সালমানের পরামর্শে বিয়ে করেন অক্ষয়ের প্রাক্তন
Published: 20th, February 2025 GMT
নব্বই দশকের বলিউডের পরিচিত মুখ অভিনেত্রী শিবা আকাশদীপ। সালমান খান, অক্ষয় কুমারের মতো তারকাদের সঙ্গে পর্দায় রোমান্স করেছেন। ১৯৯২ সালে ‘মিস্টার বন্ড’ সিনেমায় জুটি বেঁধে রোমান্স করেন অক্ষয়-শিবা। এ জুটির পর্দার প্রেম বাস্তব জীবনেও গড়ায়। যদিও পরবর্তীতে এ সম্পর্ক ভেঙে যায়।
অতীত ভুলে ১৯৯৬ সালে পরিচালক আকাশদীপকে বিয়ে করেন শিবা। কিন্তু তাকে বিয়ে করার পরামর্শ দেন সালমান খান। পিঙ্কভিলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
সালমান খানের সঙ্গে বন্ধুত্বের গভীরতা ব্যাখ্যা করে শিবা বলেন, “আমরা খুবই ভালো বন্ধু ছিলাম। এমনকি, আমি আকাশকে তার সঙ্গে দেখা করাতে নিয়ে গিয়েছিলাম। সালমানকে বলেছিলাম, ‘এই সেই ব্যক্তি যাকে আমি বিয়ে করতে চাই।’ এ কথা শুনে সে খুবই খুশি হয়েছিল।”
আরো পড়ুন:
বক্স অফিসে ‘ছাবা’ সিনেমার ঝড়: কে কত টাকা পারিশ্রমিক নিলেন
ভিকি-রাশমিকার জয়রথ চলছেই
সালমান খান চুপচাপ বিয়ে করার পরামর্শ দেন শিবাকে। তা জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, “সে তার সঙ্গে অনেক শো করেছে। সুতরাং সালমান বলল, ঠিক আছে। তুমি তোমার সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছো, তোমার বর তোমার ‘রঙ্গিলা’, ‘মিস ৪২০’ বানানোর চেষ্টা করছে। কিন্তু ঠিকমতো কাজ করছে না। এখন চুপচাপ বিয়েটা করে ফেল।”
সালমানের দেওয়া পরামর্শকে ‘নিখুঁত’ বলে মন্তব্য করেন শিবা। তার ভাষায়— “এটা খুবই ভালো পরামর্শ ছিল। তখন আমার বয়স খুবই কম ছিল। কিন্তু এটা ছিল নিখুঁত পরামর্শ।”
২০০৩ সাল পর্যন্ত অভিনয়ে মোটামুটি নিয়মিত ছিলেন শিবা। তারপর দীর্ঘ বিরতি নেন। অর্থাৎ এক যুগ পর ‘হাম বাজা বাজা দেঙ্গে’ সিনেমায় অভিনয় করেন। এরপর ৮ বছরের বিরতি নিয়ে ‘রকি আউর রানি কি প্রেম কাহানি’ সিনেমায় ‘মোনা সেন’ চরিত্র রূপায়ন করেন। তারপর আর কোনো সিনেমায় দেখা যায়নি শিবাকে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মালদ্বীপের বাংলাদেশ মিশনে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশ হাই কমিশন-মালদ্বীপের উদ্যোগে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি হাইকমিশনের হলরুমে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে হাইকমিশনের কল্যাণ সহকারী এবাদ উল্লাহর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মো. সোহেল পারভেজ।
পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর প্রধান উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন হাইকমিশনের তৃতীয় সচিব মো. জিল্লুর রহমান এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা শিরিন ফারজানা। অতঃপর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের জন্য এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
দিবসটি উপলক্ষ্যে নির্মিত দুটি প্রামাণ্যচিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়। আলোচনা সভায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মালদ্বীপ বিএনপির সভাপতি মো. খলিলুর রহমান এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রবাসী ডাক্তার মোক্তার আলী লস্কর।
আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি তার বক্তব্যের শুরুতেই গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন বীর ভাষা সৈনিকদের। যাঁদের মহান আত্মত্যাগের মাধ্যমে আমরা মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে পেয়েছি।তিনি মহান ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস, বাংলাভাষার মর্যাদা বৃদ্ধি এবং মাতৃভাষা সংরক্ষণে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
এছাড়াও ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতির জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার কথা স্মরণ করেন তিনি। মাতৃভাষা বাংলা ও বাংলাদেশের ভাবর্মূতি উজ্জ্বল করার জন্য সকল প্রবাসীদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করার আহ্বান জানান হাইকমিশনার।
বাংলাদেশ হাই কমিশন-মালদ্বীপের উদ্যোগে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত
এরপর ভাষা শহীদদের এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকলের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দেশ ও জাতির মঙ্গলের জন্য দোয়া করা হয়। সবশেষে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নীলদরিয়া শিল্পীগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।
অনুষ্ঠানে দ্বিতীয় পর্বে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২৫ উপলক্ষে শিশুদের অংশগ্রহণে কবিতা আবৃত্তি ও চিত্রাঙ্কন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এতে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের সহধর্মিণী রোমানা রাজিয়া প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। তিনি শিশুদের মাঝে পুরস্কার তুলে দেন। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু এবং তাদের অভিভাবক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
ঢাকা/টিপু