Samakal:
2025-04-01@16:51:58 GMT

টপঅর্ডারে রান চান শান্ত

Published: 20th, February 2025 GMT

টপঅর্ডারে রান চান শান্ত

পাকিস্তান-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে গতকাল উদ্বোধন হলেও বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি শুরু আজ ভারতের বিপক্ষ ম্যাচে। নিরপেক্ষ ভেন্যু আরব আমিরাতের দুবাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলবেন নাজমুল হোসেন শান্তরা। যে ম্যাচ ঘিরে বাড়তি উত্তাপ ছড়াচ্ছে মরুতে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, গ্রুপ প্রতিপক্ষ এবং নিজেদের দল নিয়ে গতকাল অনেক প্রশ্নের জবাব দিতে হয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে। তিনি বলেন, কন্ডিশনে মানিয়ে নিয়ে ভালো ক্রিকেট খেলে ম্যাচ জিততে চেষ্টা করবেন। 

ভারত, পাকিস্তানের মতো বাংলাদেশ ফেভারিট না। এটা বাড়তি সুবিধা? 
শান্ত:
এই টুর্নামেন্টের আটটি দলই মানসম্পন্ন। ভারত, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভালো স্মৃতিও আছে আমাদের। সম্প্রতি নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে কয়েকটি ম্যাচও জিতেছি। আমরা কাল পরিকল্পনামতো খেলতে পারলে এবং স্কিল কার্যকর করতে পারলে, ভালো ম্যাচ হবে।

বাংলাদেশ দলে বেশ কয়েকজন অলরাউন্ডার আছেন। বেশি অলরাউন্ডার থাকা কি দলের জন্য ভালো?
শান্ত:
অলরাউন্ডার সব সময় দলে ভারসাম্য আনে। আমাদের কয়েকজন ভালো অলরাউন্ডার আছে। আশা করি, তারা কাল পারফর্ম করবে এবং দলের জন্য খেলবে। 

নাহিদ রানার মতো ফাস্ট বোলার আছেন। পেস বোলিংয়ে কার্যকর হওয়ার ব্যাপারে কতটা আত্মবিশ্বাসী?
শান্ত:
আমরা গত কয়েক বছর কয়েকজন মানসম্পন্ন ফাস্ট বোলার পেয়েছি। নাহিদ রানা, তাসকিন আহমেদ যেভাবে বোলিং করছে, তা দলকে অনেক হেল্প করে। অধিনায়ক হিসেবে আমার চাওয়া, তারা গতি কাজে লাগিয়ে দলের জন্য কার্যকর বোলিং করবে। আমি খুশি, আমাদের দারুণ একটি ফাস্ট বোলিং ইউনিট আছে। এখানে কৃত্রিম আলোতে বল সুইং করবে। তারা ভালো জায়গায় বল করতে পারলে দল লাভবান হবে। 

বিপিএলের কারণে ওয়ানডে খেলা হয়নি। ৫০ ওভারের ক্রিকেটে ব্যাটারদের মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে কিনা? 
শান্ত:
আমার মনে হয় না কোনো সমস্যা হবে। এই সংস্করণে আমরা অনেক ম্যাচ খেলেছি। বিপিএলের কয়েকজন ব্যাটার খুব ভালো করেছে। তারা অনেক রান করেছে, যেটা আমাদের আত্মবিশ্বাস দেবে। 

পাকিস্তানের মতো দুবাইয়েও কি হাই স্কোরিং ম্যাচ হতে পারে?
শান্ত:
পাকিস্তানের মতো এই ভেন্যুতে রান হবে। সম্প্রতি আমরা পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্ট ম্যাচ খেলেছি। আমরা জানি, উইকেট কেমন হবে। তবে আমরা জানি, ক্রিকেটার হিসেবে কখন, কোথায়, কীভাবে মানিয়ে নিয়ে গেম খেলতে হবে। আমার মনে হয় না, এটা কঠিন হবে। আমি নিশ্চিত, ছেলেরা জানে এ দুই ভেন্যুতে কীভাবে ক্রিকেট খেলবে। 

