Samakal:
2025-04-14@06:08:36 GMT

ভারত বলেই উত্তেজনা

Published: 20th, February 2025 GMT

ভারত বলেই উত্তেজনা

বাংলাদেশ-ভারত ম্যাচের উত্তেজনা এখন ভারত-পাকিস্তান ম্যাচকেও ছাপিয়ে যায়। সম্প্রতি তাতে বাড়তি মাত্রা যোগ করেছে রাজনীতি। ভারতের সঙ্গে যে কোনো খেলায় বাংলাদেশ জয় পেলে অনেকটা রাষ্ট্রীয় উৎসবের উপলক্ষ তৈরি করে।

ক্রিকেটের যুব এশিয়া কাপের পর নারী সাফ ফুটবলে ভারতকে হারিয়ে শিরোপা জয়ে দেশজুড়েই ছিল উৎসবের বাতাবরণ। আজ আরব আমিরাতের দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির যে ম্যাচ খেলবে, এ নিয়েও উত্তেজনায় ফুটছে জাতি। দেশে-প্রবাসে স্লোগানে মুখরিত হবে জাতি। নাজমুল হোসেন শান্তর বিশ্বাস, গ্যালারির সমর্থন মাঠে তাদের ভালো খেলার প্রেরণা জোগাবে। উভয় দিক থেকেই ভারতকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিতে চান তারা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে বাংলাদেশ কোনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেনি। কারণ, ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠে ছিল বিপিএলের খেলা। টানা টি২০ ক্রিকেট খেলায় বিশ্রাম নেওয়ারও প্রয়োজন ছিল। ফলে নিজেদের মধ্যে ম্যাচ সিনারিও প্র্যাকটিস করে দুবাই গেছেন শান্তরা। কোচ ফিল সিমন্সও প্রস্তুতি নিয়ে খুশি ছিলেন না। তার ওপর পাকিস্তান শাহিনসের কাছে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে ৭ উইকেটে হেরেছে। এই হার শেষে কাল না হলেই ভালো। যদিও অধিনায়ক শান্ত বলছেন সমস্যা হবে না, ‘প্র্যাকটিস ম্যাচের হারে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। কারণ, সেখানে আমরা অনেক কিছু দেখেছি। বোলিং বা ব্যাটিং করার সুযোগটা দেওয়া হয়েছে অনেককে। সাধারণ প্র্যাকটিসের জন্যই এটা করা। আমার মনে হয় না, সমস্যা হবে। টুর্নামেন্টের জন্য আমাদের প্রস্তুতি ভালো।’

ভারত টুর্নামেন্টের হট ফেভারিট। তাদের চাওয়া পূরণ করতে হাইব্রিড মডেলে হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। বিরাট কোহলিরা নিজেদের সব ম্যাচ দুবাইয়ে খেলবেন। বিষয়টি বাড়তি সুবিধা দেবে ভারতকে। এ ছাড়া দুবাইয়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশি ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে রোহিত শর্মাদের। এই ম্যাচে বাংলাদেশকে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হতে পারে। গতকাল ম্যাচ-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক শান্ত বলেছেন, যে কোনো পরিস্থিতি জয় করতে প্রস্তুত তারা। এক দিনের ম্যাচ হওয়ায় আশাবাদীও তারা, ‘এই সংস্করণে আমাদের দলের ভারসাম্য আছে। আমি বিশ্বাস করি, আমরা এই টুর্নামেন্টে যে কোনো দলকে হারাতে পারি। সব দলই শিরোপা জেতার সক্ষমতা রাখে। আমরা নিজেদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারলে, যে কোনো দিন, যে কোনো দলকে হারাতে পারব।’ বাংলাদেশকে ভালো করতে হলে তিন বিভাগে অলআউট ক্রিকেট খেলতে হয়। তাই তো মরুর বুকে জয়ের ফুল ফোটাতে সতীর্থদের অলআউট খেলার আহ্বান শান্তর, ‘আমাদের ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং– তিন বিভাগে ভালো খেলতে হবে। গত কয়েক বছর এই সংস্করণে যেভাবে খেলেছি, আমার মনে হয়, আমরা ভালো দল। যেটা বললেন কন্ডিশনে মিল আছে, সেদিক থেকে আমরা আত্মবিশ্বাসী। আশা করি, কালকের (আজ) ম্যাচে ভালো কিছু হবে।’ 

ভারতের পেস বিভাগে খাদ তৈরি হয়েছে জাসপ্রিত বুমরাহ চোটে পড়ায়। তারা বোলিং বিভাগ সাজিয়েছে পেস-স্পিনের মেলবন্ধনে। বাংলাদেশও বোলিং ইউনিট সাজিয়েছে পেস এবং স্পিনে। তবে বেশি গুরুত্ব পাবে পেস বিভাগ। ফোকাসে আছেন নাহিদ রানা। তাসকিন আহমেদ দারুণ ছন্দে আছেন। কন্ডিশন বুঝে খেলতে পারলে ভারতের বিপক্ষে চ্যালেঞ্জ জয় করা সম্ভব হবে বলে মনে করেন শান্ত, ‘উইকেট যে রকম থাকবে, ওই অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করব আমরা। তবে আমার মনে হয়, ওপরের দিকে যারা ব্যাটিং করে, তাদের লম্বা ইনিংস খেলাটা গুরুত্বপূর্ণ। যখন ওপরের শুরুটা ভালো করতে পারব, তখনই বড় রান করা সম্ভব। অবশ্যই কাল উইকেট কন্ডিশন মেলানোর পর ওইভাবে আমরা ব্যাটিংটা করার চেষ্টা করব।’ এক দিনের ক্রিকেটে এ দুই দলের শেষ পাঁচ ম্যাচের তিনটিতে জিতেছে বাংলাদেশ। সেদিক থেকে আশার আকাশে রুপালি চাঁদ উঁকি দিতেই পারে। 

