হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জে বিয়ের বাজার করতে গিয়ে চাচাতো ভাইসহ বর নিহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নুরপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন- উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের পুরাইকলা গ্রামের মো. ছাবেদ আলীর ছেলে শাহ আলম ওরফে সামায়ন ও চাচাতো ভাই মো. বেনু মিয়ার ছেলে মো. তানভীর সোহেব। 

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এটিএম মাহমুদুল হক জানান, সন্ধ্যায় শায়েস্তাগঞ্জ শহরে চাচাত ভাই মো.

তানভীর সোহেবকে নিয়ে বিয়ের বাজার করতে যান শাহ আলম। বাড়ি ফেরার পথে তারা নুরপুর এলাকায় পৌঁছালে তাদের মোটরসাইকেলকে একটি গাড়ি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই মো. তানভীর সোহেব মারা যান। আশঙ্কাজনক অবস্থায় শাহ আলমকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার কথা বলেন। সিলেটে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। দুর্ঘটনায় তাদের মোটরসাইকেল দুমড়ে-মুচড়ে যায়। 

স্থানীয়রা জানান, আগামী শুক্রবার শাহ আলমের বিয়ের কথা ছিল। এজন্য তিনি বিকেলে শায়েস্তাগঞ্জ শহরের বিয়ের বাজার করতে যান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন ব য় র ব জ র করত

এছাড়াও পড়ুন:

সমকালে সংবাদ প্রকাশের পর লম্বাশিয়া পাহাড়ে বালু উত্তোলন বন্ধ করল প্রশাসন

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি সংরক্ষিত বনাঞ্চলের লম্বাশিয়া পাহাড় ধ্বংস করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল। লম্বাশিয়া পাহাড়টি বালু প্রকৃতির, যার ফলে এ পাহাড় ঘেঁষে যাওয়া সাতগরিয়া ছড়ার পানির পথ পরিবর্তন করে দেয় বালুখেকোরা। আস্তে আস্তে ভেঙে পড়ে পাহাড়। শ্যালো মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা হয় বালু। এভাবেই চলছে দেড় যুগ ধরে। 

এ ছড়ায় শ্যালো মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে এক কিলোমিটারজুড়ে পাহাড়ের ক্ষতচিহ্ন দেখা গেছে। রোববার দৈনিক সমকালে ‘লম্বাশিয়া পাহাড়ে ধ্বংসযজ্ঞ চলছেই’ শিরোনাম সংবাদ প্রকাশ হয়। এ সংবাদ প্রকাশের এক দিন পর রোববার দুপুরে লোহাগাড়া উপজেলা প্রশাসন ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে উত্তোলিত বালুর ঢিবি নষ্ট করে দেওয়া হয়। বালু উত্তোলনের জন্য ব্যবহৃত অবৈধভাবে মজুদ করা পানি কেটে বের করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বালু পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত রাস্তা কেটে গর্ত তৈরি করে দেওয়া হয়, রাস্তার মাঝে পিলার পুঁতে কাঁটা তারের বেড়া দেওয়া হয়। 

লোহাগাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন লায়েল ও সহকারী বন সংরক্ষক মো. দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। সঙ্গে ছিলেন চুনতির রেঞ্জ অফিসার মো. আবীর হাসান, সাতগড় বিটের বিট অফিসার মহসিন আলী ইমরানসহ থানা পুলিশ ও বনবিভাগের সদস্যরা।

২০২৩ সলের ২৪ ডিসেম্বর দৈনিক সমকালে ‘অবৈধ বালু উত্তোলন চলছেই, কিলোমিটার জুড়ে ক্ষতচিহৃ’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। ওই সংবাদ প্রকাশের পরও বনবিভাগ ও প্রশাসন রাস্তায় কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ করে দেয়। তখনই বন্ধ হয়ে যায় অবৈধ বালু উত্তোলন। কিন্তু ৫ আগস্টের পর আরেক দল দূর্বৃত্ত কাঁটাতার তুলে আবারও অবৈধ বালু উত্তোলন করে। 

 

 

সম্পর্কিত নিবন্ধ