অবকাশ কেন্দ্রে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার মাদ্রাসাছাত্রী, মায়ের অবস্থা সংকটাপন্ন
Published: 20th, February 2025 GMT
শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় চার তরুণের নামে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার এ মামলা করা হয়েছে। কিশোরীর মায়ের শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় গত মঙ্গলবার রাতেই তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি মাদ্রাসাপড়ুয়া নবম শ্রেণির এক ছাত্রী বন্ধুবান্ধব নিয়ে গজনী অবকাশ কেন্দ্রে বেড়াতে যায়। এ সময় কালিনগর গ্রামের ইলিয়াস তার সঙ্গীদের নিয়ে ওই ছাত্রীকে ধরে নিয়ে ধর্ষণ করে। তবে ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখে কিশোরী। এর মধ্যে গত মঙ্গলবার বিকেলে বাকাকুড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে কয়েকজন যুবক সন্দেহভাজন দুই তরুণকে বেঁধে রাখে। এ খবর চাউর হলে সেখানে উপস্থিত হন শত শত লোক। মেয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এমন খবর শুনে লজ্জায় বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা চালান তার মা। পরে গারো পাহাড় থেকে তাঁকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। প্রথমে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে ওয়াশ করে বিষ বের করেন চিকিৎসকরা। কিন্তু শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাঁকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে রাতে তাঁর অবস্থা আরও খারাপ হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এদিকে বুধবার দুপুরে মেয়েটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শেরপুরের সিভিল সার্জন জসীম উদ্দিন কিশোরীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
ঝিনাইগাতী থানার ওসি আল আমীন বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাদের ধরতে পুলিশ অভিযানে রয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: অবস থ
এছাড়াও পড়ুন:
ডিজির সঙ্গে তর্ক, ক্ষমা চেয়ে দায়িত্বে ফিরলেন সেই চিকিৎসক
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনে আসা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আবু জাফরের সঙ্গে তর্কে জড়ানো চিকিৎসক ধনদেব চন্দ্র বর্মণ শোকজের সন্তোষজনক জবাব দেওয়ায় তাকে ক্ষমা করে পূর্বের পদে বহাল করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. গোলাম ফেরদৌস স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাকে ফেরানো হয়।
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) মুহাম্মদ মাইনউদ্দিন খান বলেন, ‘‘এই আদেশ বুধবার থেকে কার্যকর হয়েছে।’’
আদেশে বলা হয়েছে, গত ৬ ডিসেম্বর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শনকালীন হাসপাতালের আবাসিক সার্জন (ক্যাজুয়ালটি) ও সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ইনসিটু ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ মহাপরিচালকের সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন। এ জন্য তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ক্যাজুয়ালটি ওটি ইনচার্জের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ তার অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণের জন্য ক্ষমা চান এবং ভবিষ্যতে এরূপ অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ করবেন না বলে অঙ্গীকার করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে লিখিত জবাব দাখিল করেন। পরবর্তীতে তার দাখিলকৃত জবাব স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর পাঠানো প্রতিবেদন সন্তোষজনক হওয়ায় তাকে ক্ষমা করে আগের দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. ধনদেব চন্দ্র বর্মণ বলেন, ‘‘কর্তৃপক্ষ আমাকে পূর্বের পদে বহাল করেছেন। আমি কাজ শুরু করেছি।’’
ঢাকা/মিলন/রাজীব