একুশে বইমেলায় ফাল্গুনী তানিয়া`র তিন বই
Published: 20th, February 2025 GMT
ফাল্গুনী তানিয়া মূলত একজন গবেষক। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি তিনি বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা করেছেন। সাহিত্যের বিভিন্ন শাঁখায় বিচরণ রয়েছে তার। এবারের অমর একুশে বইমেলায় তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে তার। এর মধ্যে একটি গবেষণামূলক প্রবন্ধের, অন্য দুটি শিশুতোষ বই।
প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের তাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে শুরু করে মার্ক্সবাদ, নিম্নবর্গ, নারীবাদ, নব্য ইতিহাসবাদ, হাংরি আন্দোলন তত্ত্বসহ উপন্যাস, কবিতা, শিশুতোষ বিশ্লেষণের মাধ্যমে লেখা উনিশটি প্রবন্ধ নিয়ে প্রকাশিক হয়েছে গবেষণামূলক প্রবন্ধের ‘পাঠ ও পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের সাহিত্য’ বইটি। এটি প্রকাশিত হয়েছে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স থেকে।
এই গ্রন্থে সংকলিত প্রবন্ধগুলোতে ইম্প্রেশনিজম, মার্ক্সবাদ ফেমিনিজব্দ, সাবজস্টার্ন তত্ত্ব, উত্তর-ঔপনিবেশিক তত্ত্ব, নিও-মিস্টিসিজম ইত্যাদি তত্ত্বকে বিশ্লেষণের পরিপ্রেক্ষিত হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। পাশ্চাত্যের ভাত্ত্বিক ভাবনার শাশাপাশি প্রাদের হাংরি আন্দোলন এবং দেবেশ রায় কথিত প্রাচ্যের নিজস্ব গঠনরীতির অনুসন্ধান রয়েছে গ্রন্থটিতে। তবে সেগুলো তত্ত্ব ভারে ভারাক্রান্ত নয়, সহজ গদ্যে লেখা। গবেষণা ও ক্রিটিকাল থিঙ্কিংয়ের সক্ষমতার জন্য বিশেষ জরুরি বলে বিবেচনা করে প্রবন্ধকারের চিন্তার সারাৎসাত্রই এখানে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। মনোবিশ্লেষণ ও গভীর উপলব্ধির জন্য চিন্তার খোরাক রয়েছে এই গ্রন্থে। প্রবন্ধগুলো হয়ে উঠেছে ইতিহাস চেতনার এক অনন্য দলিল।
আরো পড়ুন:
বইমেলায় জোবায়ের মিলনের গল্পগ্রন্থ ‘মাথাহীন মানুষের দেশে’
বইমেলায় গাজী মুনছুর আজিজের ভ্রমণগ্রন্থ ‘পাখির খোঁজে বাংলাজুড়ে’
এবারের মেলায় বাংলাপ্রকাশ থেকে প্রকাশিত ফাল্গুনী তানিয়ার প্রথম শিশুতোষ বই ‘হারিয়ে গেল বানর ছানার মা’।
বইটি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘‘দুটো শিশুর সঙ্গে পরিণত হচ্ছি আমি। তাই ওদের চাহিদা মেটাতে শিশুদের জন্য লিখতে উৎসাহী হয়েছি। বইটি পড়লে শিশুরা বিভিন্ন প্রাণীর বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জানতে পারবে। আপনারা যারা বইটি শিশুদের পড়াবেন, ধাঁধাঁর মত করে আগে জিজ্ঞেস করতে পারেন এই বৈশিষ্ট্যগুলো কোন প্রাণীর বলোতো।’’
অন্য শিশুতোষ বই ‘তুমিই সেরা’ প্রকাশ করেছে পরিবার পাবলিকেশন্স। বইটি সম্পর্কে লেখক বলেন, ‘‘প্রতিটি শিশুই স্বতন্ত্র। শিশুবান্ধব পৃথিবী গড়ার জন্য সব শিশুর মনে তারা যে আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বোধটি তৈরি করা জরুরী। শিশুরা তাদের প্রকৃত ভালোবাসার জায়গাটি চিহ্নিত করতে পারলে অবশ্যই একটি সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলা সম্ভব। তুমিই সবার সেরা বইটি পড়লে শিশুরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে উঠবে। জীবনের দুঃসময় মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।’’
ফাল্গুনী তানিয়ার জন্ম ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৮২, যশোর জেলার শার্শা থানার সীমান্তবর্তী গ্রাম ফুলসরে। পিতা মো.
