রিয়াজুল হকের ‘দ্য আর্ট অব পিস’ একুশে বইমেলায়
Published: 20th, February 2025 GMT
গবেষক, লেখক রিয়াজুল হকের নতুন গবেষণাধর্মী বই ‘দ্য আর্ট অব পিস’ অমর একুশে বইমেলায় এসেছে। বইটি অন্বেষা প্রকাশন থেকে প্রকাশিত হয়েছে। বইটির প্রচ্ছদ করেছেন মো. জহিরুল হক।
লেখক রিয়াজুল হক বলেন, ‘‘আমাদের অনেকের মধ্যেই একটা ধারণা রয়েছে যে, পবিত্র কুরআন মনে হয় শুধু জান্নাতের শান্তির কথা বলা বলেছে। বিষয়টা আসলে সেরকম নয়। দুনিয়ায় কীভাবে শান্তিতে থাকা যায়, কুরআনে সেই কথাও উল্লেখ আছে। কারণ দুনিয়ায় শান্তিতে না থাকতে পারলে আপনি কোনকিছুই ঠিক মতো করতে পারবেন না। এমনকি ঠিক মতো ইবাদত করার জন্য হলেও শান্তিতে থাকা প্রয়োজন। অর্থাৎ পরকালের প্রয়োজনেই দুনিয়ায় শান্তিতে থাকা দরকার।’’
অন্বেষা প্রকাশনের প্রকাশক মো.
আরো পড়ুন:
একুশে বইমেলায় ফাল্গুনী তানিয়া`র তিন বই
বইমেলায় জোবায়ের মিলনের গল্পগ্রন্থ ‘মাথাহীন মানুষের দেশে’
দ্য আর্ট অব পিস' বইটি অন্বেষার ওয়েবসাইট, রকমারিসহ অমর একুশে বইমেলায় অন্বেষার প্রকাশনের ৭০৯-৭১২ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকা/হাসান/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল য অন ব ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ফরিদপুরে কৃষকের জন্য বরাদ্দ সার বিক্রির চেষ্টা
ফরিদপুরে বিনামূল্যে কৃষকদের মাঝে বরাদ্দ করা সরকারি সার বিক্রির চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। এ সময় স্থানীয়রা হাতেনাতে আটক করলে চেয়াম্যানের এক সহযোগী ও ভ্যানচালক সার ফেলে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে ৩ বস্তা ইউরিয়া সার ও ৩ বস্তা ডিএপি সার জব্দ করে নিয়ে যায়।
সোমবার দুপুর ৩টার দিকে ফরিদপুর জেলা সদরের কানাইপুর ইউনিয়নের কানাইপুর বাজারের খুচরা সার বিক্রেতা মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই দোকানে সারগুলো বিক্রির চেষ্টা করা হয়েছিল।
স্থানীয় বাবু সরদার নামে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘ইউনুস নামে এক ব্যক্তি ভ্যানে করে সারগুলো নিয়ে আসেন। তিনি মনোরমা এন্টারপ্রাইজের সন্টুর দোকানে বিক্রির চেষ্টা করেন। এ সময় দোকানদার সার কিনতে অস্বীকার করলে আমি গিয়ে দেখি সরকারি সার। এ সময় ইউনুস দৌড়ে পালিয়ে যান। আমি পুলিশকে খবর দিই। পরে পুলিশ ও কৃষি কর্মকর্তারা সার নিয়ে যান।’
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সম্প্রতি জেলা পাট অধিদপ্তর কর্তৃক প্রতিটি ইউনিয়নে কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে সার বরাদ্দ দেওয়া হয়। এর মধ্যে কানাইপুর ইউনিয়নে ২৪০ জন কৃষকের মাঝে বিতরণের তালিকা করা হয়। সম্প্রতি বরাদ্দকৃত সার ইউনিয়ন পরিষদে পাঠানো হয়। তবে এসব সার বিতরণ করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানেন না সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা লতিফা আক্তার।
এসব সার বিতরণের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জেলা পাট অধিদপ্তরের উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা মো. রবিউল ইসলাম দাবি করেন, ৬ এপ্রিল কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২৪০ জনের মধ্যে ২০০ জনের মাঝে সার বিতরণ করা হয়েছে। প্রত্যেক কৃষকের মাঝে ৬ কেজি ইউরিয়া, ৩ টিএসপি, ৩ কেজি ডিএপি সার বিতরণ করা হয়। এছাড়া বাকি ৪০ জন কৃষক না আসায় সারগুলো পরিষদে রাখা হয়। পরবর্তীতে সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে কৃষকদের মাঝে বিতরণ করার কথা রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ মো. আলতাভ হুসাইন বলেন, আজ বন্ধের দিন থাকায় বলা যাচ্ছে না, আমার পরিষদের সার কিনা। কারণ, চাবি রয়েছে সচিবের কাছে। পরিষদ খুললে গোডাউন দেখে বলতে পারব।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইসরাত জাহান জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে কৃষি কর্মকর্তা ও প্রশাসনকে পাঠানো হয়েছে। তারা সারগুলো জব্দ করে নিয়ে এসেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।