প্রবাস জীবনে দেশের স্মৃতিচারণ আর খোশগল্পে মেতে উঠলেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইর্য়কে বসবাসকারী দিনাজপুর জেলা সমিতির সদস্যরা। বাংলাদেশে যেকোনো উন্নয়ন কিংবা দুর্যোগে এগিয়ে আসার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার অঙ্গীকার করেন। দেশ নিয়ে নানা পরিকল্পনার কথাও জানান নিউইর্য়কের দিনাজপুর জেলা সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক অনুষ্ঠানে। তারা জানান- প্রবাস জীবনে এভাবে একত্রিত হওয়াটাই অনেক আনন্দের।

কুইন্সে বাংলাদেশি অধ্যুষিত এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে অভিষেক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি ছিল মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত ও বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এটা অভিষেক অনুষ্ঠানের আয়োজন হলেও সবার মাঝে ছিল ভিন্ন ধরনের আমেজ। বাংলা ভাষা-ভাষী মানুষ তারপর আবার সবাই এক জেলার সেজন্য আমেজটাও ছিল ভিন্নরকম। 

নতুন কমিটির সভাপতি মো.

জাবেদ চৌধুরী ভুট্রু ও সাধারণ সম্পাদক মো. বিপুল সরকার শপথ গ্রহণের পর বলেন, সমিতিকে সুসংগঠিত করে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে।অভিষেক অনুষ্ঠানে সভাপতির দায়িত্বে পালন করেন সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা ড. রুহুল কুদ্দুস। তিনি বলেন, বাংলাদেশি আমেরিকানদের মূলধারার রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার সময় এসেছে। সবার মাঝে একতা তৈরি হলে তা সম্ভব হবে। অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন আরিফুর রহমান।

অনুষ্ঠানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সুর আর সংগীতের মূর্ছনার মেতে উঠেছিল সবাই। নিউ ইয়র্কে বসবাসকারী দিনাজপুরের অনেক পরিবার পরিজন নিয়ে উপস্থিত হন। অনুষ্ঠানটি দিনাজপুরবাসীর মিলনমেলায় পরিণত হয়। 

২৯ সদস্যের এই নতুন কমিটি ২০২৫-২৬ মেয়াদের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন। সংগঠনটির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন মো. জাবেদ চৌধুরী ভুট্টু, সাধারণ সম্পাদক মো. বিপুল সরকার, সহ-সভাপতি ফতেনূর আলম বাবু, সহ-সভাপতি মো. গোলাম কিবরিয়া, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম বাপ্পি, সহ-সভাপতি আমিনুর রহমান ইনসান, সহ-সভাপতি ডা. মহিদুল চৌধুরী, যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মোস্তাক আহমেদ, শাহীন চৌধুরী, শামীম সরকার, এফ আলম (নিউমুন), যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মো. লুতফর রহমান, কোষাধ্যক্ষ মাসুদ বেগ, যুগ্ম কোষাধ্যক্ষ এস রহমতুল্লাহ, সাহিত্য ও প্রচার সম্পাদক আমিনুর ইসলাম, যুগ্ম সাহিত্য ও প্রচার সম্পাদক আরিফুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক তারিকুল ইসলাম, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক রানা পারভেজ, ক্রীড়া সম্পাদক শফি উল্লাহ, যুগ্ম ক্রীড়া সম্পাদক কিবরিয়া হাবিব, আপ্যায়ন সম্পাদক সামিউর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক ডা. নার্গিস রহমান, সহ-সাংস্কৃতিক সম্পাদক ফারহানা চিশতী, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা বিলকিস বি. চৌধুরী, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক, শেখ জুয়েল, কার্যকরী সদস্য  তারেক জাহেরী, কার্যকরী সদস্য টি. ইসলাম, কার্যকরী সদস্য শামিমা ইসলাম সুমী ও কার্যকরী সদস্য আব্দুর রশিদ।   

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ম লনম ল ন উইয়র ক অন ষ ঠ ন র ক র যকর র রহম ন সদস য ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পথ দেখাবে সৃজনশীল ক্লাব

