ভারতে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ
Published: 20th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট। ঢাকা থেকে ছেড়ে যাওয়া ফ্লাইটটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে যাচ্ছিল। জরুরি অবতরণ করা ফ্লাইটটিতে চার শতাধিক আরোহী রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার নাগপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছে যে, প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ওই ফ্লাইট বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করতে বাধ্য হয়।
নাগপুর বিমানবন্দরের সিনিয়র কর্মকর্তা আবিদ রুহি জানান, ঢাকা থেকে দুবাই যাওয়ার পথে ৩৯৬ জন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু সদস্য নিয়ে বিমানটি মাঝ আকাশে একটি প্রযুক্তিগত সমস্যার সম্মুখীন হয়। এতে করে গতিমুখ পরিবর্তন করে বুধবার মধ্যরাতে নাগপুরে নিরাপদে জরুরি অবতরণ করে।
বিমানবন্দরটির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানান, ফ্লাইটটিতে থাকা সমস্ত যাত্রী এবং ক্রু সদস্যরা অক্ষত রয়েছেন। ফ্লাইটের সব যাত্রীকে অবতরণের পর নিরাপদে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।
বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিমান বাংলাদেশের অন্য আরেকটি ফ্লাইটে দুবাইগামী যাত্রীদের নির্দিষ্ট গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়া হবে।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: ফ ল ইট
এছাড়াও পড়ুন:
৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলো ১৮ কেজির টুনা ফিস
পটুয়াখালীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র মহিপুর ঘাটে ৮০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলো ১৮ কেজির টুনা ফিস। উন্মুক্ত ডাকের মাধ্যমে এই ফয়সাল ফিস আড়ত থেকে মাছটি কিনে নিল ফিসভ্যালি নামের একটি প্রতিষ্ঠান।
বঙ্গোপসাগরে শিকার করে আ. সত্তার নামের একজন মাঝি মাছটিকে মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে বিক্রি করতে নিয়ে আসেন। কুয়াকাটা এলাকায় এই প্রথম দেখা মিলল এত বড় টুনা ফিসের।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার পরে কুয়াকাটা মেয়র মার্কেট ফিশভ্যালি নামের একটি দোকানে বিক্রির জন্য উঠালে মাছটি দেখতে অনেকেই ভিড় জমান।
কুয়াকাটা এলাকায় এই প্রথম দেখা মিলল এত বড় টুনা ফিসের
ফিশভ্যালি কর্তৃপক্ষ জানায়, বড় মাছ বেশিরভাগ সময়ে তারা কিনে থাকেন। তবে এর আগে ৫-৭ কেজি ওজনের টুনা বিভিন্ন সময়ে ক্রয়-বিক্রয় করলেও এত বড় টুনা আর কখনো তারা দেখেননি এই এলাকায়। আজকে ৮০০ টাকা কেজি দরে ১৪ হাজার ৮০০ টাকায় মাছটি কিনেছেন।
ফিশভ্যালির পরিচালক মো. মতিউর রহমান বলেন, “বড় মাছ দেখে পছন্দ হয়েছে তাই কিনেছি তবে এখানে বিক্রি করতে পারি কিনা জানিনা। আমাদের অনলাইনে এটা দেওয়া আছে, আশা করি ভালো লাভে কাস্টমার পাবো। আর কুয়াকাটায় আগত পর্যটকদের অনেকে ছবি তুলছেন, দাম জিজ্ঞেস করছেন। যদি কেউ পছন্দ করে কম ব্যবসা হলেও বিক্রি করে দিবো।”
এখানের মনির ফিশফ্রাই মার্কেটের স্বত্বাধিকারী মো. মনির হোসেন বলেন, “কুয়াকাটা ফিশ ফ্রাই মার্কেটে আমরা মাসে শতশত পিস এই টুনা ফিস বিক্রি করি, তবে এত বড় টুনা ফিস আমরা এই ১০-১৫ বছরে এলাকায় উঠতে দেখিনি। কখনো জেলেরাও পায়নি, আজকে মাছের খবর শুনে এখন দেখতে আসলাম। তবে মাছটি অনেক সুস্বাদু হবে, এর আগে মাছটি আমরা ডিসকভারি চ্যানেলে দেখতাম।”
কলাপাড়া উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, “এটি বিশ্ব বাজারে অনেক দামি মাছ যা অ্যালবাকোর বা লংফিন টুনা নামেও পরিচিত।”
ঢাকা/ইমরান/টিপু