কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচরে রাস্তার পাশ থেকে চাল ব্যবসায়ীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ। বুধবার রাত ১০টায় উপজেলার বাজরা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন কামালপুর নতুন বাজার সড়কের পশ্চিম তারাকান্দি এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

নিহত চাল ব্যবসায়ী উবাইদুল্লাহ পাইলট (৪৫) বাজরা মাছিমপুর মুন্সি বাড়ির মৃত জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি বাজরা বাসস্ট্যান্ডে চালের ব্যবসা করতেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ওবায়দুল্লাহ পাইলট প্রতিদিনের মতো দোকান বন্ধ করে মোটরসাইকেলে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি পশ্চিম তারাকান্দি এলাকায় গেলে কে বা কারা তাকে গলা কেটে হত্যা করে।

এ বিষয়ে নিহতের চাচা সাগর মিয়া বলেন, আমার ভাতিজার কোনো শত্রু থাকার কথা না। কি কারণের আমার ভাতিজাকে গলাকেটে মেরে ফেললো কিছুই বলতে পারছি না। ভাতিজার সংসারের স্ত্রী ও তিন সন্তান রয়েছে। এখন কি হবে তাদের। আমি চাই দ্রুত খুনিদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হোক। 

এ বিষয় কুলিয়ারচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হেলাল উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে নিহত ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবস য়

এছাড়াও পড়ুন:

জমি নিয়ে বিরোধ, চাটমোহরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নারীসহ আহত ৩০

পাবনার চাটমোহরে জমিজমা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় নারীসহ কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।

ঈদের পরদিন মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

আহতরা হলেন- কুকড়াগাড়ি গ্রামের রিয়াজ উদ্দিন, ধানকুনিয়া গ্রামের রুমা খাতুন, ইদ্রিস আলী, শাহাদৎ হোসেন, সোলাইমান হোসেন, মুক্তা খাতুন, আখিরুল ইসলাম, উজ্জ্বল হোসেন, জাহিদুল ইসলাম, শিবলু হোসেন, ইতিয়ারা খাতুন, হৃদয় হোসেন, রাসেল হোসেন, সাথী খাতুন, শামসুন্নাহার, আবু হানিফ, আম্বিয়া খাতুন, হাবিবুর রহমান, হাবিল প্রামানিক, সলকী খাতুন। অন্যদের নাম পাওয়া যায়নি।

জানা গেছে, ধানকুনিয়া উত্তরপাড়া গ্রামের ইদ্রিস আলী ও মোন্নাফ প্রামানিকের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার স্থানীয়ভাবে সালিশ হয়। কিন্তু কোনো সুরাহা হয়নি। মঙ্গলবার বিকেলে ওই জমি নিয়ে দুইপক্ষের লোকজনের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে উভয়পক্ষের লোকজনই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ১১ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক পাবনা জেনারলে হাসপাতালে স্থানান্তর করেন। 

এ ব্যাপারে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল আলম বলেন, জমিজমা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে পূর্ব বিরোধের জেরে এ ঘটনা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এখন পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