ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে প্রতিপক্ষ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে একটা সমঝোতায় উপনীত হওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই সঙ্গে আটলান্টিক অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করছে তাঁর প্রশাসন। ট্রাম্পের এমন সব পদক্ষেপ ইউরোপের নেতাদের উদ্বিগ্ন করে তুলেছে।

গত মঙ্গলবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভের নেতৃত্বে রাশিয়ার এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। সেখানে ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর আশা ব্যক্ত করেন তিনি।

পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের আলাপ ও ইউরোপীয় মিত্রদের ছাড়াই তাঁর শান্তি আলোচনায় বসার আগ্রহে শুধু যে ইউরোপের নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ জন্ম নিয়েছে তা নয়, উদ্বিগ্ন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, কিয়েভকে যুক্ত না করে কোনো চুক্তি করা হলে তা ইউক্রেন মেনে নেবে না।

সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এটি এমন এক সময় অনুষ্ঠিত হলো, যখন গত সপ্তাহে ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে আলাপ করেন। আলাপে তিন বছরের ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটাতে ইউরোপীয় মিত্রদের ছাড়াই শান্তি আলোচনায় বসতে সম্মত হন তাঁরা। ট্রাম্প এ–ও বলেছেন, তিনি সৌদি আরবে পুতিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে পারেন।

পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের এ আলাপ ও ইউরোপীয় মিত্রদের ছাড়াই তাঁর শান্তি আলোচনায় বসার আগ্রহে শুধু যে ইউরোপের নেতাদের মধ্যে উদ্বেগ জন্ম নিয়েছে তা নয়, উদ্বিগ্ন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, কিয়েভকে যুক্ত না করে কোনো চুক্তি করা হলে তা ইউক্রেন মেনে নেবে না।

সপ্তাহান্তে অনুষ্ঠিত মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে ইউক্রেন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নয়.

..ইউরোপকে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে অবশ্যই ইউরোপের জন্য আসন থাকতে হবে।’

স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন ওঠে, ট্রাম্পের নতুন প্রশাসনের দৃষ্টিভঙ্গি কী এবং নতুন বাস্তবতায় কীভাবে সাড়া দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন ইউরোপের নেতারা?

ইউক্রেনকে বাদ দিয়ে ইউক্রেন নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নয়...ইউরোপকে নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে অবশ্যই ইউরোপের জন্য আসন থাকতে হবে।ভলোদিমির জেলেনস্কি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট রিয়াদে মার্কিন–রুশ বৈঠকের আলোচ্যসূচি কী ছিল

রিয়াদে লাভরভের নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে মার্কো রুবিও ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ট্রাম্পের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা মাইক ওয়ালৎজ ও মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ।

ওয়াশিংটন–মস্কোর চিড় ধরা সম্পর্ক মেরামতের লক্ষ্য ছাড়াও ট্রাম্প ও পুতিনের মধ্যে একটি সম্ভাব্য বৈঠকের প্রস্তুতির ক্ষেত্র তৈরি করেছে রিয়াদের বৈঠক। এ প্রসঙ্গে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের বলেন, আলোচনায় প্রাথমিকভাবে রুশ–মার্কিন সম্পর্কের জটিলতা কাটানোর ওপর মনোযোগ দেওয়া হবে।

মস্কো থেকে আল–জাজিরার সংবাদদাতা ইয়ুলিয়া শাপোভালোভা বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধের অবসান ঘটানোর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র–রাশিয়া দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন, যা একেবারে তলানিতে পৌঁছেছে, তা–ই এ বৈঠকের আলোচ্যসূচিতে রয়েছে।’

রিয়াদ বৈঠকে আমন্ত্রণ না পেয়ে কেন উদ্বিগ্ন ইউরোপ ও ইউক্রেন

গত সোমবার সংযুক্ত আরব আমিরাত সফর করা জেলেনস্কি গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করেন, যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে বৈঠকে ইউক্রেন নিয়ে গ্রহণ করা কোনো সিদ্ধান্ত মানবেন না তিনি।

আরও পড়ুনক্ষমতায় বসেই অনেক কিছু বদলে দিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ২১ জানুয়ারি ২০২৫

এ–সংক্রান্ত আলোচনাগুলোয় ইউরোপ ও ইউক্রেনকে বাদ দেওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছেন ইউরোপীয় নেতারাও। নিজেরা আলোচনার অংশ হওয়ার ব্যাপারে আগ্রহ ব্যক্ত করেছেন তাঁরা।

ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে গতকাল বুধবার পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের একপক্ষীয় আলাপ–আলোচনার পর জার্মানির চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ বলেন, ‘বেঁধে দেওয়া কোনো শান্তি (শান্তি উদ্যোগ) কখনোই আমাদের সমর্থন পাবে না।’

পরে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলোচনায় জেলেনস্কি অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।’ তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি। ইউক্রেনবিষয়ক মার্কিন দূত কিথ কেলগও এই বলে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করেন যে ইউক্রেনের ওপর কোনো চুক্তি চাপিয়ে দেওয়া হবে না।

