ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব অনুমোদন করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এখন থেকে কোম্পানির নাম হবে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পিএলসি।

ডিএসএইর ওয়েবসাইটের তথ্যানুসারে, ২৩ ফেব্রুয়ারি থেকে এই নাম পরিবর্তন কার্যকর হবে, অর্থাৎ সেদিন থেকে কোম্পানিটি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পিএলসি নামে পরিচিত হবে।

শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স। গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারের সর্বোচ্চ দাম ছিল ৮৬ টাকা এবং সর্বনিম্ন দাম ছিল ৫৫ টাকা। ২০২৪ সালে কোম্পানিটি ৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। এ ছাড়া ২০২৩ সালে ৫ শতাংশ, ২০২২ সালে ৫ শতাংশ, ২০২১ সালে ৬ শতাংশ ও ২০২০ সালে ৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডকে ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স পিএলসিতে রূপান্তরের অনুমতি দেন। এরপর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে এ বিষয়ে আবেদন করে কোম্পানিটি। সেই আবদনের পরিপ্রেক্ষিতে ডিএসই এ অনুমোদন দেয়। এর খবর আজ ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

ড্যাফোডিল কম্পিউটার্সের অনুমোদিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা এবং পরিশোধিত মূলধন ৪৯ কোটি টাকা।

ড্যাফোডিল প্রাথমিকভাবে কম্পিউটারের ব্যবসা দিয়ে কোম্পানির কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীকালে তারা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত সুমাইয়ার বাড়িতে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ

ছাত্রজনতার আন্দোলনে গত বছরের ২০ জুলাই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান গার্মেন্টসকর্মী সুমাইয়ার আক্তার। তার পরিবার ও শিশু সুয়াইবার সঙ্গে ঈদুল ফিতরের দিন (সোমবার) দেখা করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য উপদেষ্টা  মাহফুজ আলম। তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুলাহ আল আমিন, তামিম আহমেদ ও দক্ষিণাঞ্চলের সংগঠক শওকত জামিল। এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম শহীদ সুমাইয়ার মায়ের হাতে ঈদ উপহার ও আর্থ সহায়তা করেন।

সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে গত বছরের জুলাই মাসে ছাত্রজনতার গণআন্দোলনে ঘরের বরান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা গার্মেন্টর্কমী সুমাইয়া আক্তার (২০) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছিলেন। মারা যাওয়ার সময় সুমাইয়া আড়াই মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান রেখে যান। মা হারা সেই সুয়াইবার প্রথম ঈদ কাটলো আজ। এখন সুয়াইবার বয়স প্রায় ১০ মাস।

সুয়াইবার বাবা জাহিদও তার কোনো খোঁজখবর নিচ্ছেন না বলে জানিয়েছেন সুমাইয়ার পরিবার। এজন্যই মা-বাবাহীন সুয়াইবার ঈদ কাটছে নানি-খালা-মামার স্নেহ ভালবাসায়। দেশব্যাপী ছাত্র-জনতা যখন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় কাঁচপুর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জের পাইনাদিতে বাবা মায়ের কাছে বেড়াতে এসেছিলেন সুমাইয়া তার শিশু সুয়াইবাকে নিয়ে। আন্দোলনের সময় বাড়ির চার তলায় শিশু সুয়াইবাকে ঘুম পাড়িয়ে ২০ জুলাই বিকেলে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আন্দোলনের দৃশ্য দেখছিলেন সুমাইয়া। হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া একটি গুলি বারান্দার গ্রিল দিয়ে ঢুকে তার মাথায় বিদ্ধ হয়। এ সময় রক্তাক্ত অবস্থায় মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন সুমাইয়া। তাৎক্ষণিক পরিবারের সদস্যরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও সড়কেই মৃত্যু হয় সুমাইয়ার।

সম্পর্কিত নিবন্ধ