চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশ: সবচেয়ে গৌরবের গল্পটা এখানেই
Published: 20th, February 2025 GMT
ইতিহাসের প্রথম চ্যাম্পিয়নস ট্রফিটা হয়েছিল বাংলাদেশেই। উইলস ইন্টারন্যাশনাল কাপ, এই পোশাকি নামের টুর্নামেন্টে বাংলাদেশ অবশ্য দর্শক হয়েই ছিল। ঘরের মাঠে সুযোগ না হলেও ২০০০ সালে কেনিয়ায় দ্বিতীয় আসরে প্রথমবারের মতো খেলতে নামে বাংলাদেশ। ২০০৬ সাল পর্যন্ত টানা চারটি টুর্নামেন্ট খেলা বাংলাদেশ সুযোগ পায়নি ২০০৯ ও ২০১৩ সালে। ২০১৭ সালে ফিরেই সেমিফাইনালে ওঠা বাংলাদেশ এবার খেলছে ষষ্ঠ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।২০০০চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচে ৬৩ রানে অপরাজিত ছিলেন ওপেনার জাভেদ ওমর
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভূমিকম্পের প্রভাব, কমতে পারে কনডোমিনিয়ামের ফ্ল্যাট বিক্রি
দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ার ভয়াবহ ভূমিকম্পে থাইল্যান্ডের এক বহুতল ভবন ধসে পড়েছে। অনেক বহুতল ভবনের ছাদে অবস্থিত সুইমিংপুল থেকে পানি উপচে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে থাইল্যান্ডের আবাসন খাতে নতুন সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা।
ব্যাংককের বেশির ভাগ ভবন ভূমিকম্প–প্রতিরোধী হলেও এই ভূমিকম্পের পর কাঠামোগত দৃঢ়তা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী দুই মাস থাইল্যান্ডের বহুতল কনডোমিনিয়ামে ফ্ল্যাট বিক্রির গতি কমে যেতে পারে। খবর দ্য নেশন থাইল্যান্ডের। আবাসন খাতের পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কোলিয়ার্স ইন্টারন্যাশনাল থাইল্যান্ডের গবেষণা ও যোগাযোগবিষয়ক পরিচালক ফাত্তারাচাই তাউইওং বলেন, ‘বর্তমানে বাজারে অনেক অবিক্রীত কনডোমিনিয়াম আছে। এবারের ভূমিকম্পে নেতিবাচক প্রভাব পড়ায় এখন তা আরও চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে।’
ফাত্তারাচাই তাউইওং আরও বলেন, ‘ক্রেতারা বর্তমানে কাঠামোগত দৃঢ়তা, ভবনের নিরাপত্তা ও ভূমিকম্প প্রতিরোধক্ষমতা সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছেন। সে কারণে বছরের শুরুতে কনডোমিনিয়াম বিক্রি পূর্বাভাসের তুলনায় কমে যেতে পারে।’
এই ভূমিকম্পের উৎপত্তি মিয়ানমারে। ৭ দশমিক ৭ তীব্রতার ভূমিকম্পের প্রভাব মিয়ানমারের প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডেও ভয়াবহভাবে অনুভূত হয়েছে। এতে দেশটির রাজধানী ব্যাংককে নির্মাণাধীন ৩০তলা একটি নির্মাণাধীন ভবন ধসে পড়ে। ভবনে কর্মরত ৪৩ জন শ্রমিক নিখোঁজ হয়েছেন।
সরকারি কার্যালয় হিসেবে ব্যবহারের জন্য ভবনটি নির্মাণাধীন ছিল। ভূমিকম্পের কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে এটি পুরোপুরি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, এই খাতের ক্ষতি ঠেকাতে মানুষের আস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। সরকার ও আবাসন কোম্পানিগুলোকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এ লক্ষ্যে আরও কঠোর ভবন নির্মাণবিধি প্রয়োগ, ভবনের কাঠামোগত উন্নয়নে আর্থিক সহায়তা প্রদান ও ভূমিকম্পপ্রতিরোধী নির্মাণব্যবস্থা সম্পর্কে ক্রেতাদের পরিষ্কার তথ্য দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
থাই কনডোমিনিয়াম অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রসারত তেদুল্লায়াসাথিত বলেন, ২০০৭ সালের পর নির্মিত নতুন ভবনগুলো ভূমিকম্পপ্রতিরোধী হলেও নিয়মিত ভবন পরিদর্শন ও রক্ষণাবেক্ষণ করা প্রয়োজন। সাম্প্রতিক এই ভূমিকম্পের পর বিষয়টি পরিষ্কার হয়।
কুশম্যান অ্যান্ড ওয়েকফিল্ড থাইল্যান্ডের গবেষণাপ্রধান ও পরামর্শক সুরাচেত কংচিপ বলেন, ‘ভবিষ্যতে কনডোমিনিয়াম কেনার ক্ষেত্রে ভূমিকম্প প্রতিরোধক্ষমতা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠবে। বিশেষ করে পুরোনো ভবনগুলোর জন্য দুর্যোগ বিমা করা জরুরি।
বাজার–বিশ্লেষকেরা বলেন, তাৎক্ষণিক বিক্রির সংকট সামলানো ও দীর্ঘ মেয়াদে ক্রেতাদের নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করা বর্তমানে ব্যাংককের কনডোমিনিয়াম বাজারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
পর্যটননির্ভর দেশ থাইল্যান্ডের জন্য এই ভূমিকম্প কাল হতে পারে বলেও আশঙ্কা। যদিও দেশটির সরকার মনে করছে, চলতি বছর ৩ কোটি ৮০ লাখ বিদেশি পর্যটক থাইল্যান্ড ভ্রমণ করতে পারেন। গত সোমবার দেশটির পর্যটন মন্ত্রণালয়ের দেওয়া এক পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানা গেছে।