মহান শহীদ দিবসে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার র্যাবের
Published: 20th, February 2025 GMT
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এই উপলক্ষসহ দিবসটি ঘিরে আজ বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীসহ সারা দেশে নিরাপত্তা জোরদার করেছে র্যাব।
আজ র্যাব সদর দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দিবসটিকে কেন্দ্র করে যেকোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ঠেকাতে ঢাকাসহ সারা দেশে পর্যাপ্তসংখ্যক র্যাব সদস্যকে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছে। নিষিদ্ধঘোষিত দল ও সংগঠনের সদস্যরা যেন শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারেন, সে বিষয়েও তৎপর রয়েছে র্যাব।
সার্বিকভাবে সব ধরনের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে র্যাব আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে (২১ ফেব্রুয়ারি) নিরাপত্তা জোরদার করেছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগাম পদক্ষেপ হিসেবে গতকাল বুধবার থেকে র্যাবের সাদাপোশাকধারী গোয়েন্দা নজরদারি বাড়িয়ে বিশেষ নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে র্যাব-৩-এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় পর্যবেক্ষণ পোস্ট ও তল্লাশিচৌকি স্থাপনের মাধ্যমে অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সমন্বয় করে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করা হবে।
শহীদ মিনারের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে র্যাবের বোমা উদ্ধার ও নিষ্ক্রিয়করণ ইউনিটসহ ডগ স্কোয়াড কাজ করবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য র্যাবের বিশেষ ইউনিট সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে শহীদ মিনারমুখী রাস্তার মোড়ে তল্লাশিচৌকি স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের তল্লাশির মাধ্যমে যথাযথ নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। শহীদ মিনারসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানস্থলে আসা নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ ইভটিজিং বা যেকোনো ধরনের হয়রানি প্রতিরোধে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে র্যাব।
ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন মহানগরের এলাকা, বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সব শহীদ মিনার এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে জানায় র্যাব।
সংস্থাটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভার্চ্যুয়াল–জগতে যেকোনো গুজব, উসকানিমূলক তথ্য ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে সংস্থাটির সাইবার মনিটরিং টিম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রাখছে।
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে সবার সহযোগিতা কামনা করছে র্যাব। এ সময়ে যেকোনো বিশৃঙ্খলা দেখা দিলে জেলা, মহানগর এলাকা ও থানাভিত্তিক স্থানীয় র্যাবের সহযোগিতা পেতে টহল ইনচার্জ বা দায়িত্বপ্রাপ্ত র্যাব ব্যাটালিয়ন অধিনায়ককে জানানোর জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে সংস্থাটি।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মধ্যনগরে অনির্দিষ্টকালের ১৪৪ ধারা জারি
সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বাজারে অনির্দিষ্টকালের জন্য সভা-সমাবেশ ও মিছিল নিষিদ্ধ করে ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে ওই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উজ্জ্বল রায়। শনিবারও (২২ ফেব্রুয়ারি) এই আইন জারি রয়েছে সেখানে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, শুক্রবার মধ্যনগর থানা কর্তৃক এক আসামিকে গ্রেপ্তার করাকে কেন্দ্র করে মধ্যনগর বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় স্থানীয় দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ নিয়ে মধ্যনগর বাজারে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় বিক্ষোভ মিছিলের পাশাপাশি বিএনপির অস্থায়ী কার্যালয়ে আক্রমণ সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে অপর পক্ষের লোকজন মধ্যনগর বাজারে অবস্থিত বিপক্ষ গ্রুপের একটি অফিসে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। এ নিয়ে যে কোনো সময়ে আইনশৃঙ্খলা অবনতিসহ সাধারণ জনগণের জানমালের ক্ষয়ক্ষতির সমূহ সম্ভাবনা বিদ্যমান রয়েছে। জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ১৪৪ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে মধ্যনগর বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সব প্রকার সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
আরো পড়ুন:
সাতক্ষীরায় বিএনপির ২ পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ১৪৪ ধারা জারি
১৪৪ ধারা জারি করায় অন্যস্থানে বিএনপির সমাবেশ
উল্লেখ্য যে, ১৪৪ ধারা জারিকৃত সময়ে উক্ত এলাকায় পাঁচ বা ততোধিক লোকের একত্রে জটলা, সমাবেশ কিংবা যে কোনো ধরনের অস্ত্রবহন ও সন্দেহজনক ঘোরাফেরা সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।
মধ্যনগর থানার ওসি সজীব রহমান বলেন, “মধ্যনগরের একটি ওয়ার্ডের যুবলীগের সহ-সভাপতিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় বিএনপির একটি পক্ষের নেতা শহিদ মিয়া গ্রেপ্তারকৃতকে নিজের কর্মী দাবি করে থানায় এসে শোরগোল শুরু করেন। পরে থানা থেকে বের হয়ে মিছিল করেন তিনি ও তার সমর্থকরা। এসময় তারা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কাঈয়ুম মজনুর অফিস ভাঙচুর করেন। তখন দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। আমরা খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করি। পরে মজনুর লোকজন শহিদের অফিস ভাঙচুর করে।”
তিনি আরো বলেন, “উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সবার পরামর্শে বাজার ও আশপাশের এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করেন। এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।”