ফাল্গুনী তানিয়ার প্রথম গ্রন্থ 'হিমু এবং আমরা' হুমায়ূন আহমেদের কালজয়ী চরিত্র হিমুকে কেন্দ্র করে।
ঢাকা/হাসান/লিপি
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রবন ধ তত ত ব র জন য বইম ল
এছাড়াও পড়ুন:
সতর্কতার সঙ্গে লাইফ স্টাইল পরিবর্তন করতে হবে তামিমকে
“তামিমের যেটা হলো, ও এটাকে নিতে পারছে না। সাইকোলজিক্যালি মানতে পারছে না যে এটা হবে সে কল্পনা করতে পারেনি। তবে এটার কিন্তু অনেক ইতিহাস আছে। অনেক খেলোয়াড় মাঠে খেলার সময় মারা গেছে, অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেছে” -তামিম ইকবালের বর্তমান অবস্থা নিয়ে এমন তথ্য দিয়েছেন তামিমের চিকিৎসার জন্য গঠিত মেডিকেল বোর্ডের প্রধান প্রফেসর শাহাবুদ্দিন তালুকদার।
২৪ মার্চ বিকেএসপিতে হার্ট অ্যাটাকের পর তামিমকে ভর্তি করানো হয় সাভারের কেপিজে হাসপাতালে। সেখানে তাৎক্ষনিক হার্টে রিং পরানো হয়। অবস্থা কিছুটা স্থিতিশীল হলে পরদিন ২৫ মার্চ তাকে আনা হয় রাজধানীর এভার কেয়ার হাসপাতালে। দুই দিন পর আজ বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) তামিমের অবস্থা নিয়ে মেডিকেল বোর্ড প্রধান ব্রিফ করেন।
ইতোমধ্যে একজন কাউন্সিলরও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, “মানসিক অবস্থার জন্য আমরা একজন কাউন্সিলর ইনভলব করেছি। এটাকে কীভাবে মানিয়ে নেওয়া যায়। ওর প্রশ্ন শুনবে, জিজ্ঞাসা শুনবে, ওর প্যানিক শুনবে, তারপর সেভাবে ওই কাউন্সিলর গাইড করবেন।’’
আরো পড়ুন:
তামিমের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল, চলছে বিদেশে নেওয়ার প্রস্তুতি
পরিবারের ইচ্ছায় ঢাকায় তামিমকে স্থানান্তর
তামিমকে সিসিইউ থেকে কেবিনে আনা হয়েছে। পরিবার বিদেশে নেওয়ার কথা বললেও আপাতত সেটার প্রয়োজন নেই বলে জানিয়েছে চিকিৎসক। তবে এখন তাকে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকতে হবে। চিকিৎসকের নির্দেশনা অনুযায়ী চলতে হবে। বিশেষ করে জীবনযাপনে পরিবর্তন আনতে হবে।
শাহাবুদ্দিন বলেন, “আমাদের যে নির্দেশনা, এমন হার্ট অ্যাটাকের পর এসব রোগীদের খুবই সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। তাদের এটা হওয়ার প্রবণতা আবার থাকতে পারে। ব্লক না হলেও হতে পারে। তাই ওকে অ্যাসেস করতে হবে। নিয়মিত ফলোআপে থাকতে হবে। লাইফ স্টাইল বদলাতে হবে, মোটিভেশন করতে হবে। ডায়েট, ডিসিপ্লিন ও ড্রাগস... তামিমের টিম ও তামিমের পরিবার এবং তামিমকে নিজেরও আমাদের সঙ্গে কো-অপারেট করতে হবে।’’
ঢাকা/রিয়াদ/আমিনুল