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত

প্রকৃতি থেকে বসন্ত বিদায় নিচ্ছে। আসছে গ্রীষ্ম। বসন্তের বিদায়বেলায় বিস্তৃত সবুজ শাল-গজারি বনে বাসন্তী রং ছড়াচ্ছে হলদে শাল-গজারি ফুল। গাজীপুরের অধিকাংশ এলাকাজুড়ে এখন বসন্তের এই রং উৎসব চলছে। বিশেষ করে শ্রীপুর, গাজীপুর সদরের একাংশ, কাপাসিয়ার একাংশ ও কালিয়াকৈর উপজেলার বিস্তৃত এলাকাজুড়ে চলছে এই রঙের উৎসব।

শ্রীপুরের কর্ণপুর থেকে বরমী কিংবা হায়াতখার চালা থেকে গোসিংগা আঞ্চলিক সড়কের মতো অনেকগুলো সড়ক ভ্রমণ এখন যে কাউকে এক ব্যতিক্রমী বসন্তের অভিজ্ঞতা দেবে। বিশেষ করে এ সময় মাওনা থেকে কালিয়াকৈর উপজেলায় যাতায়াতের সড়কপথের পুরোটাই ফুলে ছেয়ে থাকে। এসব সড়কে ভ্রমণ করলে দেখা যায়, দুই পাশে শুকনা পাতার ওপর ছড়িয়ে আছে কাঁচা হলুদ রঙের শাল-গজারি ফুল। সঙ্গে আছে মোহনীয় গন্ধ।

শাল-গজারি বনের কোনো একটি গাছের মাথায় উঠে চারদিকে তাকালে মনে হবে, বনের গাছপালার ওপর কেউ যেন হলুদ রঙের মাদুর বিছিয়ে রেখেছে। ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াচ্ছে মৌমাছিসহ নানা কীটপতঙ্গ। পাখিদের ওড়াউড়িতে বনজুড়ে যেন এক মহোৎসব চলছে। পাখির ডানা ঝাপটানো কিংবা হঠাৎ একটু দমকা বাতাসে গাছ থেকে নিচে ঝরে পড়ে হলুদ শাল-গজারি ফুল। বসন্তে গাছের সব পাতা ঝরে যাওয়ার পর গাছে থাকা হলুদ ফুলগুলো এক অনন্য সৌন্দর্য ছড়ায়।

প্রতিবছর বসন্তের মাঝামাঝি থেকে শাল-গজারিগাছে ফুল ফুটতে শুরু করে। এরপর গাছ থেকে অপরিণত অবস্থায় বেশির ভাগ ফুল নিচে ঝরে পড়ে। থেকে যাওয়া ফুলগুলো বড় হয়। বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এসব ফুল পরিণত হয়ে যায়। তখন এর রং হয় কিছুটা বাদামি।

পরিণত ফুলের আবার অন্য রকম সৌন্দর্য ও বৈশিষ্ট্য আছে। এসব ফুলের এক পাশে থাকে বীজ। আর অন্য পাশে ফুলের পাপড়ির মতো ছড়ানো বড় বড় পাতলা পাপড়ি। একসময় গাছ থেকে বীজসহ এসব ফুল ঝরে পড়ে। তখন বীজের এক পাশে থাকা পাপড়ির মতো অংশ বাতাসে ঘুরতে ঘুরতে এলোমেলোভাবে দূরদূরান্তে বীজগুলোকে ছড়িয়ে দেয়।

বসন্তের এ সময় শাল-গজারি বনে বিভিন্ন ফুল ফোটে। এগুলোর মধ্যে আছে কনকচাঁপা, জারুল, শিমুল, শেফালি, শিরীষ, মান্দার, কামিনী, অতসী, দাঁতরাঙা, কাঞ্চন, বেলি, শটি, রঙ্গনসহ নানা ফুল।

শাল-গজারি বনের বর্ণিল বিভা বসন্তের সৌন্দর্যে যোগ করে নতুন মাত্রা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আদিবাসীদের সঙ্গে নিয়েই পথ চলতে হবে
  • জাতির আসল পরিচয় তার সংস্কৃতি
  • দেশজুড়ে মেলার উৎসব-উদ্দীপনা
  • সংগীতের আবহে উৎসব
  • চৈত্র সংক্রান্তিতে বেরোবিতে ঘুড়ি উৎসব আয়োজিত
  • খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব, শিকড়ে ফেরা, রঙে রাঙানো একদিন
  • নতুন প্রেমিকার হাত ধরে ম্যাকাও উৎসবে আমির খান
  • সেইলরের বৈশাখ আয়োজন
  • বান্দরবানে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে সাংগ্রাই শুরু
  • শাল-গজারি বনে রং ছড়িয়ে বিদায় নিচ্ছে বসন্ত