই গত রোববার জয়পুর ও দিল্লিতে আইপিএলের দুটি ম্যাচে দেখা গেছে অন্য রকম এক দৃশ্য। দুটি ম্যাচেই মাঠের আম্পায়াররা ক্রিজে আসা ব্যাটসম্যানদের ব্যাটের আকার পরীক্ষা করেন। আইপিএলের ইতিহাসে এমন কিছু এর আগে দেখা যায়নি। ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডে জানিয়েছে, আইপিএলে এবারই প্রথমবারের মতো মাঠের আম্পায়ারদের ম্যাচের মধ্যেই ব্যাটের আকার পরীক্ষা করার নির্দেশ দিয়েছে বিসিসিআই।

আরও পড়ুনচূড়ান্ত হলো ভারতের বাংলাদেশ সফরের সূচি৫ ঘণ্টা আগে

ব্যাট নিয়মসিদ্ধ আকার অনুযায়ী বানানো হয়েছে কি না, সেটা একটি মাপার বস্তুর মাধ্যমে মাঠেই পরীক্ষা করেন আম্পায়াররা। অতীতে এ পরীক্ষাগুলো ড্রেসিংরুমে করা হতো। কিন্তু রোববার খেলার সময় মাঠেই তা দেখা গেছে। ব্যাটসম্যানদের ব্যাট যদি নিয়ম অনুযায়ী বানানো হয়, তাহলে এ যন্ত্রের সঙ্গে খাপে খাপে মিলে যাবে কিংবা সহজেই এই মাপের মধ্যে প্রবেশ করবে। আকার বড় হলে প্লাস্টিকের এই ত্রিভুজাকৃতির গেজের মধ্যে ব্যাটটি প্রবেশ করবে না কিংবা বাধাপ্রাপ্ত হবে। গেজের গায়ে ব্যাটের নিয়মসিদ্ধ আকারও লেখা আছে—পুরুত্ব ২.৬৮ ইঞ্চি, চওড়া ৪.৩৩ ইঞ্চি, কানা ১.৬১ ইঞ্চি এবং ব্যাটের উল্টো দিকে থাকা বাঁকানো অংশ হবে ০.২০ ইঞ্চির মধ্যে।

ব্যাটের আকার মাপার গেজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