এদিকে প্যারিসে ইউরোপের নেতাদের নিয়ে এক বৈঠক আয়োজনের পরদিন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এক্সে এক পোস্টে লেখেন, ‘ইউক্রেনে আমরা জোরালো ও টেকসই শান্তি চাই। এটি অর্জনে রাশিয়াকে অবশ্যই হামলা বন্ধ করতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনবাসীর জন্য শক্তিশালী ও গ্রহণযোগ্য নিরাপত্তা নিশ্চয়তাও অবশ্যই থাকতে হবে।’

তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত ইউক্রেন নীতি ট্রাম্প প্রশাসনের বদলে ফেলা ও ১৯৪৯ সাল থেকে চলে আসা ট্রান্স–আটলান্টিক জোটের সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তন আনার পর ইউরোপের নেতারা প্রতিক্রিয়া দেখাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

টিমোথি অ্যাশ চাথাম হাউসের রাশিয়া ও ইউরেশিয়া প্রোগ্রামের একজন সহযোগী ফেলো। আল–জাজিরাকে তিনি বলেন, ইউরোপের নেতারা এ জন্য উদ্বিগ্ন যে ইউক্রেন বা ইউরোপ—কাউকেই রিয়াদ বৈঠকে ডাকা হয়নি। তাঁদের ধারণা, ইউক্রেনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন ট্রাম্প। গাজা নিয়ে ট্রাম্পের বার্তায়ও একই রকম ফলাফল আসার আশঙ্কা তাঁদের।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি ট্রাম্প ফিলিস্তিনের গাজা নিয়ে তাঁর এক পরিকল্পনায় বলেন, এ উপত্যকার বাসিন্দাদের অন্য দেশে চলে যেতে হবে এবং যুক্তরাষ্ট্র এ ভূখণ্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এটিকে মধ্যপ্রাচ্যের সমুদ্রসৈকতে রূপ দেবে।

আরও পড়ুনপুতিন ও ট্রাম্প সাত দিনে যেভাবে দুনিয়া কাঁপিয়ে দিলেন১২ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের নীতিবদলে ইউরোপের সাড়া

তিন বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের গৃহীত ইউক্রেন নীতি ট্রাম্প প্রশাসনের বদলে ফেলা ও ১৯৪৯ সাল থেকে চলে আসা ট্রান্স–আটলান্টিক জোটের সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গিগত পরিবর্তন আনার পর ইউরোপের নেতারা প্রতিক্রিয়া দেখাতে হিমশিম খাচ্ছেন।

রোববার মার্কিন দূত কেলগ ঘোষণা দেন, ইউক্রেন নিয়ে শান্তি আলোচনার টেবিলে ইউরোপকে ডাকা হবে না। এর আগে গত সপ্তাহে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ বলেছেন, পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে ইউক্রেনের সদস্যপদ অযৌক্তিক। রাশিয়ার সঙ্গে কোনো চুক্তি হলে ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্রের সেনা পাঠানোর সম্ভাবনাও নাকচ করে দেন তিনি। ইতিমধ্যে ট্রাম্পও বলেছেন, ন্যাটোতে ইউরোপের ব্যয় বাড়ানো উচিত।

ইউরোপের নেতারা এ জন্য উদ্বিগ্ন যে ইউক্রেন বা ইউরোপ—কাউকেই রিয়াদ বৈঠকে ডাকা হয়নি। তাঁদের ধারণা, ইউক্রেনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবেন ট্রাম্প। গাজা নিয়ে ট্রাম্পের বার্তাতেও একই রকম ফলাফল আসার আশঙ্কা তাঁদের।টিমোথি অ্যাশ, চাথাম হাউসের রাশিয়া ও ইউরেশিয়া প্রোগ্রামের সহযোগী ফেলো

ট্রাম্প ও তাঁর শীর্ষ সহযোগীদের কাছ থেকে এ ধরনের বার্তা পেয়ে সোমবার প্যারিসে সমবেত হন ইউরোপের নেতারা। লক্ষ্য ছিল, ট্রাম্পের উদ্যোগে নিজেদের সাড়া কী হবে, তা ঠিক করা। মাখোঁর সঙ্গে এ বৈঠকে যোগ দেন জার্মানি, ডেনমার্ক, পোল্যান্ড, ইতালি, স্পেন ও নেদারল্যান্ডসের নেতারা। ছিলেন ন্যাটো ও ইইউর নেতারাও।

চাথাম হাউসের অ্যাশ বলেন, ইউরোপ এখন বুঝতে শুরু করেছে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের কাছে আস্থায় রাখার মতো অংশীদার নয়। ইউরোপের নেতাদের পাশ কাটিয়ে পুতিনের সঙ্গে ট্রাম্পের চালানো আলাপ–আলোচনাকে জোটের গুরুত্বপূর্ণ মিত্রের (যুক্তরাষ্ট্র) বিশ্বাসঘাতকতা হিসেবেও দেখছেন কেউ কেউ।

