সাফজয়ী নারী ফুটবল দলের হাতে একুশে পদক
Published: 20th, February 2025 GMT
বাংলাদেশের নারী ফুটবল দলের সাফল্যের মুকুটে যুক্ত হলো আরও একটি গৌরব। টানা দুইবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ জয়ের স্বীকৃতি হিসেবে একুশে পদক পেয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় নারী ফুটবল দল। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে একুশে পদক তুলে দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দলের পক্ষে পদক গ্রহণ করেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন ও সহ-অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। এ সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন সাফজয়ী দলের অন্যান্য ফুটবলাররাও।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সাবিনা খাতুন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সাবেক সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, বর্তমান সভাপতি তাবিথ আউয়াল ও নারী ফুটবল উইংয়ের প্রধান মাহফুজা আক্তার কিরণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
২০২২ সালে প্রথমবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ নারী দল। এরপর ২০২৪ সালে নেপালকে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো শিরোপা ঘরে তোলে সাবিনারা। সাফজয়ী সেই দলে ছিলেন রূপনা চাকমা, ইয়ারজান বেগম, মিলি আক্তার, মাসুরা পারভীন, কোহাতি কিসকু, আফিদা খন্দকার, নিলুফা ইয়াসমিন, শামসুন্নাহার সিনিয়র, শিউলি আজিম, মনিকা চাকমা, মারিয়া মান্দা, মুনকি আক্তার, স্বপ্না রানী, আইরিন আক্তার, মাতসুশিমা সুমাইয়া, শাহেদা আক্তার রিপা, ঋতুপর্ণা চাকমা, তহুরা খাতুন, শামসুন্নাহার জুনিয়র, সাবিনা খাতুন, কৃষ্ণা রানী সরকার, সানজিদা আক্তার ও মোসাম্মাৎ সাগরিকা। সেরা গোলরক্ষকের পুরস্কার জিতেছিলেন রূপনা চাকমা, আর টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছিলেন ঋতুপর্ণা চাকমা।
বাংলাদেশ নারী দল সর্বশেষ সাফ শিরোপা জিতেছিল কোচ পিটার বাটলারের অধীনে। তবে সম্প্রতি বাটলারের কোচিং নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে ১৮ জন নারী ফুটবলার অনুশীলন বর্জন ও গণ-অবসরের হুমকি দেন। এমন টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যেই আসে নারী ফুটবলারদের জন্য এই বিরল সম্মাননা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: এক শ পদক ন র ফ টবল ফ টবল
এছাড়াও পড়ুন:
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে বৃষ্টি
দেশের চার বিভাগে বৃষ্টির আভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার ঢাকা, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও খুলনা বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার আভাস দেয় সংস্থাটি। এদিন সকাল থেকেই ঢাকার আকাশ ছিল মেঘলা ও ধোয়াশাচ্ছন্ন। আকাশের গুমোট ভাব দেখে বৃষ্টির সম্ভাবনা অনুমান করা যাচ্ছিল। ভ্যাপসা গরমে দুপুরে হঠাৎ করেই রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে নামল বৃষ্টি।
দুপুর ১টা বেজে ৪৫ মিনিটে ধুলোবালির নগরে প্রশান্তি এনে দিল এই বৃষ্টি।
অপ্রস্তুত কাউকে এসময় দেখা গেছে ছাতা ছাড়া ফুটওভার ব্রিজে বৃষ্টি কমার অপেক্ষায় থাকতে, কাউকে বা বৃষ্টিতে ভিজে বাসে উঠতে। কেউ বা ছাতা হাতে সড়ক পারাপার হচ্ছেন।
এমন বৃষ্টিতে পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় সড়কে থাকা যাত্রী ও পথচারীদের কিছুটা ভোগান্তি পোহাতেও দেখা গেছে। তবে বৃষ্টির কারণে ধুলোবালি কিছুটা কমে যাওয়ায় স্বস্তি পেতেও দেখা গেছে নগরবাসীকে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাস বলছে, আগামীকাল রোববার শেষ রাত থেকে ভোর পর্যন্ত সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। রাত এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, আজকের বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হালনাগাদ হওয়া পরবর্তী তথ্যে জানা যাবে। তবে আগামী সোমবার বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সোমবার থেকে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।
এদিকে মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে। আগামীকাল এর আওতা আরও বাড়তে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলেও পূর্বাভাস রয়েছে।
আগামীকাল রোববারের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দুই-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এদিন সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে দিনের তাপমাত্রা এক থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে।