বকশীগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে দুই ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, দোকানপাট ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল বুধবার দুপুরে পৌর শহরের পশ্চিমবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তবে দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন। 

স্থানীয়রা জানান, বকশীগঞ্জ পৌর শহরের পশ্চিম বাজার এলাকায় দুই দাগের প্রায় ৬ শতক জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমপাড়া এলাকার প্রেম কুমার ডুমের সঙ্গে নামাপাড়া গ্রামের আবু সাইদের বিরোধ চলে আসছে। বিরোধপূর্ণ জমিতে দুটি দোকানঘর রয়েছে। যা নিয়ে উভয় পক্ষই আদালতে মামলা করেছেন। বুধবার দুপুরে ওই দোকানঘর খুলতে যান ব্যবসায়ী আবু সাইদ ও তাঁর ছেলে মিজানুর রহমান। এ সময় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় মোহন কুমার, বিশাল কুমার ও নয়ন কুমারসহ অন্তত ১০-১৫ জন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে ব্যবসায়ী আবু সাইদ বলেন, ‘যে জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান, সেটা এই জমি না। তারা আমাদের জমি দখল করতে চায়, তাই হামলা করেছে। আমাদের হত্যার উদ্দেশ্যেই এভাবে হামলা করেছে। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে ন্যায়বিচার দাবি করছি।’ 

প্রেম কুমার ডুম বলেন, ‘বিরোধপূর্ণ জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান। তা ছাড়া ওই জমির ওপর আদালতের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। যে কারণে ১ বছর ধরে দোকান দুটি বন্ধ রয়েছে। আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে আবু সাইদ গংরা দোকান খুলতে গেলে আমরা বাধা দিই। এ সময় তারা আমাদের ওপর হামলা করে। এখন উল্টো তারা আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে।’

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শাকের আহমেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আম দ র ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

এ সপ্তাহে গায়েব হয়ে যাবে শনির বলয়

এই সপ্তাহের শেষে শনি গ্রহের বিখ্যাত বলয় সাময়িকভাবে অদৃশ্য হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। অদৃশ্য মানে হারিয়ে যাওয়া না কিন্তু, শনির বলয় আমাদের পৃথিবী থেকে কিছু সময়ের জন্য দেখা যাবে না। পৃথিবী ও শনি গ্রহের মধ্যবর্তী কৌণিক অবস্থানের কারণে আমরা একটি মহাজাগতিক বিভ্রম দেখতে পাই। এতে শনি গ্রহের বলয় আমাদের সামনে থেকে কিছুটা সময়ের জন্য অদৃশ্য হয়ে যাবে।

শনির বলয় অদৃশ্য হওয়ার জন্য শনি গ্রহের অবস্থান দায়ী। শনি গ্রহ এমনভাবে কাত হয়ে অবস্থান করছে যে মাঝেমধ্যে শনির বলয় গায়েব হয়ে যায়। শনির অক্ষ উল্লম্ব থেকে ২৬.৭৩ ডিগ্রি হেলানো। এভাবে শনি গ্রহ সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। আমাদের পৃথিবী ২৩.৫ ডিগ্রি হেলানো অবস্থায় সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। প্রতিটি গ্রহ তার নিজের অক্ষের ওপর ঘোরে ও সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। মাঝেমধ্যে পৃথিবীর দিক থেকে শনির কৌণিক রিং অন্য প্রান্তে ঘুরে যায় বলে তখন মনে হয় শনির বলয় অদৃশ্য হয়ে গেছে। জ্যোতির্বিদ শন ওয়াকার বলেন, বলয় আক্ষরিক অর্থেই প্রায় অদৃশ্য হয়ে যায়। সাধারণত আপনি শনির চারপাশে রিং দেখতে পান। মাঝেমধ্যে আপনি একটি একক প্রান্ত দেখেন, তখন বলয়কে একটি চুল মতো পাতলা আলোর রেখার মতো দেখায়। সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন স্থলভিত্তিক টেলিস্কোপের মাধ্যমে দেখা যায় শনির বিশাল বলয় ক্রমেই পাতলা হয়ে উঠেছে। এ সপ্তাহের মধ্যে বলয়গুলো সুনির্দিষ্ট প্রান্তিক কোণে পৌঁছে গেলে বলয় কিছু সময়ের জন্য দেখা যাবে না। এ বিভ্রমটি অস্থায়ী।

এমন ঘটনা তুলনামূলকভাবে বিরল বলা যায়। একে জ্যোতির্বিদেরা রিং প্লেন ক্রসিং নামে ডাকেন। সাধারণত দুবার দেখা যায় ২৯.৪ বছরে। শনি গ্রহ সূর্যের চারপাশে কক্ষপথ আবর্তনের সময় এমন ঘটনা দেখা যায়। পৃথিবী থেকে প্রতি ১৩ থেকে ১৫ বছরে এমন বলয় অদৃশ্য হওয়ার ঘটনা একবার দেখা যায়। শনির এই বলয় পাথর ও বরফের বিলিয়ন বিলিয়ন ঘূর্ণমান খণ্ড দিয়ে তৈরি। তুলনামূলকভাবে সমতল হওয়ার কারণে দূর থেকে একক রিং মনে হয়। এ সময় বলয় দেখা না গেলেও শনির বিভিন্ন চাঁদ স্পষ্টভাবে দেখার সুযোগ মেলে। প্রায়ই শনির চারপাশে চার থেকে ছয়টি চাঁদ দেখা যায়। এ সময় অন্ধকার আকাশে একটি রিং প্লেন ক্রসিংয়ের সময় প্রায় এক ডজন চাঁদ শনাক্ত করা যায়।

এবারের রিং প্লেন ক্রসিংয়ের পরে পরবর্তী বলয় অদৃশ্য হওয়ার ঘটনা ঘটবে ২০৩৮ সালে।

সূত্র: স্পেস ডট কম

সম্পর্কিত নিবন্ধ