এমন প্রেক্ষাপটে সোমবার এক্সে পোস্ট করা বার্তায় ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লেন বলেন, ‘আমাদের ইউরোপের প্রতিরক্ষাব্যবস্থা জোরালো করা দরকার।’

আরও পড়ুনবাইডেনকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করার কাজটাই শুধু ভালো পেরেছেন জেলেনস্কি: ট্রাম্প৪ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইউক র ন র প র স ড ন ট ইউর প র ন ত দ র ইউক র ন য দ ধ ইউর প র ন ত র ইউক র ন ন য় ইউর প য় ন ইউর প বল ছ ন ও ইউর গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

বেড়েছে অভিজ্ঞতা কমেছে ক্রয়াদেশ

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে শেষ হয়েছে পাঁচ দিনের গালফুড মেলা। মেলায় বাংলাদেশের ৪১টি প্রতিষ্ঠান এবার ৩৪ দশমিক ৫৯ মিলিয়ন বা তিন কোটি ৪৫ লাখ ডলার নিশ্চিত ক্রয়াদেশ পেয়েছে। গতকাল শুক্রবার মেলার শেষ দিনে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কমার্শিয়াল উইং এ তথ্য জানায়। 

এবারের নিশ্চিত ক্রয়াদেশ গত বছরের তুলনায় অর্ধেকেরও কম। গত বছর মেলায় ক্রয়াদেশ ছিল প্রায় ১০৭ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ৭০ লাখ ডলার। এবার অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো সম্ভাব্য ক্রয়াদেশ পেয়েছে প্রায় ২৯ দশমিক ১৬৩ মিলিয়ন বা ২ কোটি ৯১ লাখ ডলার। ব্যবসায়ীরা বলছেন, মেলার সুফল হলো, পারস্পরিক সম্পর্ক বৃদ্ধি ও অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো। তবে বাংলাদেশিদের ভিসা জটিলতার কারণে দেশীয় বায়ার না পাওয়ায় ক্রয়াদেশ কমেছে। মেলায় স্থান সংকুলান নিয়েও ছিল অভিযোগ। আগামী বছর আরও বড় পরিসরের ভেন্যু ঘোষণা দিয়ে এ আসরের ইতি টানেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সহসভাপতি সৈয়দ মো. শোয়াইব হাসান বলেন, ভিসা জটিলতা থাকায় এবার মেলায় অংশগ্রহণকারী ছাড়া দেশীয় বায়াররা তেমন অংশ নিতে পারেননি। দূতাবাস ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর চেষ্টায় শেষ মুহূর্তে ৮২ জন ভিসা পান। এতে মেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গেছে।
বোম্বে সুইটস অ্যান্ড কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক খুরশীদ আহমাদ ফরহাদ বলেন, প্রতিবছর বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠানগুলো নতুন নতুন অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করছে। এ মেলায় বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী ও বাজারজাত প্রতিষ্ঠানগুলো অংশ নিচ্ছে। তারা কীভাবে পণ্যের গুণগত মান বৃদ্ধিতে কাজ করছে, সেসব বিষয়ে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা আইডিয়া নিতে পারছেন। বৈশ্বিক বাজারের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে হলে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে পণ্যের প্যাকেজিংয়ের ওপর আরও জোর দিতে হবে। 

বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের (বাপা) সভাপতি আবুল হাসেম সমকালকে বলেন, এ বছর আমরা ২৫ মিলিয়ন বা আড়াই কোটি ডলার নিশ্চিত ক্রয়াদেশের টার্গেট নিয়ে মেলা শুরু করি। কত ক্রয়াদেশ এসেছে, তার চেয়েও বড় বিষয়– এ মেলার কারণে আমরা নিয়মিত বায়ার পাচ্ছি। মেলায় হয়তো তারা ছোট অর্ডার করছেন। কিন্তু পর্যায়ক্রমে তাদের চাহিদা আরও বাড়বে।
গত দুই আসরে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা স্থান সংকুলানের অভিযোগ তুলে আসছেন। এ বিষয়ে এবার মেলা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। সে অনুযায়ী আগামী আসরে জায়গা বাড়ানোর আশ্বাস পেয়েছে বাংলাদেশ।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন সমকালকে বলেন, এবারও আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলো আশাব্যঞ্জক সাড়া পেয়েছে। কিছু জায়গায় আমরা দেখেছি, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান একই রকম পণ্য নিয়ে মেলায় এসেছে। পণ্যের বৈচিত্র্য না থাকলে প্রত্যাশা অনুযায়ী ফল পাওয়া যায় না। আগামীতে মেলায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক প্রতিষ্ঠানগুলোকে পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে হবে।
এদিকে গালফুডের পরবর্তী আসরে দুবাই ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারের সঙ্গে ভেন্যু হিসেবে যোগ করা হবে দুবাই এক্সপো সিটি। এক মাস এগিয়ে আগামী বছর জানুয়ারির শেষ সপ্তাহে দুটি আলাদা ভেন্যু নিয়ে বৃহৎ পরিসরে মেলার ঘোষণা দিয়েছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