‘স্বৈরশাসক’ জেলেনস্কির যুদ্ধ জড়ানো ঠিক হয়নি: ট্রাম্প
Published: 20th, February 2025 GMT
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরশাসক’ বলে অভিহিত করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার সঙ্গে তার যুদ্ধে জড়ানো ঠিক হয়নি বলেও মন্তব্য করেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) বিবিসিএর এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের ফলে দুই নেতার মধ্যে বিভেদ আরো গভীর হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বৈঠক হয় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু সেখানে রাখা হয়নি ইউক্রেনকে। আমন্ত্রণ না জানানোর বিষয়টি ভালোভাবে নেননি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। এ নিয়ে তার প্রতিক্রিয়ার জানানোর পর ট্রাম্প এমন মন্তব্য করলেন।
মঙ্গলবার ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের পাম বিচে নিজের মালিকানাধীন এক রিসোর্টে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “জেলেনস্কি জো বাইডেনকে তবলার মতো বাজিয়েছিলো।”
জেলেনস্কিকে ‘স্বৈরশাসক’ অবিহিত করে ট্রাম্প বলেন, “আপনার এটা (যুদ্ধ) শুরু করা উচিত ছিল না। আপনি একটি চুক্তি করতে পারতেন।”
গত বছর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেলনস্কির পাঁচ বছরের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। এ নিয়ে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, “নির্বাচন ছাড়া একজন স্বৈরশাসক জেলেনস্কির দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত, না হলে তার আর কোনো দেশ থাকবে না।”
এর আগে, মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেনের নেতার প্রতি জনসমর্থনের হার ৪ শতাংশে নেমে এসেছে।
বুধবার সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এই পরিসংখ্যান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
জেলেনস্কি বলেন, এটা অপতথ্য। ইউক্রেনের কাছে ‘প্রমাণ’ আছে যে, ৪ শতাংশ জনসমর্থনের অপতথ্য রাশিয়া ছড়িয়ে দিচ্ছে এবং এই পরিসংখ্যানগুলো যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে আলোচনা করা হচ্ছে।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইউক র ন র প র স ড ন ট
এছাড়াও পড়ুন:
ট্রাম্পের চিঠির জবাব দিয়েছে ইরান
পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে নতুন চুক্তির আহ্বান জানিয়ে ইরানকে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চিঠির জবাব দিয়েছে তেহরান। ওমানের মাধ্যমে এই জবাব দেওয়া হয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে।
ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনার বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচিকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ট্রাম্পের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ইরানের জবাব ‘ওমানের মাধ্যমে যথাযথভাবে পাঠানো হয়েছে’।
আরাগচি বলেন, ‘সর্বোচ্চ চাপ ও সামরিক হুমকির মধ্যে থাকা অবস্থায় সরাসরি আলোচনায় যুক্ত না হওয়ার আমাদের নীতি এখনো বহাল আছে। তবে অতীতের মতো পরোক্ষ আলোচনা চলতে পারে।’
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জবাবের মধ্যে একটি চিঠি রয়েছে, যেখানে বর্তমান পরিস্থিতি ও ট্রাম্পের চিঠির বিষয়ে আমাদের অভিমত বিস্তারিত তুলে ধরেছি।’
আরও পড়ুনইরানের নেতাকে ট্রাম্পের চিঠি০৭ মার্চ ২০২৫‘সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের’ নীতির অংশ হিসেবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২০১৮ সালে তাঁর প্রথম মেয়াদে ইরানের সঙ্গে হওয়া পারমাণবিক চুক্তি থেকে একতরফা সরে আসেন এবং দেশটির ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার শর্তে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রসহ প্রভাবশালী দেশগুলোর সঙ্গে ওই চুক্তি করেছিল ইরান।
৭ মার্চ প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেছিলেন, পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে আলোচনায় বসতে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনিকে তিনি চিঠি লিখেছেন। তেহরান আলোচনায় বসতে রাজি না হলে সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ারও হুমকি দিয়েছেন ট্রাম্প।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের মাধ্যমে ওই চিঠি দেওয়া হয়েছিল। চিঠিতে আলোচনায় বসার জন্য ইরান দুই মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।