জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, নির্বাচনের আগে কোনো সংস্কারের প্রয়োজন নেই। এসব নির্বাচিত সরকারের কাজ। বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানীর কার্যালয়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। 

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পর যারা আসবেন তারাই সংস্কার করবেন। এখনই সংস্কারের হাত না দেওয়া ভালো।’

জিএম কাদের বলেন, এই সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা নেই। এই সরকার নিরপেক্ষ কিনা এটা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। এই সরকার বৈষম্য করছে। স্থিতিশীলতা চাইলে সকলকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার সুযোগ দিতে হবে। 

তিনি বলেন, দোষী অভিযোগ করলেই সে দোষী হয় না। সব দলকেই জনগণের সামনে রাজনীতি করতে দেওয়া উচিত। 

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, দেশ এখন খারাপের দিকে যাচ্ছে। মানুষের অবস্থা ভালো না। সমস্ত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হতে হবে। আমরা কি আন্দোলন করতেই থাকবো? তাহলে দেশ কোথায় যাবে? 

নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে তিনি বলেন, পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করব কিনা। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ এম ক দ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয় স্বার্থে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ঐকমত্য করব: রিজওয়ানা হাসান

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ‘জুলাই-আগস্টের যে হত্যাকাণ্ড হলো, যে বর্বরতা হলো, এর সুষ্ঠু বিচার করতে হবে। আমাদের সীমিত সময়ে আমরা অবশ্যই চেষ্টা করব মানুষকে এই বিচারের কিছু রায় দেওয়ার। যদি মানুষ হিসেবে এটি করতে পারি, সত্যিই এই বর্বরতার একটা বিচার হবে, জনগণের মধ্যে যেন ওই আস্থা আসে।’

আজ বুধবার মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এসে সকাল সোয়া ছয়টার দিকে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, একটি সরকারের জন্য গতানুগতিক যেসব চ্যালেঞ্জ থাকে, সেগুলো রয়েছে। এখন একটি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বিভিন্ন সংস্কার বিষয়ে ঐকমত্য গড়া। সেটি অবশ্যই একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে নির্বাচনটা সুষ্ঠুভাবে করে দেওয়া। জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করা।

আরও পড়ুনজাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধান উপদেষ্টার৩৭ মিনিট আগে

ঐকমত্য কতটা হবে বলে প্রত্যাশা করেন, এমন এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘প্রত্যাশা হলো, জাতীয় স্বার্থে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে আমরা ঐকমত্য করব। কিন্তু একেকজন মানুষ একেকটা বিষয় একেকভাবে দেখে। দৃষ্টিভঙ্গি একেকভাবে আনে। সেই দৃষ্টিভঙ্গির যে তফাতগুলো আছে, সেগুলোকে কমিয়ে কমিয়ে একটা জায়গায় নিয়ে আসা, সেটা একটু সময় লাগবে।’

রাজনৈতিক দলগুলো সবকিছুর ঊর্ধ্বে উঠে জাতীয় স্বার্থকেই প্রধান্য দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি বলেন, ‘তারা তো আরও অনেক বেশি অভিজ্ঞ আমাদের অনেকের চেয়ে। ফলে আমি মনে করি জনগণকে আস্থায় যদি আনতে হয়, তাহলে যে সংস্কারগুলোর দাবি জনগণের ক্ষেত্রে ওঠে, সেগুলোর ক্ষেত্রে ঐকমত্যে না পৌঁছানোর কোনো উপায় নেই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের কিছু রায় দেওয়ার অবশ্যই চেষ্টা করব: রিজওয়ানা হাসান
  • ‘সংস্কার ও বিচার ছাড়া ক্ষমতায় বসানোর চেষ্টা হলে জনগণ প্রতিরোধ করবে’
  • মিরসরাইয়ে শহীদ মিনারে ১৪৪ ধারা জারি
  • জাতীয় স্বার্থে ব্যক্তিগত ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে ঐকমত্য করব: রিজওয়ানা হাসান
  • জাতীয় ঐক্যের ভিত সুদৃঢ় হোক
  • ১০০ গাড়ি নিয়ে যারা ইলেকশন ক্যাম্পেইন করতে যায়, তারা কী করবে আমরা বুঝি: মির্জা ফখরুল
  • সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি করার চেষ্টা হচ্ছে: তারেক রহমান
  • ফ্যাসিবাদবিরোধী দলগুলোকে ঐক্যবদ্ধ করে আমরা রাষ্ট্র পরিচালনা করব: হাসনাত আব্দুল্লাহ
  • এবার সারজিসের পোস্টে হান্নানের প্রতিক্রিয়া, ‘সরি, আর চুপ থাকতে পারলাম না’
  • গণ-অভ্যুত্থানে শ্রমিক আকাঙ্ক্ষা: সমাজ ও সংস্কৃতিতে শ্রমিক সুরত