শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) আওয়ামীপন্থি ১২ শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া ও আন্দোলন দমনে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে তদন্ত কমিটির পর্যবেক্ষণে উঠে আসে, অভিযুক্তরা দলীয় আনুগত্যের মাধ্যমে প্রশাসনের সহায়তায় আন্দোলন দমন করেছেন। শিক্ষার্থীদের ভয়ভীতি দেখিয়েছেন।

বহিষ্কার শিক্ষকরা হলেন–  অধ্যাপক মো.

হারুন-উর-রশিদ, দেব কুমার ভট্টাচার্য্য, অলি আহাদ সেতু, শরমিন চৌধুরী, মো. ফরহাদ হোসেন, আয়েশা আক্তার,  রুহুল আমিন, চৈতী দে পূজা, ছাবেরা ইয়াছমীন, ওমর আলী মল্লিক, শাহ জহির রায়হান ও জিয়াউর রহমান ভূঁঞা। 

এ ছাড়া তৎকালীন উপাচার্য অধ্যাপক শহীদুর রশিদ ভূঁইয়া, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক অলোক কুমার পাল এবং ট্রেজারার অধ্যাপক নজরুল ইসলামের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে।
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফ্রান্সে ছুরি নিয়ে হামলায় নিহত ১, আহত ৩ পুলিশ

ফ্রান্সের পূর্বাঞ্চলের নগরী মিলুজে গতকাল শনিবার ছুরি নিয়ে হামলায় এক ব্যক্তি নিহত এবং তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সময় বিকেল চারটার দিকে ওই হামলার ঘটনা ঘটে। ওই সময় গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর সমর্থনে একটি বিক্ষোভ চলছিল। পুলিশ কর্মকর্তারা সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে ঘটনাস্থল থেকে আলজেরিয়ার ৩৭ বছর বয়সী এক নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এটি সন্ত্রাসী হামলা কি না, তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। কারণ জানা গেছে, হামলার সময় ওই ব্যক্তি ‘আল্লাহু আকবর’ বলে চিৎকার করছিলেন।

যে তিন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে দুজনের আঘাত গুরুতর। তাঁদের একজন গলায় ও একজন বুকে আঘাত পেয়েছেন। হামলার সময় ৬৯ বছর বয়সী পর্তুগালের এক নাগরিক বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয় এবং তিনি নিহত হন।

স্থানীয় প্রসিকিউটরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকতে পারেন, এমন তালিকায় সন্দেহভাজন হামলাকারীর নাম ছিল এবং তাঁকে বিতাড়নের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল মাখোঁ এ ঘটনাকে সন্দেহাতীতভাবে ইসলামপন্থী সন্ত্রাসী হামলা বলে অভিহিত করেছেন।

নিহত ব্যক্তির পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মাখোঁ বলেন, ‘আমি আমাদের দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য সরকার ও আমার দৃঢ় সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করতে চাই।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