বাংলাদেশের পেস ইউনিট গড়ে ওঠার পেছনে কোচদের কী ধরনের ভূমিকা রয়েছে?
শান্ত:
আমার মনে হয় উইকেট এবং বল পরিবর্তন করায় এটা হয়েছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট এখন ডিউক বলে খেলা হয়। লোকাল এবং বিদেশি অনেক কোচ আছেন, যারা বোলারদের উত্থানে সাহায্য করেছেন। তারা ফাস্ট বোলারদের উজ্জীবিত করেছেন কীভাবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হয়। 

ভারতের বিপক্ষে নাহিদ রানার খেলার তেমন অভিজ্ঞতা নেই। তাঁর জন্য মানিয়ে নেওয়া কতটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে?
শান্ত:
ভারতের বিপক্ষে সম্প্রতি একটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে রানা। কিছুটা অভিজ্ঞতা আছে। কাল তাকে ভালো খেলতে হবে। আমি যতটা বুঝি, সে প্রতিপক্ষ নিয়ে খুব বেশি ভাবে না। নিজের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা নিয়ে ভাবে। কাল যদি খেলে আশা করব, দলের ভালোর জন্য সে তার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে। 

নিজেদের মধ্যে একটি প্রস্তুতি ম্যাচে ৩৩০ প্লাস রান করেছিলেন। এই টুর্নামেন্টে ওই ধরনের রান হতে পারে। এ ধরনের স্কোর করতে কতটা প্রস্তুত আছেন?
শান্ত:
উইকেট যে রকম থাকবে, ওই অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব আমরা। আমার মনে হয়, ওপরের দিকে যারা ব্যাটিং করে, তাদের লম্বা ইনিংস খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। যখন ওপরের শুরুটা ভালো করতে পারব, তখনই বড় রান করা সম্ভব। অবশ্যই কালকে উইকেট কন্ডিশন মেলানোর পর ওইভাবে আমরা ব্যাটিংটা করার চেষ্টা করব। আর অতীতে আমরা অনেক বড় বড় রান করেছি। আমি বিশ্বাস করি, আমাদের ওই সামর্থ্যটুকু আছে। প্রস্তুতির দিক থেকে আমরা ভালো অবস্থানে আছি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল র জন য আম দ র র ন কর ন র মত উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

‘বিশ্বকাপে না গেলে পিছিয়ে যাব’, সাক্ষাৎকারে জ্যোতি

ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজ হেরে যাওয়ায় সরাসরি ওয়ানডে বিশ্বকাপে উন্নীত হয়নি বাংলাদেশ। নিগার সুলতানা জ্যোতিদের কোয়ালিফাইং রাউন্ড খেলে যেতে হবে বিশ্বকাপে। তিনি সতীর্থদের আহ্বান জানালেন, পাকিস্তানে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপ বাছাই টুর্নামেন্টে সেরাটা উজাড় করে খেলতে। জাতীয় দলের উত্থান-পতন, বিসিবির সুযোগ-সুবিধা, ছেলেমেয়ে বৈষম্য নিয়ে মন খুলে বিশ্লেষণ করেছেন নিগার সুলতানা জ্যোতি। তাঁর কথা শুনেছেন সেকান্দার আলী

সমকাল: সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার প্রত্যাশা থাকলেও তা পূরণ হয়নি। কোয়ালিফায়ার খেলে বিশ্বকাপে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু?
জ্যোতি:
খেলোয়াড়, ম্যানেজমেন্ট, বিসিবি সবারই প্রত্যাশা ছিল সরাসরি বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করা। ওয়েস্ট ইন্ডিজে একটি ম্যাচ জেতার পর আমাদের ভেতরে আত্মবিশ্বাসও এসেছিল। দুর্ভাগ্যজনক হলেও সেটা করতে পারিনি। আমাদের কারণেই বড় একটি সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে। এখন কোয়ালিফায়ার খেলে বিশ্বকাপে যেতে হবে। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের মধ্য দিয়ে আমরা সে প্রস্তুতি নিয়েছি। বিসিবি কোয়ালিফায়ারের জন্য দলও ঘোষণা করেছে। এতে যেটা ভালো হয়েছে, সবাই নিজের মতো করে প্রস্তুতি নিতে পারবে। এখন দল হিসেবে ভালো ক্রিকেট খেলা গেলে ভালো কিছু করার সম্ভাবনা থাকবে।

