চাঁদপুর জেলা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ২১৩ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণার এক দিন পর ১৬০ জন সদস্য পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন। গতকাল বুধবার রাতে চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা এ ঘোষণা দেন।

তাঁদের অভিযোগ, কোনো ধরনের আলোচনা না করেই সংগঠনের কেন্দ্র থেকে নতুন কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এতে চাঁদপুরের অনেক ত্যাগী নেতাকে উপক্ষো করা হয়েছে।

গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে সংবাদ সম্মেলন শুরু হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন নতুন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদ শিহাব। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমরা জুলাইয়ে একটি ম্যান্ডেট নিয়ে সারা দেশের মতো চাঁদপুরেও আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছি। কিন্তু আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ না করে কেন্দ্র থেকে ২১৩ সদস্যের একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আমরা এর কিছুই জানি না। আমরা মনে করি, একটি কুচক্রী মহলের যোগসাজশে এই কমিটি থেকে চাঁদপুরের অনেক ত্যাগী নেতাকে উপক্ষো করা হয়েছে। এতে করে তীব্র বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আমরা মনে করি, এটি বিতর্কিত কমিটি। এ জন্য কেন্দ্র ঘোষিত এই কমিটি থেকে আমরা ১৬০ জন সদস্য এই কমিটি বয়কট করে গণপদত্যাগের ঘোষণা দিচ্ছি।’  

মুজাহিদ শিহাব আরও বলেন, ‘আমরা দাবি করছি, যতক্ষণ পর্যন্ত এই কমিটি বাতিল না করা হবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা এই সিদ্ধান্তে অটল থাকব। প্রয়োজনে এই কমিটি বাতিলের জন্য নতুন কর্মসূচি দেব।’

গত মঙ্গলবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সদস্যসচিব আরিফ সোহেল স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে চাঁদপুর জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়। ২১৩ সদস্যের এই কমিটিতে নাদিম পাটওয়ারীকে আহ্বায়ক ও সৈয়দ সাকিবুল ইসলামকে সদস্যসচিব করা হয়েছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

শিল্পকলায় অনুষ্ঠিত হলো ‘সাধুমেলা’

মানবিকতা ও ঐক্যের শাশ্বত বার্তা সমাজের প্রতিটি হৃদয়ে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের আয়োজনে গত ১৭ এপ্রিল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একাডেমির নন্দনমঞ্চে অনুষ্ঠিত হয়েছে সাধুমেলা “মানুষ ভজলে সোনার মানুষ হবি”।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তি বিভাগের পরিচালক মেহজাবীন রহমান। সাধুমেলায় শুরুতে সমবেত কণ্ঠে লালনের ‘ভক্তিমূলক গান’ পরিবেশিত হয়। লালনসংগীত পরিবেশন করেন ফকির শামসুল সাঁই, ‘তিন পাগলে হলো মেলা’ পরিবেশন করেন মেহেরুন নেসা পূর্ণিমা। উপস্থাপনা করেন শেখ জামাল উদ্দিন টুনটুন। শ্রীকৃষ্ণ গোপাল পরিবেশন করেন ‘লীলার যার নাইরে সীমা’ এবং ‘দেখো দেখো মনো রায় হয়েছে’। গান পরিবেশন করেন দিপা মণ্ডল। ওমর আলী পরিবেশন করেন ‘আচলা ঝোলা তিলক মালা’। লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোঃ মিরাজ সিকদার ‘আমি ওই চরণে দাসের যোগ্য নই’, আকলিমা ফকিরানী এবং লাভলী শেখ ‘রসো প্রেমে ঘাট ভাড়িয়ে তরী বেওনা’।

পরিবেশনা নিয়ে মঞ্চে আসেন মোঃ সমির হোসেন, ফারজানা আফরিন ইভা পরিবেশন করেন ‘আমায় রাখিলেন সেই কূপজল করে’ এবং লালনের গান ‘মন তোর এমন জনম আর কী হবে রে’ পরিবেশন করেন মোঃ মুক্তার হোসেন। এরপর লালনসংগীত পরিবেশন করেন মোসাঃ লিনা খাতুন ‘কোথায় সে অটল রূপে বারাম দেয়’, মনিরুল ইসলাম এবং আবু শাহীন খান ‘চিরদিন পুষলাম এক অচিন পাখি’। সবশেষে সমবেত কণ্ঠে পরিবেশিত হয় লালনের গান।   
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