সারা দুনিয়ার তরুণেরা বুঁদ, কী আছে এই সিরিজে
Published: 20th, February 2025 GMT
ব্যয়বহুল রিসোর্ট, অবকাশযাপন, ‘অনৈতিক’ ব্যাপারস্যাপার, সম্পর্কের গল্প নিয়ে ‘দ্য হোয়াইট লোটাস’। এইচবিও আর এইচবিও ম্যাক্সে ২০২১ সালে যখন সিরিজটির প্রথম মৌসুম মুক্তি পায়, তখনই ব্যাপক প্রশংসিত হয়। বলা যায়, সারা দুনিয়ার তরুণেরাই সিরিজটিতে বুঁদ ছিলেন। ২০২২ সালে পরের মৌসুমের ক্ষেত্রেও একই ব্যাপার ঘটে। তাই তৃতীয় মৌসুমের অপেক্ষা যেন আর ফুরাচ্ছিলই না। অবশেষে ১৬ ফেব্রুয়ারি এসেছে তৃতীয় মৌসুমের প্রথম পর্ব, মুক্তির পর থেকেই দর্শক-সমালোচকেরা বলছেন, তিন বছরের অপেক্ষা বৃথা যায়নি।
‘দ্য হোয়াইট লোটাস’ নিয়ে লিখতে গিয়ে শিরোনামে ‘ডেলিসিয়াস’ শব্দটি রেখেছেন বেশ কয়েকজন সমালোচক। আসলেই সিরিজটি দারুণ। জনপ্রিয় সব পর্যটনকেন্দ্রে শুটিং, সময়ের সঙ্গে যায় এমন সব বিষয়; তাই বোদ্ধা থেকে সাধারণ দর্শক, সবারই সিরিজটি পছন্দ। তবে এসব ছাপিয়েও বড় কারণ হলো, নির্মাতাদের বার্তা। কার্যত পুরো সিরিজেই পুঁজিবাদী সমাজ নিয়ে বার্তা দিতে চেয়েছেন নির্মাতারা। আর গুরুগম্ভীর কোনো সংলাপ বা অতি নাটকীয়তা ছাড়াই ডার্ক কমেডির মোড়কে সেটা দেওয়া হয়েছে।
সিরিজে ‘মক’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন লিসা। এএফপি.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ফ্রিজ অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা উত্তোলন, প্রিমিয়ার ব্যাংককে জরিমানা
প্রিমিয়ার ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এইচবিএম ইকবালের ফ্রিজ করা অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দেওয়ায় ব্যাংকটিকে বড় অঙ্কের জরিমানা করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। ব্যাংকের বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবালের ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক পরিদর্শনে বিষয়টি ধরা পড়ার পর সমপরিমাণ ১ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ৩০ হাজার ডলার সমপরিমাণ প্রায় ৩৭ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বুধবার বিএফআইইউ এ-সংক্রান্ত চিঠি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে পাঠিয়েছে বলে জানা গেছে।
বিএফআইইউ গত নভেম্বরে এইচবিএম ইকবাল, তার বর্তমান স্ত্রী অভিনেত্রী আঞ্জুমান আরা শিল্পী এবং তিন সন্তান মঈন উদ্দিন ইকবাল, ইমরান ইকবাল ও নওরীন ইকবালের অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে। পাশাপাশি তাদের একক মালিকানায় কোনো প্রতিষ্ঠান থাকলে সে হিসাবও ফ্রিজ করতে বলা হয়। এই নির্দেশনা অমান্য করে ব্যক্তি হিসাব থেকে ১ কোটি ১১ লাখ টাকা এবং ৩০ হাজার ডলার সরিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংক। যে কারণে ব্যাংকটিকে সমপরিমাণ জরিমানা করা হয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিশেষ আশীর্বাদে এইচবিএম ইকবাল পরিবারই এখনও প্রিমিয়ার ব্যাংক চালাচ্ছে। বিভিন্ন জালিয়াতির সঙ্গে যুক্ত থাকার সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকার পরও অদৃশ্য কারণে সরকার পতনের পর প্রিমিয়ার ব্যাংকের চেয়ারম্যান হওয়ার সুযোগ পেয়েছেন চেয়ারম্যান এইচবিএম ইকবালের ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল।
গত ৫ আগস্টের পর থেকে এইচবিএম ইকবাল পলাতক। বিদ্যমান নিয়মে টানা তিন মাস পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে অনুপস্থিত থাকলে পদ হারাবেন। এ রকম ঝুঁকির কারণে গত ১২ জানুয়ারি তিনি এবং তার আরেক ছেলে ব্যাংকটির ভাইস চেয়ারম্যান মইন ইকবাল ই-মেইল যোগে পদত্যাগপত্র পাঠান। এরপর ১৪ জানুয়ারি পরিচালনা পর্ষদের সভায় তা অনুমোদন হয়। এছাড়া এইচবিএম ইকবালের পছন্দের অন্য পরিচালকরা বহাল আছেন। ইকবাল পরিবারের একক আধিপত্যের কারণে ব্যাংকের কাছে বিভিন্ন ভবন ভাড়া দিয়ে কয়েকগুণ টাকা নেওয়া, বিভিন্ন কমিশন বাণিজ্যসহ নানা উপায়ে অনৈতিক সুবিধা অব্যাহত আছে।
জানা যায়, এইচবিএম ইকবাল প্রিমিয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান। গ্রুপটির অধীনে পাঁচ তারকা হোটেল, রেস্টুরেন্ট, সিমেন্টসহ বিভিন্ন ব্যবসা রয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার করে গুলশানে হোটেল রেনেসন্স, হিলটন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট এবং রয়াল ইউনিভার্সিটি অব ঢাকা নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা ও সরকার ঘনিষ্ঠ কিছু ব্যবসায়ী গ্রেপ্তার হয়েছে। নানা অনিয়ম হয়েছে এরকম ১৫টি ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিগত সরকারের সময়ে প্রিমিয়ার ব্যাংক বিভিন্ন অনিয়মের কারণে আলোচনায় ছিল। ১৯৯৯ সালে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনি চেয়ারম্যানের পদ আঁকড়ে রাখেন। এবারই প্রথম তার ছেলেকে চেয়ারম্যান করা হয়েছে।