দ্বন্দ্ব, বিবাদে এখনও উত্তপ্ত রাজনগর বিএনপি
Published: 20th, February 2025 GMT
মৌলভীবাজারের বিভিন্ন এলাকায় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীর মাঝে দ্বন্দ্ব, বিবাদ আর বিভক্তি এখনও বিদ্যমান। যে কারণে এসব এলাকায় সাংগঠনিকভাবে গুছিয়ে উঠতে বেগ পেতে হচ্ছে দলটিকে। সম্প্রতি একই পরিস্থিতি চলছে রাজনগর বিএনপিতে।
জেলার রাজনগর উপজেলাধীন বিভিন্ন ইউনিয়নে কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে আসছে বিএনপির গৃহবিবাদ। বিভক্ত নেতাকর্মীর মাঝে সংঘাত, প্রতিঘাত, বিক্ষোভ চলমান। যার কারণে বাড়ছে দূরত্ব এবং সাংগঠনিক সমন্বয়। একই সঙ্গে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান জুবেল আহমদ চৌধুরীকে বহিষ্কারের ঘটনায় ক্ষুব্ধ দলের একাংশের নেতাকর্মীরা। এতে রাজনগর বিএনপির ইমেজ প্রশ্নের মুখে পড়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে জেলা বিএনপিতে চলমান পক্ষপাতিত্বের কারণে উপজেলাসহ বিভিন্ন ইউনিটে দ্বন্দ্ব চলছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বাতিল করে বিভক্ত পক্ষগুলোকে সমন্বিত করে গত বছরের ৪ নভেম্বর আহ্বায়ক কমিটি করা হয়। সে সময় বিভক্তি ভুলে দলকে ঐক্যবদ্ধ করার কথা জানিয়েছিলেন নেতারা।
সে সময় ওই কমিটির অনুমোদন দেন দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। এর মাত্র ১১ দিনের ব্যবধানে জেলার সব উপজেলা ও সমমানের ইউনিট কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করে জেলা বিএনপি। জেলা বিএনপির আহ্বায়কসহ শীর্ষ নেতারা বিভক্তি ও অন্তর্দ্বন্দ্ব মিটিয়ে চলতি বছরের ২ থেকে ২১ জানুয়ারির মধ্যে সব ইউনিটের আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেন। স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীর একাংশের দাবি, দুঃসময়ে দলের প্রতি নিবেদিত, পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাদের অনেকেই বাদ পড়েন এসব কমিটি থেকে। সেখানে ঠাঁই দেওয়া হয় গত সরকারের আমলে সুবিধা নেওয়া নেতাদের।
এমন অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসা রাজনগর, শ্রীমঙ্গল, মৌলভীবাজার সদর, জুড়ীসহ বিভিন্ন ইউনিটে প্রতিবাদ জানান ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা; যার মধ্যে রাজনগরে পরিস্থিতি বেশি জটিল হয়ে পড়ে। এ উপজেলায় বিভিন্ন ইউনিয়ন কমিটি গঠনে বিএনপির একাংশের নেতারা গোপনে কর্মিসভার আয়োজন করলে পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হয়।
১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে উপজেলা সদরের কলেজ পয়েন্টে ছাত্রদল-যুবদলসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠন এ ঘটনার প্রতিবাদে সভা করে। এতে করে ক্ষুব্ধ হন বিএনপির অপর একটি অংশের নেতারা। এ দিকে ১৩ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক নোটিশে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে রাজনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইউপি চেয়ারম্যান জুবেল আহমদ চৌধুরীকে বহিষ্কারের কথা জানানো হয়। জেলাকে পাশ কাটিয়ে তাকে বহিষ্কার করার কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন দলের একাংশের নেতাকর্মীরা।
জুবেল আহমদ চৌধুরী জানান, বছর তিনেক আগে জেলা বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতার রাজনৈতিক শিষ্টাচারবিবর্জিত কার্যকলাপের প্রতিবাদ জানিয়ে একযোগে ৪৭ জন নেতা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। তাদের একজন তিনি নিজে। এখনও দলের মাঝে আগের সেই খামখেয়ালি আচরণ রয়ে গেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে এমন ঘাটতি নিয়ে বিএনপির রাজনৈতিক কার্যক্রম চালানো কঠিন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ র ন ত কর ম র ব ভ ন ন ইউন দ বন দ ব পর স থ ত ব এনপ র র জনগর উপজ ল ইউন ট
এছাড়াও পড়ুন:
দাম কমছে ইন্টারনেটের
বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কোম্পানির সব ধরনের ইন্টারনেটের দাম কমছে ১০ শতাংশ।
শনিবার (২২ মার্চ) কোম্পানির বোর্ড সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর ফলে মোবাইল ইন্টারনেট ও ব্রডব্যান্ড সার্ভিস দুই ক্ষেত্রেই কোম্পানিগুলোর খরচ কমে আসবে।
প্রধান উপদেষ্টার ডাক টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব জানান, ইন্টারনেটের দাম কমানোর জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। মানুষ যেন সাশ্রয়ে ইন্টারনেট পায় তার জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে মূল্য কমানো তার মধ্যে অন্যতম। এ সিদ্ধান্তের ফলে ইন্টারনেটের আন্তর্জাতিক গেটওয়ে লেভেলে সব ব্যান্ডউইথের জন্য দাম ১০ শতাংশ কমে আসবে। এছাড়া, ব্যাকবোন পর্যায়ে মোবাইল কোম্পানিগুলোকে ডিডাব্লিউডিএম সুবিধা দেওয়ার কথা হচ্ছে। যার ফলে ট্রান্সমিশন বাবদ টেলিকম কোম্পানিগুলোর খরচ ৩৯ শতাংশ কমে যাবে।
প্রধান উপদেষ্টার এ বিশেষ সহকারী বলেন, “টেলিকম অপারেটরদের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। অপারেটররা ভোক্তা পর্যায়ে ইন্টারনেটের মূল্য ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে আনবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।”
তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ আরো জানান, আগামী বছরের মাঝামাঝি তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল সিমিউই-৬ এর সঙ্গে যুক্ত হবে বাংলাদেশ।
ঢাকা/হাসান/ইভা