চৌধুরী নাফিজ সরাফতের দুই সহযোগীকে বিদেশ যেতে নিষেধাজ্ঞা
Published: 20th, February 2025 GMT
পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফতের দুই সহযোগীকে বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এরা হলেন-পদ্মা ব্যাংকের ইভিপি এম আতিফ খালেদ ও সিএসও মো. শরিফুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে উপপরিচালক মো মাসুদুর রহমান নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সরাফাতের বিরুদ্ধে ঘুষ, দুর্নীতি, জালিয়াতি ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সাথে প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত ও বিদেশে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বর্তমানে বিদেশে পলাতক রয়েছেন। তবে তার অবর্তমানে তার দেশীয় স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যে সমস্ত ব্যক্তি তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন মর্মে গোপন সূত্রে ও প্রাপ্ত তথ্য প্রমাণে পাওয়া যাচ্ছে। তাদের বিদেশ গমন রহিত করা প্রয়োজন।
ঢাকা/মামুন/টিপু
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মিটে গেল জাভেদ-কঙ্গনার পাঁচ বছরের আইনি লড়াই
বলিউডের বর্ষীয়ান লেখক ও গীতিকার জাভেদ আখতার ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতের আইনি দ্বন্দ্বের পাঁচ বছর ধরে চলমান। সর্বশেষে গেল মাসে সেই মানহানি মামলায় কঙ্গনার বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির করেন মুম্বাই আদালত। এবার সেই মামলার নিষ্পত্তি করে নিলেন বলিউডের দুই তারকা। শুধু তাই নয়, কোর্ট চত্বরে হাসিমুখে একফ্রেমে ধরাও দিয়েছেন জাভেদ-কঙ্গনা।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টর দিকে নিজেদের আইনজীবীর সঙ্গে বান্দ্রা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে পৌঁছন দুই তারকা। সেখানেই আলোচনার মাধ্যমে ২০২০ সালে দায়ের করা মানহানি মামলা তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বলিউডের প্রবীণ গীতিকার।
সুখবরটি জানিয়ে কঙ্গনা বলেন, ‘আজ আমি এবং জাভেদজি আমাদের আইনি লড়াই মিটিয়ে নিলাম। মধ্যস্থতাযর বিষয়ে জাভেদজি ভীষণই দয়ালু এবং প্রাণবন্ত। শুধু তাই নয়, আমার পরবর্তী সিনেমার জন্য গান লিখবেন বলেও কথা দিয়েছেন।’
২০২০ সালে অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুতের বাড়ি থেকে দেহ উদ্ধারের ঘটনা তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল গোটা দেশেই। আত্মহত্যা না খুন- সেই মীমাংসা আজও হয়নি। সেই সময় ‘নানা মুনির নানা মত’ নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বিস্তর কাটাছেঁড়া হয়েছিল। তবে সবাইকে ছাপিয়ে যায় কঙ্গনার বক্তব্য। সুশান্ত সিং রাজপুত বলিউডের স্বজনপোষণ বা ‘নেপোটিজম’র শিকার, এমন মতপ্রকাশ করে কঙ্গনা দায়ী করেছিলেন গীতিকার জাভেদ আখতারকে। তারপরই তিনি কঙ্গনার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন।
মুম্বাই আদালতে সেই মামলায় ৪০ দিন শুনানিতে যাননি কঙ্গনা। ফলে শুনানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গেলে মাসে বিচারক জানিয়ে দেন, কঙ্গনার বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আগে শেষ সুযোগ দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। অন্যথায় গ্রেপ্তারি এড়ানো কঠিন হবে তাঁর। এবার অভিনেত্রী নিজেই জানালেন, তাঁরা মধ্যস্থতা করে মানহানি মামলা নিষ্পত্তি করলেন। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস।