চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কমিটি থেকে ১৭০ জনের পদত্যাগ
Published: 20th, February 2025 GMT
চাঁদপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২২৫ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার এক দিন পর ১৭০ জন সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) রাতে চাঁদপুর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ ঘোষণা দেন।
তাদের অভিযোগ, কোনো ধরনের আলোচনা না করেই সংগঠনের কেন্দ্র থেকে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে চাঁদপুরের অনেক ত্যাগী নেতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে।
ঘোষিত কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদ শিহাব বলেন, ‘‘আমরা জুলাইয়ে একটি ম্যান্ডেট নিয়ে সারা দেশের মতো চাঁদপুরেও আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি। কিন্তু, আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে কেন্দ্র থেকে ২২৫ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এর কিছুই জানি না। আমরা মনে করি, একটি কুচক্রী মহলের যোগসাজশে এই কমিটি থেকে চাঁদপুরের অনেক ত্যাগী নেতাকে উপেক্ষা করা হয়েছে। এতে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি, এটি বিতর্কিত কমিটি। এ জন্য কেন্দ্র ঘোষিত এ কমিটি বয়কট করে আমরা ১৭০ জন সদস্য গণপদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছি।’’
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে চাঁদপুর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২২৫ সদস্যের এই কমিটিতে নাদিম পাটোয়ারীকে আহ্বায়ক ও সৈয়দ সাকিবুল ইসলামকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।
ঢাকা/অমরেশ/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জামায়াত নেতার স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা, খাটের নিচে পড়ে ছিল ৭ মাসের বাচ্চা
হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বাহুবলের সভাপতি আব্দুল আহাদ ইবনে মালেকের স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার মিরপুর ইউনিয়নের পশ্চিম জয়পুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মিনারা বেগম (৩৮) উপজেলা জামায়াতের মহিলা বিভাগের দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি মিরপুর পাইলট স্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষিকা।
নিহতের স্বামী জানান, তিনি একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে উপজেলায় সরকারি অনুষ্ঠান শেষে হবিগঞ্জে রোকন বৈঠক করে সন্ধ্যার পর বাড়িতে এসে দেখেন দরজা খোলা। ঘরের লাইট বন্ধ। পরে লাইট জ্বালিয়ে দেখেন তার ৭ মাসের সন্তান খাটের নিচে পড়ে আছে। তার স্ত্রী খাটের ওপর পরে ছুরিকাঘাত করা অবস্থায় পড়ে রয়েছেন।
এ খবর পেয়ে হবিগঞ্জের পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) গিয়াস উদ্দীন, বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। এছাড়া ঘটনার খবর পেয়ে সিলেট মহানগর জামায়াতের সেক্রেটারি ও বাহুবল ১ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এম শাহাজান আলীসহ উপজেলা জামায়াতের নেতৃবৃন্দ ও আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে জড়ো হন।
পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর পেটে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে।
রাতে বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।