মা ও দুই শিশুসহ চার জিম্মির মরদেহ গাজা থেকে ইসরায়েলে ফিরল
Published: 20th, February 2025 GMT
হামাসের হাতে জিম্মি থাকা দুই শিশু, মাসহ চারজনের মরদেহ আজ বৃহস্পতিবার ফিলিস্তিনের গাজা থেকে ইসরায়েলে ফিরেছে। এর আগে সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, উপত্যকাটিতে ইসরায়েলি বিমান হামলায় এ জিম্মিরা নিহত হয়েছেন।
ওই দুই শিশুর নাম কেফির বিবাস ও অ্যারিয়েল বিবাস (৪)। মা শিরি বিবাস। চতুর্থ যে জিম্মির মরদেহ ফেরত দেওয়া হয়েছে, তিনি ওদেদ লিফশিৎজ।
যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে এবং কাতার ও মিসরের মধ্যস্থতায় গত মাসে হামাস এবং ইসরায়েলের মধ্যে সই হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় জিম্মি মুক্তি দেওয়া হচ্ছে। বিপরীতে ইসরায়েলের কারাগারগুলোয় দিনের পর দিন আটক থাকা অনেক ফিলিস্তিনি মুক্তি পাচ্ছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভিডিও বার্তায় বলেন, ‘ইসরায়েল রাষ্ট্রের জন্য বৃহস্পতিবার (আজ) ভীষণ কঠিন একটি দিন, বিষণ্ন একটি দিন, শোকের একটি দিন।’
বিবাস পরিবারের সদস্যরা ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের কিবুতজ নির ওজ এলাকা থেকে হামাসের হাতে জিম্মি হন। তখন কেফিরের বয়স ছিল মাত্র নয় মাস। জিম্মি করা হয় কেফির ও অ্যারিয়েলের বাবা ইয়ারদেন বিবাসকেও।
গত বছরের নভেম্বরে হামাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইসরায়েলি বিমান হামলায় জিম্মি ওই মা ও দুই শিশু নিহত হয়েছে। তবে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ কখনোই তাদের নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেনি। এমনকি শেষ মুহূর্তেও ইসরায়েলের কেউ কেউ তাদের মৃত বলে মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুনইসরায়েলি আগ্রাসনে পশ্চিম তীরে ৫৮ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বাস্তুচ্যুতি১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫এর আগে চলতি মাসে যুদ্ধবিরতি চুক্তির আওতায় গাজা থেকে মুক্তি পেয়েছেন ইয়ারদেন বিবাস। তবে পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, দুই শিশু ও মায়ের ভাগ্যে কী ঘটেছে, সেটি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তাদের অপেক্ষা শেষ হচ্ছে না।
এখন দুই শিশু ও মাসহ চারজনের মরদেহ ফেরানোর মধ্য দিয়ে গাজা থেকে ইসরায়েলে প্রথমবারের মতো কোনো মৃত জিম্মিকে নেওয়া হলো। এখন মরদেহগুলোর ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে ইসরায়েলের কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনগাজায় দ্বিতীয় ধাপে যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলতি সপ্তাহে আলোচনা শুরু করবে ইসরায়েল১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনট্রাম্প কি গাজা দখলের পরিকল্পনা থেকে সরে আসছেন১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইসর য় ল র ক র মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
২০২৬ বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে নিজের সঙ্গে ‘সৎ’ থাকতে চান মেসি
আর্জেন্টিনার ফুটবল নিয়ে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন সম্ভবত—লিওনেল মেসি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন কি না? মেসি নিজেই এ নিয়ে কথা বলেছেন এর আগে। গত বছর নভেম্বরে ইতালিয়ান সাংবাদিক ফ্যাব্রিজিও রোমানোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মেসি জানিয়েছিলেন, ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন কি না, তিনি এখনো নিশ্চিত নন। আগে বছরটা ভালোভাবে শেষ করতে চান। ২০২৬ বিশ্বকাপের পথে এগোতে চান প্রতিটি দিন ধরে ধরে।
আরও পড়ুনইউনাইটেডের অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনে শিশুটির চোখে পানি, ঠোঁটে হাসি১ ঘণ্টা আগেআর্জেন্টিনা কোচ লিওনেল স্কালোনি মেসির আগামী বিশ্বকাপে খেলার সম্ভাবনা নিয়ে কথা বলেছেন গত মার্চে। ২০২৬ বিশ্বকাপ বাছাইয়ে ব্রাজিলকে হারানোর পর স্কালোনি বলেছিলেন, দেখা যাক কী হয়, এখনো তো হাতে সময় আছে। মেসির সিদ্ধান্ত মেসিকেই নিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন স্কালোনি।
মেসি ২০২৬ বিশ্বকাপে খেলবেন কি না, এই প্রশ্নের উত্তর এখনো মেলেনি