ফল আমদানিতে কর কমানোর সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের
Published: 20th, February 2025 GMT
তাজা ফল আমদানিতে শুল্ককর কমাতে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। এতে সংস্থাটি বলছে, ফল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। তাই আমদানিতে শুল্ককর বিশেষ করে স্থানীয় পর্যায়ে অগ্রিম ভ্যাট ৫ শতাংশ প্রত্যাহার করা যেতে পারে। একই সঙ্গে অগ্রিম আয়কর (এআইটি) ১০ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা যায়।
ট্যারিফ কমিশন সূত্রে জানা গেছে, ফল আমদানিতে শুল্ককর কমানোর দাবিতে ফল আমদানিকারকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সার্বিক দিক পর্যালোচনা করে এ সুপারিশ করা হয়েছে।
চিঠিতে কমিশন বলেছে, ফলের চাহিদার সিংহভাগই আমদানি করে পূরণ হয়। গত কয়েক বছর ডলারের দাম ও শুল্ককর বাড়ার কারণে ফলের দাম বেড়েছে। শুল্ককর কাঠামো এবং ২০২১-২২ ও ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আমদানির চিত্র পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ফল আমদানি উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। যেমন– আপেল আমদানি ৫২, মালটা ৭১ ও আঙুর আমদানি ২৯ শতাংশ কমেছে। গত ৯ জানুয়ারি ফলকে বিলাসী পণ্য বিবেচনা করে এর ওপর সম্পূরক শুল্ক ২০ থেকে বাড়িয়ে ৩০ শতাংশ করার কারণে আমদানি আরও কমেছে। ২০২৪ সালের জানুয়ারির তুলনায় গত জানুয়ারিতে মেন্ডারিন আমদানি কমেছে ৫১ শতাংশ। এ ছাড়া আঙুর ২১, আপেল ৩, নাশপাতি ৪৬, আনার ও ড্রাগন ফল ৩২ শতাংশ আমদানি কমেছে।
বর্তমানে সব মিলিয়ে ফল আমদানিতে মোট শুল্কভার রয়েছে ১৩৬ দশমিক ২০ শতাংশ। অর্থাৎ ৮৬ টাকায় ফল আমদানি করলে তার ওপর কর দিতে হয় ১২০ টাকা, যা ভোক্তার জন্য অসহনীয়। এ ক্ষেত্রে কমিশন বলেছে, উচ্চ শুল্কের কারণে বৈধ পথে আমদানি কমে অবৈধ পথে বাড়বে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে তাজা ফলে অতি মাত্রায় কেমিক্যাল ব্যবহারের প্রবণতা বাড়বে। আমদানি কমে গেলে শুধু ভোক্তার ক্ষতি নয়, রাজস্ব আহরণও কমবে। এসব বিবেচনায় চিঠিতে বলা হয়, ফল আমদানির পরবর্তী পর্যায়ে তেমন কোনো প্রক্রিয়াজাত (মূল্য সংযোজন) করা হয় না। তাই অগ্রিম কর (স্থানীয় পর্যায়ের অগ্রিম ভ্যাট ৫ শতাংশ) আরোপ করা সমীচীন নয়। এতে ব্যবসায়ীদের রিফান্ড নেওয়ার জন্য আবেদন করতে হয়। অনুমোদনের জন্য সময়ক্ষেপণসহ আর্থিক চাপের মুখে পড়তে হয়। খাদ্যপণ্য হিসেবে এটি অব্যাহতি দেওয়া যেতে পারে।
কমিশনের পর্যালোচনায় বলা হয়, মোট আমদানি মূল্যের ওপর ১০ শতাংশ এআইটি আরোপের কারণে তা সমন্বয় করতে ব্যবসায়ীদের অস্বাভাবিক মুনাফা দেখাতে হয়। বাস্তবতার সঙ্গে যার কোনো মিল নেই। বরং এতে কোনো কোনো ক্ষেত্রে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ তৈরি হয়। অন্যদিকে, রিফান্ড দাবি করার জন্য ব্যবসায়ীকে আর্থিক ও অন্য চাপের মুখে পড়তে হয়। তাই এআইটি ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২ শতাংশ করা যেতে পারে। এ ছাড়া নিত্যপণ্য আইন-১৯৫৬ অনুযায়ী, ফল অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। এর ওপর আরোপিত অতিরিক্ত সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার বা যৌক্তিক করা যেতে পারে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস য় র জন য র ওপর
এছাড়াও পড়ুন:
কৃষ্ণাকে ছাড়াই ভুটান গেলেন ৫ নারী ফুটবলার
সাবিনা খাতুন, ঋতুপর্ণা চাকমা, মনিকা চাকমা ও মাতসুশিমা সুমাইয়ার পর ভুটানের ফুটবল লিগে খেলতে গেলেন আরও পাঁচ নারী ফুটবলার। আজ সকালে তাঁরা থিম্পুর উদ্দেশে দেশ ছেড়েছেন।
এই পাঁচজন হলেন সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, শামসুন্নাহার সিনিয়র, মাসুরা পারভীন ও রুপনা চাকমা। তাঁদের সঙ্গে ভুটান যাওয়ার কথা থাকলেও ওয়ার্ক পারমিট হাতে না পাওয়ায় অপেক্ষা বাড়ল কৃষ্ণা রানীর। বাফুফে সূত্রে আজ এমনটাই জানা গেছে।
আরও পড়ুনভুটানের লিগে খেলতে যাচ্ছেন কৃষ্ণা–সানজিদাসহ আরও চার ফুটবলার০৮ এপ্রিল ২০২৫৬ এপ্রিল ভুটান যাওয়া সাবিনা, ঋতুপর্ণা, সুমাইয়া ও মনিকা খেলবেন ভুটানের ক্লাব পারো এফসির হয়ে। ট্রান্সপোর্ট ইউনাইটেডের জার্সিতে মাঠে দেখা যাবে ডিফেন্ডার মাসুরা ও গোলকিপার রুপনাকে। ফরোয়ার্ড কৃষ্ণার একই দলের হয়ে খেলার কথা রয়েছে। আর থিম্পু সিটির হয়ে খেলবেন সানজিদা, মারিয়া ও শামসুন্নাহার।
বিদেশি ক্লাবের হয়ে খেলার অভিজ্ঞতা বাংলাদেশের নারী ফুটবলারদের নতুন নয়। এর আগে মালদ্বীপ ও ভারতের ঘরোয়া নারী লিগে খেলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। কলকাতা ইস্ট বেঙ্গলের জার্সিতে মাঠে নামার সুযোগ হয়েছে সানজিদা আক্তারের।
আরও পড়ুনঅনুশীলনে ফিরেও দুশ্চিন্তায় বিদ্রোহীরা০৮ এপ্রিল ২০২৫এরপর গত বছরের আগস্টে ভুটানের ক্লাব রয়্যাল থিম্পু কলেজ এফসির হয়ে খেলতে যান বাংলাদেশের চার ফুটবলার সাবিনা, ঋতুপর্ণা, মারিয়া মান্দা ও মনিকা। তখন এএফসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার জন্য তাঁদের নিয়েছিল ভুটানের ক্লাবটি।
১৫ এপ্রিল ভুটানের নারী লিগ শুরু হওয়ার কথা। এই লিগ প্রায় ছয় মাস চলে। ভুটানের লিগ চলাকালে এই খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলের ক্যাম্পে ডাক পেলে তাঁরা ঢাকায় ফিরে আসবেন।