১১৩৭ জনের চাকরি ফেরত বিষয়ে রায় আজ
Published: 20th, February 2025 GMT
২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে ২৭তম বিসিএসে নিয়োগবঞ্চিত ১ হাজার ১৩৭ জনের করা আপিল আবেদনের শুনানি শেষ হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার এ আপিলের রায় ঘোষণা করা হবে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গতকাল বুধবার রায়ের এদিন ধার্য করেন। আদালতে আবেদনকারীদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সালাহ উদ্দিন দোলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক।
এ প্রসঙ্গে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন সাংবাদিকদের বলেন, ২৭তম বিসিএসে ফল প্রকাশের পর সেটি ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থার সময় তৎকালীন সেনাশাসিত সরকার বাতিল করেছিল। তারা দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত দেয়। এই ক্ষমতা তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ছিল না। এমনকি দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি পিএসসি আইন ও বিধিতে নেই। বিষয়টি আপিল বিভাগের শুনানিতে উপস্থাপন করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৭ সালের ২১ জানুয়ারি বিএনপি সরকারের আমলে ২৭তম বিসিএসের প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। এতে ৩ হাজার ৫৬৭ জন উত্তীর্ণ হন। পরে ওই বছরের ৩০ জুন জরুরি অবস্থার সময় অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে প্রথম মৌখিক পরীক্ষার ওই ফল বাতিল করে তৎকালীন সেনা সমর্থিত সরকার। এরপর মৌখিক পরীক্ষার ফল বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন উত্তীর্ণরা। ২০০৮ সালের ৩ জুলাই সরকারের ওই সিদ্ধান্ত বৈধ বলে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন রিটকারীরা।
অন্যদিকে ২০০৭ সালের ২৯ জুলাই ২৭তম বিসিএসের দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এর পর ২০০৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত ফল অনুযায়ী দ্বিতীয় মৌখিক পরীক্ষায় ৩ হাজার ২২৯ জন উত্তীর্ণ হন। পরে তাদের চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। এ নিয়ে পরে হাইকোর্টে তিনটি রিট দায়ের করেন প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা। ২০২৩ সালের ১১ নভেম্বর ওই তিনটি রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে ২৭তম বিসিএসে দ্বিতীয়বার মৌখিক পরীক্ষা গ্রহণকে অবৈধ ঘোষণা করেন হাইকোর্টের অপর একটি বেঞ্চ।
পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে তিনটি লিভ টু আপিল আবেদন দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ, যা কিছু পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেন আপিল বিভাগ। এর পর আপিল বিভাগের রায় রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করেন বাতিল হওয়া ২৭তম বিসিএস পরীক্ষার প্রথম মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব স এস র ম খ ক পর ক ষ ২০০৭ স ল পর ক ষ র সরক র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
হামজায় মুগ্ধ বাংলাদেশের সাবেক ফুটবলাররা
লাল-সবুজের জার্সিতে অভিষেক ম্যাচেই নিজেকে নিংড়ে দিয়েছেন হামজা চৌধুরী। পুরো ৯০ মিনিট তাঁকে কখনো দেখা গেছে মিডফিল্ড জেনারেলের ভূমিকায়, আবার কখনো রক্ষণভাগের অতন্দ্রপ্রহরী হিসেবে। প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকানো, নিজ দলের গোলের সুযোগ তৈরি, কী না করেছেন ইংলিশ লিগে খেলা এই ফুটবলার।
এককথায় গতকাল এশিয়ান কাপের বাছাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচের পুরোটা সময় রাজত্ব করেছেন হামজা। তাঁর এমন নৈপুণ্যে মুগ্ধ বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক খেলোয়াড়েরাও। তাঁদের চোখে ‘এ+’ পারফরম্যান্সই ছিল হামজার।
আরও পড়ুনসত্যি কি সৌদি আরবে এশিয়ান কাপ খেলার সামর্থ্য রাখেন হামজারা২ ঘণ্টা আগেসাবেক অধিনায়ক বিপ্লব ভট্টাচার্য তো বলেই দিলেন, হামজা মাঠে থাকাতেই বাংলাদেশ দলের চেহারা পাল্টে গেছে। প্রতিপক্ষের আক্রমণ ঠেকাতে হামজার বুদ্ধিদীপ্ত রণকৌশলের প্রশংসা করে বিপ্লব আজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘হামজা থাকাতে দলের যে ডিফেন্ডিং শেড, সেটা পুরোপুরি ঠিক ছিল। কারণ, সে নেতৃত্ব দিয়েছে। তার উপস্থিতি বাংলাদেশ দলের চেহারাই পুরোপুরি বদলে দেয়। খেলোয়াড়দের প্রেরণা, নেতৃত্ব, একটা দলে এসব দরকার। হামজা কখনো মিডফিল্ডে গিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছে, কখনো আবার ডিফেন্সে নেতৃত্ব দিয়েছে। আসলে বাংলাদেশ দলে তার মতো একজন নেতার দরকার ছিল। গত ম্যাচে সেই অভাবটাই যেন সে পূরণ করেছে।’
রক্ষণ থেকে আক্রমণ—সব জায়গাতেই ছিলেন হামজা