সমকাল: বিশ্বকাপের চেয়ে কোয়ালিফায়ার খেলা কি বেশি চাপের?
জ্যোতি:
কোয়ালিফাইং রাউন্ড সবচেয়ে বেশি চ্যালেঞ্জিং। কারণ, এখানে ভুল করলে বড় সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার শঙ্কা থাকে। প্রতিটি দলই চায় বিশ্বকাপ খেলতে। অথচ বিশ্বকাপে উন্নীত হবে মাত্র দুটি দল। সেদিক থেকে বিশ্বকাপ বাছাই টুর্নামেন্ট খুবই চ্যালেঞ্জিং। আমরা কতটা দক্ষতার সঙ্গে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারব, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।

সমকাল: অস্ট্রেলিয়া সিরিজের পর থেকে লম্বা সময় ভালো খেলছেন না। কারণ কী?
জ্যোতি:
ছেলেমেয়ে সব জায়গায় একটা বিষয় থাকে আমাদের। আমরা ওভারকাম করতে পারি না। মেয়েদের ভেতরে জিনিসটা বেশি দেখছি। একটা সিরিজ খারাপ যেতে পারে, পরের সিরিজে তো ফিরে আসবে। অথচ সেখান থেকে আমরা গুছিয়ে ফিরতে পারি না। নারী ক্রিকেটে এটা সবচেয়ে বড় দোষ বলতে পারেন। আমরা ব্যক্তিগতভাবে ভালো করলে দলের কাজে লাগবে। আমাদের পারফরমার বেরিয়ে আসা উচিত। ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলতে পারে এ রকম কিছু খেলোয়াড় তৈরি হয়েছে। সামগ্রিকভাবে যদি পারফর্ম করতে পারি, তাহলে উন্নতি দেখতে পাবেন। তবে এ মুহূর্তে বেশি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করা। না পারলে নারী ক্রিকেট নিচে নেমে যাবে। আর বিশ্বকাপ খেলতে পারলে দেশের ক্রিকেট ফোকাসে থাকবে। চাপমুক্ত থেকে আমরা স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলে ভালো হবে ইনশাআল্লাহ।

সমকাল: ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন ছিল। বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের ফিটনেস এখন কোন পর্যায়ে?
জ্যোতি:
আমরা যেটা মনে করি, মেয়েরা আগের চেয়ে অনেক বেশি মনোযোগী। আমি মনে করি, ব্যক্তিগতভাবে ভালো করতে হলে নিজের ফিটনেসে উন্নতি করতে হবে। কারণ, বিশ্ব ক্রিকেট যেভাবে এগোচ্ছে, সেখানে নিজেকে ধরে রাখতে হলে সবদিক থেকে উন্নতি করতে হবে।

সমকাল: টপঅর্ডার ব্যাটিং নিয়ে কি বেশি দুশ্চিন্তা?
জ্যোতি:
বিগত দিনে যে টিম ম্যানেজমেন্ট ছিল, তারা খেলোয়াড়দের ফ্রিডম দেওয়ার চেষ্টা করেছে। বিশেষ করে ব্যাটাররা অনেক স্বাধীনতা ভোগ করেছে। টপঅর্ডার ব্যাটাররা অনেক স্বাধীনতা পেয়েছে। কোনো কোচিং স্টাফকে এতটা স্বাধীনতা দিতে দেখিনি। তাদের রোল দেওয়া হয়েছে এবং বলা হয়েছে, রান না করতে পারলেও বাদ পড়বে না। এই স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, যাতে ধারাবাহিক ভালো খেলতে পারে। যাতে ভয় না করে খারাপ খেললে পরের ম্যাচে থাকবে কিনা। এর পরও ভালো করতে না পারার অর্থ হলো, খেলোয়াড়দের মানসিকতায় ঘাটতি। দু-একজন খেলোয়াড় আবার সব ম্যাচ ভালো খেলে। স্বর্ণা খুব দ্রুত রান তোলে। এ রকম কয়েকজন ক্রিকেটার আরও দরকার। সমস্যা হচ্ছে, টপঅর্ডার ফেল করলে মিডল অর্ডারে চাপ পড়ে। সুপ্তা আপা যোগ হওয়ায় ওপরে কিছুটা ভারসাম্য এসেছে। ইসমাকে নতুনভাবে নেওয়া হয়েছে। সে খুব ভালো স্ট্রাইক রোটেট করতে পারে। টপঅর্ডার ব্যাটারদের স্ট্রাইক রেট ভালো থাকলে আমরা যারা মিডল অর্ডারে খেলি, দেখা যাবে কাজটা সহজ হয়ে যাবে। ২৫০ রান করতে পারলে আমাদের যে বোলিং অ্যাটাক, তাতে যে কোনো দলকে ধরে রাখা সম্ভব।

