এনসিটিবির পাঠ্যবই সংশোধন ও পরিমার্জন কমিটির অন্যতম সদস্য রাখাল রাহা ওরফে সাজ্জাদুর রহমানের অপসারণ দাবি করেছেন ১৫০ আলেম। তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশও করেছেন তারা।

মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে আলেমরা এ দাবি জানান।

তাদের অভিযোগ, ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে রাখাল রাহা সম্প্রতি এমন একটি পোস্ট তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রকাশ করেন, যা দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগণের ধর্মীয় বিশ্বাস ও মূল্যবোধের ওপর আঘাত এনেছে।

আলেম সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, চাপে পড়ে রাখাল রাহা তার ফেসবুক থেকে ওই পোস্ট সরিয়ে নিলেও তা বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলেছে দেশে।

তারা বলেন, এ ধরনের বক্তব্য শুধু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়; বরং এটি পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় উত্তেজনা সৃষ্টি, সামাজিক বিভাজন উসকে দেওয়া।

আলেম সমাজের প্রতিনিধিরা বলেন, এ ষড়যন্ত্রমূলক তৎপরতাগুলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়ে রাষ্ট্রীয় স্থিতিশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।

বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন, আল্লামা সাইয়্যেদ কামালুদ্দীন জাফরী, প্রফেসর ড.

এ বি এম হিজবুল্লাহ, মুফতি মুহা. কাজী ইব্রাহীম, মাওলানা লিয়াকত আলী, মাওলানা ওবায়দুল্লাহ হামযাহ, মাওলানা আশরাফ আলী নিজামপুরি, ড. খলীলুর রহমান আল মাদানী, মাওলানা শরীফ মুহাম্মাদ, ড. গিয়াসউদ্দীন তালুকদার প্রমুখ।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আল ম

এছাড়াও পড়ুন:

অনুমোদনহীন চিঠি পাঠানোর পর আরও কঠোর অবস্থান নিচ্ছে ট্রাম্প প্রশাসন: হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়

ট্রাম্প প্রশাসন সুদূরপ্রসারী কিছু দাবিদাওয়া নিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ আরও বাড়িয়েছে বলে গতকাল শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে।

হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ বলেছে, প্রকাশিত এক খবর অনুযায়ী, এসব দাবিসংবলিত একটি চিঠি সরকারি কর্মকর্তারা অনুমোদন ছাড়াই তাদের কাছে পাঠিয়েছেন।

গত শুক্রবার নিউইয়র্ক টাইমসের প্রকাশিত এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, হার্ভার্ড ১১ এপ্রিল এ চিঠি পেয়েছে। কিন্তু সেটি ট্রাম্প প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুমোদন বা ছাড়পত্র দেওয়ার আগেই পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছেন—এমন কিছু সূত্রের বরাতে পত্রিকাটি এ খবর প্রকাশ করেছে। তবে সূত্রের নাম উল্লেখ করা হয়নি।

আরও পড়ুনশিক্ষা দপ্তরকে কী লিখেছেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট, যাতে খেপেছেন ট্রাম্প১৫ এপ্রিল ২০২৫

চিঠি পাওয়ার তিন দিন পর হার্ভার্ড দাবিগুলো নাকচ করে দিয়ে বলেছে, এসব দাবি মেনে নেওয়ার অর্থ হবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি, নিয়োগ ও শিক্ষাদানবিষয়ক নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে তুলে দেওয়া।

হার্ভার্ডের এমন অবস্থান গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয়, তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন (২৩০ কোটি) ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করছে। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানটির কর-অব্যাহতির মর্যাদা ও বিদেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করার সক্ষমতা বাতিল করার হুমকি দেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানটির বৈদেশিক যোগাযোগ, শিক্ষার্থী ও অনুষদগুলোর বিষয়েও তথ্য চাওয়া হয় ওই চিঠিতে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

সম্পর্কিত নিবন্ধ