সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

আলোচনা সভা ও দোয়ার মাধ্যমে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস’ হিসেবে মহান ২১শে ফেব্রুয়ারি পালন করার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি এ আহ্বান জানান।

জামায়াত আমির বলেন, ২১ ফেব্রুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস’। ১৯৫২ সালে এ দেশের তরুণ, ছাত্র ও যুব সমাজ বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য তদানীন্তন শাসক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলেছিল। আন্দোলন দমনের জন্য সে দিন রাষ্ট্রের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মিছিলকারীদের উপর নির্বিচারে গুলি চালিয়েছিল। গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসহ অনেকেই। বাংলা ভাষার জন্য তাদের এই আত্মত্যাগের কারণে দেশের মানুষ তাদেরকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।

মহান আল্লাহর কাছে ভাষা শহীদদের রূহের মাগফিরাত কামনা করেন তিনি।

বিবৃতিতে বলেন, ‌‘২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের মর্যাদা লাভ করেছে। এটা ভাষা শহীদদের প্রতি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। বাংলা ভাষাকে যথাযোগ্য মর্যাদায় প্রতিষ্ঠা করার জন্য দেশের সর্বস্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করে বিজাতীয় শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে বাংলা ভাষাকে রক্ষা করতে হবে। তাহলেই ভাষা আন্দোলনের শহীদদের স্বপ্ন সার্থক হবে।’

ডা.

শফিকুর রহমান বলেন, ‘দেশবাসী এমন এক সময় ভাষা দিবস পালন করতে যাচ্ছে যখন সবেমাত্র দেশ ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষ সত্যিকারার্থে স্বাধীনতার স্বাদ পেতে শুরু করেছে। বর্তমানে দেশে গণতন্ত্র, আইনের শাসন, মানবাধিকার, ভোটাধিকার ও মত-প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে প্রয়াস চলছে। দেশের মানুষ জানমাল ও ইজ্জত-আব্রু বজায় রেখে চলাফেরা করতে পারছে; যদিও নাগরিকদের শতভাগ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা এখনো সম্ভব হয়নি। এমতাবস্থায় ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে নাগরিকদের ভোটাধিকারসহ সকল মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে আন্দোলন-সংগ্রাম চালিয়ে যেতে হবে।’

এদিকে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও মহান শহীদ দিবস’ আলোচনা সভা ও দোয়ার মাধ্যমে পালন করার জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সকল শাখা ও দেশবাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানান জামায়াত আমির।

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

সমুদ্রগামী ফেরির যুগে প্রবেশ করল বাংলাদেশ

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ সন্ধীপ উপজেলায় ফেরি চলাচল উদ্বোধন হয়েছে। এর মাধ্যমে সমুদ্রগামী ফেরির যুগে প্রবেশ করেছে বাংলাদেশ।

সোমবার (২৪ মার্চ) সকালে সীতাকুণ্ড উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ঘাটে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন ফেরি চলাচল উদ্বোধন করেন।

ঐতিহাসিক এই মুহূর্তটিকে স্মরণীয় করে রাখতে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অরো উপস্থিত ছিলেন- অন্তর্বর্তী সরকারের  সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার।

আরো পড়ুন:

সস্ত্রীক ছিনতাইকারীর কবলে ফেনী স্টেশন মাস্টার, গ্রেপ্তার ৩

পাটুরিয়া-আরিচা নৌরুটে ফেরি চলাচল শুরু 

উদ্বোধনের পর সকাল ৯টায় বাঁশবাড়িয়া ঘাট থেকে প্রথম ফেরি প্রায় ২০টি যানবাহন ও উপদেষ্টাদের নিয়ে সন্ধীপের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। 

চট্টগ্রাম শহরের প্রায় নিকটবর্তী হলেও উত্তাল সমুদ্রের কারণে সন্ধীপ উপজেলাটি ছিল বিছিন্ন একটি দ্বীপ। প্রতিদিন এই দ্বীপের হাজার হাজার মানুষ সমুদ্রপথে চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতেন। প্রায় চার লাখ জনসংখ্যা অধ্যুষিত সন্ধীপ উপজেলার মানুষের শত বছরের বড় দুর্ভোগের অবসান ঘটল ফেরি সার্ভিসের মাধ্যমে।  

এদিকে ফেরি উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আজ দুপুরে সন্দ্বীপ উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে সমাবেশের আয়োজন করা হয়েছে। সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি বক্তব্য রাখবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

চট্টগ্রামের বিআইডব্লিউটিএ এর উপ-পরিচালক মো. কামরুজ্জামান বলেন, “অন্তত ৩৫টি যানবাহন নিয়ে চট্টগ্রাম-সন্ধীপের মধ্যে বিশেষ এই ফেরীটি চলাচল করতে সক্ষম। উত্তাল সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মাত্র এক ঘণ্টা ১০ মিনিটে চট্টগ্রাম থেকে সন্ধীপে ফেরি পৌঁছাবে। জোয়ার-ভাটার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিদিন মোট চারবার ফেরিটি আসা-যাওয়া করবে। ফেরিটি যানবাহনের পাশাপাশি অন্তত ৬০০ জন মানুষ পরিবহন করতে পারবে।” 

ঢাকা/রেজাউল/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