সমকাল: এখন তো সুযোগ-সুবিধা ভালো, মেয়েরা কি নিজেদের উন্নতির জন্য চেষ্টা করে?
জ্যোতি:
আমার কাছে মনে হয়, আগের চেয়ে অনেক বেশি করে। আগে একটা বিষয় ছিল, আমার পরে কেউ নেই। ভালো খেললেও সমস্যা নেই, খারাপ খেললেও সমস্যা না। কারণ, আমার পেছনে কেউ নেই। এখন কিন্তু সে রকম না। বিকল্প খেলোয়াড় ঘাড়ের ওপর কড়া নাড়ছে। এই চিন্তার কারণে স্বাস্থ্যকর প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়। এতে করে উন্নতি করার একটা চ্যালেঞ্জ কাজ করে খেলোয়াড়দের মধ্যে। ওই দিক থেকে বলব, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার মানসিকতা আগের চেয়ে বেড়েছে। সিনিয়র ক্রিকেটার বাদ পড়েছে, লিগে ভালো করে আবার দলে ফিরেছে। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা যতদিন থাকবে, ততদিন উন্নতির ধারাবাহিকতা থাকবে। 

সমকাল: ছেলে ও মেয়েদের ক্রিকেটে আর্থিক দিক দিয়ে বড় পার্থক্য...
জ্যোতি:
এই তুলনায় গেলে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা হবে না। আকাশ-পাতাল পার্থক্য। ক্রিকেট বোর্ড চেষ্টা করছে ব্যবধান কমিয়ে আনার। শুধু বোর্ড একা এই বৈষম্য কমাতে পারবে না। ছেলেদের ক্রিকেটে যেভাবে স্পন্সর আসে, মেয়েদের ক্রিকেটে আসে না। কিন্তু জাতীয় দলের সুযোগ-সুবিধাগুলো ছেলেদের মতোই পাচ্ছি। আর্থিক সুবিধা বেড়েছে, টুর্নামেন্টের সংখ্যা বেড়েছে, জাতীয় দলের সিরিজ বেড়েছে। এটা ভালো দিক। ২০২২ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপের পরে এফটিপিতে ঢোকার পর অনেক সিরিজ খেলার সুযোগ হয়েছে। যেটা দেশে এবং বিশ্বের কাছে মেয়েদের ক্রিকেটকে পরিচিতি দিয়েছে। বিপিএলটা আয়োজন করা গেলে হয়তো আরও লাভবান হতো খেলোয়াড়রা। 

সমকাল: জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু– বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। এবারের ঈদের খুশি নিশ্চয়ই বেশি হবে?
জ্যোতি:
হাসি ...। এখনও বিয়ের অনুষ্ঠান হয়নি। আকদ হয়েছে। খেলা নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে। আর এবার পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার সুযোগ থাকছে না। কারণ, ৩ এপ্রিল পাকিস্তান যেতে হবে বিশ্বকাপ কোয়ালিফাইং টুর্নামেন্ট খেলতে। এই ঈদ ঢাকায় টিমমেটদের সঙ্গে করব।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বিশ্বকাপে না গেলে পিছিয়ে যাব’, সাক্ষাৎকারে জ্যোতি