কুমিল্লা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে বিনা ভোটে জয়ের পথে বিএনপি-জামায়াতপন্থি প্রার্থীরা। গতকাল বুধবার মনোনয়ন ফরম জমা ও মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের দিনে ১৫টি পদের বিপরীতে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় বিজয়ী হতে যাচ্ছেন তারা।
বুধবার সন্ধ্যায় সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও আইনজীবী সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কাজী মফিজুল ইসলাম।
আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জয়ের পথে রয়েছেন– সভাপতি পদে মো.
এর আগে সোমবার কুমিল্লা আইনজীবী সমিতি নির্বাচনের তপশিল ঘোষণা করা হয়। তপশিল অনুসারে মনোনয়নপত্র বিক্রির শেষ দিন ছিল গত মঙ্গলবার, প্রত্যাহার ২৩ ফেব্রুয়ারি, চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ২৪ ফেব্রুয়ারি। আগামী ৬ মার্চ এ নির্বাচন হবে। এবার মোট ভোটার ১ হাজার ২১০ জন। কিন্তু একজন করে প্রার্থী থাকায় প্রার্থীরা জয়ের ঘোষণার অপেক্ষায় আছেন।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান লিটন সমকালকে জানান, গত বছরের ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মিছিলে হামলার অভিযোগে আইনজীবী সমিতির সভাপতি (মোস্তাফিজুর রহমান লিটন) ও সাধারণ সম্পাদকসহ এক সঙ্গে আওয়ামী লীগপন্থি ৩২ আইনজীবীকে আসামি করা হয়েছে। তিনি বলেন, ‘কৌশলে আমাদের নির্বাচন থেকে বিরত রাখতে এবারের তপশিল ঘোষণা করা হয়। গঠনতন্ত্র অমান্য করে মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমাদানের তিন দিন সময় দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে মাত্র এক দিন। নির্বাচনের সময়ও এগিয়ে আনা হয়েছে এক সপ্তাহ। আমরা আদালত চত্বরে যাওয়ার পরিবেশ পাইনি। আমাদের নিরাপত্তা নিয়েও সংশয় ছিল। তাই আমাদের কেউ ফরম আনতে যাননি।’
এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাডভোকেট কাজী মফিজুল ইসলাম। সমকালকে তিনি বলেন, এ মামলার সঙ্গে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের কোনো সম্পর্ক নেই। যারা টাকা জমা দিয়েছেন ও বৈধ ভোটার তারাই মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন। তারা (আওয়ামী লীগ) এলে মনোনয়ন ফরম নিতে পারতেন। নির্বাচন নিয়ে কোনো কৌশল করা হয়নি। এ নির্বাচনের কিছু প্রক্রিয়া শেষে প্রার্থীদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল ইসল ম র রহম ন আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘গ’ ইউনিটে ভর্তিতে নতুন করে এমসিকিউ পরীক্ষা হবে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে (গ ইউনিট) চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষে ভর্তিতে নতুন করে এমসিকিউ (বহু নির্বাচনী প্রশ্ন) পরীক্ষা হবে।
নতুন করে এমসিকিউ পরীক্ষা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের করা আবেদন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি রাজিক আল জলিল ও বিচারপতি তামান্না রহমান খালিদীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার এ সিদ্ধান্ত দেন।
নতুন করে এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্তের প্রেক্ষাপটে রিট না চালানোর কথা জানিয়ে রিট আবেদনকারী তা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে (ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিট, যা ‘গ’ ইউনিট নামে পরিচিত) চলতি শিক্ষাবর্ষে (২০২৪-২৫) প্রথম বর্ষে ভর্তির জন্য পরীক্ষা নেওয়া হয়। ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে ভর্তিতে এমসিকিউ পরীক্ষা হয় ৬০ নম্বরের আর লিখিত পরীক্ষা হয় ৪০ নম্বরে।
তবে এমসিকিউ প্রশ্নপত্রে একাধিক ভুলের অভিযোগ তুলে সুষ্ঠু ফলাফল প্রকাশে পুনরায় পরীক্ষার নেওয়ার জন্য গত ২০ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবরে আবেদন দেন ভর্তি–ইচ্ছুক এক শিক্ষার্থী। এতে ফল না পেয়ে তিনি রিট করেন। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৯ মার্চ হাইকোর্ট কয়েকটি বিষয়ে রুল দেন। রুলে এমসিকিউ পরীক্ষা পুনরায় নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে বিষয়েও রুলে জানতে চাওয়া হয়। একই সঙ্গে ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্থগিত করেন।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ ভর্তি কমিটির এক বিশেষ সভা গত ২৩ মার্চ অনুষ্ঠিত হয়। সভায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটে শুধু এমসিকিউ পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে আদালতে আবেদন করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর পুনরায় পরীক্ষার জন্য পদক্ষেপ নিতে অনুমতি চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষে আদালতে আবেদন করা হয়।
আদালতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন। রিট আবেদনকারী ভর্তি–ইচ্ছুক শিক্ষার্থী নিজে শুনানিতে অংশ নেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল জামিলা মমতাজ।
পরে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, আদালতে আবেদন করা হয়েছিল, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে যেন ৬০ নম্বরের এমসিকিউ পরীক্ষা নতুন করে নিতে অনুমতি দেওয়া হয়। আজ বিষয়টি নিয়ে শুনানি হয়। তিনি বলেন, ‘নতুন করে পরীক্ষার দাবি যদি পূরণ হয়ে যায়, তাহলে মামলা পরিচলার কোনো প্রয়োজন নেই, শুনানিতে বলেছি। ৬০ নম্বরের ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করা হবে।’ শিশির মনির বলেন, রিট আবেদনকারী শিক্ষার্থী আদালতে কথা বলে তাঁর রিট প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। আদালত ঢাবি কর্তৃপক্ষকে আদেশ দিয়েছেন, নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য। এক মাসের মধ্যে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন শিশির মনির।