একুশে ফেব্রুয়ারিতে র্যাবের ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা
Published: 20th, February 2025 GMT
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টা শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এছাড়াও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের স্মরণে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবেন।
সার্বিকভাবে সব ধরণের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে র্যাবও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সকালে র্যাব হেডকোয়ার্টার থেকে জানানো হয়, একুশে ফেব্রুয়ারি মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ অন্যান্য শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
সার্বিকভাবে সব ধরণের ঝুঁকি পর্যালোচনা করে অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী, গোয়েন্দা সংস্থা এবং স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে র্যাবও ২১ ফেব্রুয়ারি এর নিরাপত্তা জোরদার করেছে। এ উপলক্ষে এরমধ্যে জারীকৃত সকল প্রকার আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ক নির্দেশনা বাস্তবায়নে র্যাব ফোর্সেস কাজ করছে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে আজ (২০ ফেব্রুয়ারি) থেকে যে কোন ধরণের বিশৃঙ্খলা ও অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি রোধকল্পে ঢাকাসহ সারাদেশে পর্যাপ্ত সংখ্যক র্যাব সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত করা হয়েছে। র্যাব ফোর্সেসের সকল ব্যাটালিয়ন সারা দেশে তাদের স্ব স্ব অধিক্ষেত্রে নিরাপত্তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। অগ্রিম পদক্ষেপ হিসেবে ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে র্যাবের সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধির মাধ্যমে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের জন্য র্যাব-৩ এর সার্বিক ব্যবস্থাপনায় উল্লেখিত এলাকার অবজারভেশন পোস্ট এবং চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে র্যাব অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে প্রয়োজনীয় সমন্বয়পূর্বক নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। শহীদ মিনারের নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে র্যাবের বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড প্রয়োজনীয় সুইপিং সম্পন্ন করবে। পাশাপাশি যেকোন উদ্ভুত পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য র্যাবের স্পেশাল ফোর্স সার্বক্ষণিকভাবে প্রস্তুত রয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে শহীদ মিনারমুখী রাস্তার মোড়সমূহে চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের প্রয়োজনীয় তল্লাশীর মাধ্যমে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে।
শহীদ মিনারসহ অন্যান্য অনুষ্ঠানস্থলে আগত মহিলা ও শিশুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং ইভটিজিং বা যে কোন ধরণের হয়রানি প্রতিরোধে সতর্ক দৃষ্টি রাখবে র্যাব। ভার্চুয়াল জগতে যেকোন ধরণের গুজব/উস্কানিমূলক তথ্য/মিথ্যা তথ্য ছড়ানো প্রতিরোধে র্যাব সাইবার মনিটরিং টীম অনলাইনে সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রাখছে।
র্যাব জানায়, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারসহ বিভিন্ন মেট্রোপলিটন এলাকা, বিভাগীয় শহর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের সকল শহীদ মিনার এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় Inner Perimeter ও শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকাকে ভিডিও Surveillance এর আওতায় আনতে সিসিটিভি/আইপি ক্যামেরা এবং মনিটরিং কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। ব্যাটলিয়ানগুলো নিজ নিজ কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে তাদের অধিক্ষেত্রে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও অন্যান্য আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সমন্বয়পূর্বক নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। র্যাব সদর দপ্তরে কন্ট্রোল রুমের মাধ্যমে ঢাকাসহ সারা দেশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ ও সমন্বয় করা হবে।
নিষিদ্ধ ঘোষিত দল/সংগঠনের সদস্যগণ যাতে শহীদ মিনার অঙ্গনে প্রবেশ করে কোনরূপ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সে বিষয়েও র্যাব তৎপর রয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/টিপু
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন শ চ ত কর ব যবস থ দ র কর ধরণ র
এছাড়াও পড়ুন:
মুন্সীগঞ্জে বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রায় সংঘর্ষ
মুন্সীগঞ্জে বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত বিএনপির আনন্দ শোভাযাত্রায় হওয়া সংঘর্ষে কয়েকজন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন যুবক হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।
সোমবার (১৪ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আতাউর করিম দুইজনকে চিকিৎসা দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
শরীয়তপুরে আবারো ককটেল বিস্ফোরণ, সংঘর্ষ
নলকূপের পানি নিয়ে সংঘর্ষ, আহত অর্ধশতাধিক
হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়া দুইজন হলেন- মো. শুভ (২৮) ও শীমন (২০)। তাদের বাড়ি সদর উপজেলায় গোসাইবাগ এলাকায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষ্যে আজ দুপুর ১২টার দিকে মুন্সীগঞ্জ শহরের পুরাতন বাসস্ট্যান্ড থেকে শোভাযাত্রা বের করে জেলা বিএনপি। এতে জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের পাশাপাশি দলটির নেতাকর্মীররা অংশ নেন। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় শোভাযাত্রাটি পৌঁছালে কিছু নেতাকর্মীর মধ্যে কথাকাটাকাটি ও হট্টগোল শুরু হয়য়। পরে তারা সংঘর্ষে জড়ান। এসময় আহত হন কয়েকজন। পরে শীর্ষ নেতাদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আহতদের মধ্যে দুইজন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিবি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “আমি শোভাযাত্রার অগ্রভাগে ছিলাম। পেছনে কারা হট্টগোল করেছে তা আমি দেখিনি। পরে নেতারা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। কথা কাটাকাটির জোরে কয়েকজনের মধ্যে ঘটনাটি ঘটতে পারে। তাদের বিষয়ে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”
মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আতাউর করিম বলেন, “আজ দুপুরে দুইজন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।”
মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ওসি সাইফুল আলম বলেন, “তুচ্ছে ঘটনা নিয়ে কিছুটা হট্টগোলের খবর পেয়েছি। তবে নিজেরাই তা মিটিয়ে নিয়েছেন। এ বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।”
ঢাকা/রতন/মাসুদ