বুটেক্স বাঁধন 

স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন  ‘বাঁধন’ ১৯৯৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ লাখের অধিক ব্যাগ রক্ত দিয়েছে। ‘একের রক্ত অন্যের জীবন, রক্তই হোক আত্মার বাঁধন’ স্লোগানকে সামনে রেখে সংগঠনটি দেশের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কাজ করছে। বর্তমানে দেশের মোট ৫৪টি জেলায় ৮১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাঁধনের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সম্পূর্ণরূপে অরাজনৈতিক, অসাম্প্রদায়িক, ধর্মনিরপেক্ষ এবং স্বেচ্ছাসেবী এই সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশের ছাত্র এবং তরুণ প্রজন্মকে স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধ করে চলেছে।
বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুটেক্স) ২০০৬ সালের ২৪ মে বাঁধনের কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘ ১৮ বছরে ধরে নিরলসভাবে মানবতার সেবার জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাচ্ছে এই সংগঠনটি। বর্তমানে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন ইমন কুমার সাহা এবং সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন আফিফ ইসলাম সাজিদ। বুটেক্সের সিনিয়র হোক কিংবা জুনিয়র যখনই জরুরি ভিত্তিতে রক্তের প্রয়োজন হয় তখনই সবারই নির্ভরতার জায়গা বুটেক্স বাঁধন।
দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে মানুষের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে যাওয়া এই সংগঠনটি শুধু রক্ত ব্যবস্থা করার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বরং শীতকালে ও ঈদে অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ, ক্যাম্পাসের সব শিক্ষার্থী-বাঁধনকর্মী-উপদেষ্টাদের নিয়ে ইফতার আয়োজন, বার্ষিক ভ্রমণ, নবীন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ব্লাড গ্রুপিং, রক্তদাতাদের সংবর্ধনা ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজনও করে এই সংগঠনটি। বছরজুড়ে বাঁধনের নানা আয়োজন থাকলেও তাদের প্রধান আয়োজন হলো বিদায়ী ব্যাচের শিক্ষার্থীদের দাতা সংবর্ধনা ও নবাগত শিক্ষার্থীদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান। ২৯তম  ব্যাচের মো. শামীম রেজা (আহ্বায়ক) এবং কে. এম. আবদুন নূর (সদস্য সচিব) এর হাত ধরে স্বেচ্ছায়  রক্তদানের এই মহৎ কার্যক্রমটি বুটেক্সে চালু হয়।   বর্তমানে বাঁধনের বুটেক্স ইউনিটের ১৯তম কমিটিতে মোট ১৭ জন সাংগঠনিক সদস্য রয়েছেন।

সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব

‘স্টেপস টুওয়ার্ড ইয়োর ড্রিম’ স্লোগানে ২০১২ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি একঝাঁক স্বপ্নবাজ তরুণের হাতে গড়ে ওঠে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যারিয়ারবিষয়ক সংগঠন ‘সাস্ট ক্যারিয়ার ক্লাব’। পড়ালেখা শেষ করে অনেক শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে যাবেন নাকি বিসিএস ক্যাডার, ব্যাংকার, করপোরেট চাকরি, উদ্যোক্তা হবেন– এসব নিয়ে থাকেন দ্বিধাগ্রস্ত। আর এমন সিদ্ধান্তহীনতায় নষ্ট হয়ে যায় অনেকটা সময়। এসব শিক্ষার্থীকে সহায়তার জন্য কাজ করে যাচ্ছে সংগঠনটি। শুরু থেকে ৩ হাজার ৫০০ জনের বেশি সদস্য ক্লাবটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে সঙ্গে নিয়ে ক্লাবটি প্রতিবছর ক্যাম্পাসে ‘জব ফেস্ট’ বা ‘চাকরি মেলার’ আয়োজন করে। সংগঠনটি নবীন শিক্ষার্থীদের তিনটি ধাপে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা এবং একটি বিষয়ের ওপর প্রেজেন্টেশন নিয়ে ‘ট্যালেন্ট হান্ট’ করে থাকে। এ ছাড়া দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নিয়ে ‘মাস্টারমাইন্ড’ নামে একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করে থাকে তারা। প্রতি সপ্তাহে কুইজ প্রতিযোগিতা, গবেষণা-সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে ধারণার জন্য ‘রিসার্চ টক’, শিক্ষা, সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ ও বিভিন্ন সাম্প্রতিক ইস্যু নিয়ে ‘নলেজ টক’ নামে সেমিনার আয়োজন করে।v

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা চায় অ্যাকসেসরিজ খাত
  • রপ্তানিতে নগদ প্রণোদনা চায় অ্যাকসেসরিজ খাত 
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল বন্ধ
  • নতুন বাংলাদেশের প্রত্যয়ে প্রাচ্যনাটের ‘লালযাত্রা’
  • নতুন বাংলাদেশের প্রত্যয়ে প্রাচ্যনাটের `লালযাত্রা'
  • বৃহত্তর নোয়াখালী ইউনিটি নারায়ণগঞ্জের দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত
  • বিদেশে পড়ালেখার নানা তথ্য মেলে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এই প্ল্যাটফর্মে
  • পথ দেখাবে সৃজনশীল ক্লাব