বইমেলায় মোজাফ্ফর হোসেনের দুইটি বই
Published: 20th, February 2025 GMT
অমর একুশে বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে খ্যাতিমান লেখক মোজাফ্ফর হোসেনের একটি উপন্যাস এবং একটি প্রবন্ধগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। উপন্যাস ‘কল মি লাইকা’, প্রবন্ধগ্রন্থ ‘‘ব্রাহ্মসমাজে ইসলাম, সাহিত্যে সক্রিয়তাবাদ ও অন্যান্য”।
উপন্যাস ‘কল মি লাইকা’র প্রেক্ষাপ সম্পর্কে লেখক জানিয়েছেন, উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র প্রকৃতি-অন্তপ্রাণ এক কিশোর। নাম আলেক। সব সময় নিজের চিন্তাজগতে বসবাস করে সে। কিন্তু একটা ‘বিশেষ’ কারণে সমাজে তার আশ্রয় হয় না। প্রথমে স্কুল থেকে এরপর একে একে সব কিছু থেকে বের করে দেওয়া হয় তাকে। এক সময় পরিবারেও জায়গা হয় না তার।
প্রকৃতির মধ্যে মিশে যেতে থাকে পরিত্যক্ত আলেকের আশ্রয়হীন নিঃসঙ্গ জীবন। ওর বেঁচে থাকার স্বপ্ন, বিশ্বাস, ভালোবাসা, বেদনা ও উল্লাস—সবকিছু তলিয়ে যেতে থাকে হতাশার অতল গহ্বরে। আলেক একাকী অন্ধকার আকাশে চোখ তুলে লাইকার কথা ভাবে। তার মনে প্রশ্ন জাগে, পৃথিবীর কক্ষপথে নিক্ষিপ্ত লাইকা কি একবারের জন্যও বুঝেছিল, ওই যন্ত্রণাদায়ক মৃত্যু ওকে অমর করে দেবে? লাইকার মতো সেও কি কোনো এক্সপেরিমেন্টের অংশ? আলেকের সমান্তরালে তার পরিবারের প্রতিটি মানুষ এই উপন্যাসের প্রটাগনিস্ট। ‘অস্পৃশ্য’ ও ‘অনাশ্রিত’ জীবনের এই গল্প পাঠকদের নানাভাবে পীড়িত করবে, প্রশ্নবিদ্ধ করবে সমাজকে।
আরো পড়ুন:
রিয়াজুল হকের ‘দ্য আর্ট অব পিস’ একুশে বইমেলায়
একুশে বইমেলায় ফাল্গুনী তানিয়া`র তিন বই
উপন্যাসটি প্রকাশ করেছে ক্রিয়েটিভ ঢাকা। অমর একুশে বইমেলায় স্টল নম্বর ৬৩৭-৬৩৮। প্রচ্ছদ ও অলঙ্করণ করেছেন আবিদ-এ-আজাদ। মূল্য ৪৫০ টাকা।
মোজাফ্ফর হোসেনের প্রবন্ধগ্রন্থ ‘‘ব্রাহ্মসমাজে ইসলাম, সাহিত্যে সক্রিয়তাবাদ ও অন্যান্য” প্রকাশিত হয়েছে বিদ্যাপ্রকাশ থেকে।
প্রবন্ধগ্রন্থটির প্রেক্ষাপট সম্পর্কে লেখক জানিয়েছেন, তখনো বাংলা গদ্যে ইসলামচর্চা শুরু হয়নি, প্রকাশিত হয়নি পবিত্র আল কুরানের পূর্নাঙ্গ বাংলা অনুবাদ। খ্রিস্টধর্ম প্রচারে নিয়োজিত খ্রিস্টান মিশনারিগুলির উদ্যোগে হজরত মুহাম্মদ (সা.
বইটির প্রচ্ছদ করেছেন আবিদ-এ-আজাদ। এটির মূল্য রাখা হয়েছে ৪০০টাকা।
ঢাকা/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপন য স বইম ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
সৌদি আরব থেকে ফিরে বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার ফেনী পৌরসভা কাউন্সিলর খালেদ
ফেনীতে জুলাই অভ্যুত্থানে গত ৪ আগস্ট ছাত্র হত্যা মামলার পলাতক আসামি ও ফেনী পৌরসভার সাবেক কাউন্সিলর খালেদ খানকে (৪২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে ফেনীর আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে সোমবার দুপুরে সৌদি আরব থেকে ঢাকা ফিরে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁকে গ্রেপ্তার করে বিমানবন্দর থানা-পুলিশ।
গ্রেপ্তার খালেদ খান ফেনী শহরের ১০ নম্বর ওয়ার্ড পাঠানবাড়ি এলাকার সেলিম খানের ছেলে। পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার মহিপালে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের কাশিমপুর এলাকার শিক্ষার্থী ওয়াকিল আহমেদ। ওই ঘটনায় তাঁর মা মাহফুজা আক্তার বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার ১৩০ নম্বর আসামি সাবেক কাউন্সিলর খালেদ খান।
সরকার পরিবর্তনের পর সৌদি আরব যান খালেদ খান। সোমবার দুপুরে তিনি সৌদি আরব থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফিরলে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ফেনী পুলিশের একটি দল আজ মঙ্গলবার ভোরে তাঁকে ফেনী থানায় নিয়ে আসে।
ফেনী মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইকবাল হোসেন জানান, প্রাথমিকভাবে আসামি খালেদ খানের বিরুদ্ধে একটি হত্যা ও একটি হত্যাচেষ্টার মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী মেজবাহ উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, গ্রেপ্তার খালেদ খানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।