Samakal:
2025-04-15@21:03:46 GMT

বৈশ্বিক আসরে এআই ইকোসিস্টেম

Published: 19th, February 2025 GMT

বৈশ্বিক আসরে এআই ইকোসিস্টেম

আগামী ২ মার্চ স্পেনের বার্সেলোনায় অবস্থিত হায়াত রিজেন্সি বার্সেলোনা টাওয়ারে বিশেষ সব ব্র্যান্ডের উপস্থাপনা প্রদর্শিত হবে। বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড অনুষ্ঠিতব্য মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস (এমডব্লিউসি) ২০২৫ আসরে তাদের নতুন কৌশলগত উদ্যোগ ‘অনার আলফা প্ল্যান’ উন্মোচনের সঙ্গে এআই নিয়ে নিজেদের নতুন সব উদ্ভাবন দর্শনার্থীর সামনে উপস্থাপন করবে।

বিশেষ ক্ষেত্রে ‘আলফা’ শব্দটি বহুমাত্রিক তাৎপর্য বহন করে। একদিকে এটি যেমন এগিয়ে থাকা চিন্তাধারা প্রকাশ ধরে, অন্যদিকে ঠিক তেমনি সর্বোচ্চ উৎকর্ষতার বিষয় তুলে ধরে; একই সঙ্গে এটি উদ্ভাবন ও কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সময়োপযোগী পারফরম্যান্সের নিশ্চয়তা দেয়। ব্র্যান্ডের আলফা প্ল্যান নিজস্ব নতুন কৌশলগত লক্ষ্য হিসেবে সব ধরনের মূলনীতি ধারণ করে।

নতুন উদ্যোগের মাধ্যমে ব্র্যান্ডটি উন্মুক্ত ও সহযোগিতাপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যেখানে অংশীজনের মাধ্যমে উদ্ভাবন সমৃদ্ধ হবে। নিজেদের কৌশলগত দক্ষতা কাজে লাগিয়ে ও বৈশ্বিক অংশীজনের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার মধ্য দিয়ে সম্ভাবনার সীমানাকে আরও বাড়িয়ে শক্তিশালী এআই ইকোসিস্টেম গড়ে তোলাই এখন ব্র্যান্ডের লক্ষ্য।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পরিচালিত ভবিষ্যৎমুখী কনজ্যুমার টেক নিশ্চিতে ব্র্যান্ডটি কাজ করছে। বৈশ্বিক অংশীজনের সঙ্গে উন্মুক্ত ও সহযোগিতাপূর্ণ এআই ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এখন ব্র্যান্ড হিসেবে তাদের প্রধান লক্ষ্য।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এআই ক শলগত

এছাড়াও পড়ুন:

প্রত্যাবাসনের শুরুতে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার আলোচনা মিথ্যা নয়: খলিলুর রহমান

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা এবং প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা ইস্যু ও অগ্রাধিকার বিষয়াবলি–সংক্রান্ত হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ খলিলুর রহমান বলেছেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাবাসনের শুরুতে ১ লাখ ৮০ হাজার জনকে ফিরিয়ে নেওয়ার আলোচনা ‘মিথ্যা নয়’, বরং এর সংখ্যা বেশিও হতে পারে।

আজ রোববার রাজধানীর নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রিসেশনিং সিনো-বাংলা রিলেশনশিপ: চিফ অ্যাডভাইজারস ল্যান্ডমার্ক ভিজিট’ শীর্ষক এক সেমিনারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে খলিলুর রহমান এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘শুরুতে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ফিরিয়ে নেওয়ার যে আলোচনা, তা সঠিক। এখানে যৌথ কোনো বিবৃতি নেই, তবে তাদের ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং আমি পাশাপাশি ছিলাম, তারা এতে সম্মত। সামাজিক মাধ্যমে বলা হচ্ছে, ১ লাখ ৮০ হাজার, এটা মিথ্যা; এটা মিথ্যা নয়, এটা আরও বেশি।’

প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরকে ঐতিহাসিক ও তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে খলিলুর রহমান বলেন, এই সফর দুই কারণে গুরুত্বপূর্ণ। প্রথমত, বাংলাদেশ-চীন সম্পর্কের ৫০ বছর এবং দ্বিতীয়ত, প্রধান উপদেষ্টার প্রথম দ্বিপক্ষীয় সফর। আমরা এ সফরের জন্য অনেক সময় কাজ করেছি এবং সেখানে আমাদের সহায়তা করেছেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, তিনি ঢাকা ও বেইজিংয়ে অসংখ্য ঘণ্টা কাজ করেছেন।

খলিলুর রহমান জানান, গেল ডিসেম্বরে রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন কুনমিংয়ে থেকে বাংলাদেশে চিকিৎসা গ্রহণের বিষয়ে আলোচনা করেছেন এবং তিন মাসের ভেতর এটি সম্ভব হয়েছে।

জনগণ অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা হাই রিপ্রেজেন্টেটিভ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের চীন সফর নিয়ে অনেক কথা বলা হয়েছে, না বলা অনেক কথাও আছে।

চীন ও ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে তিনি বলেন, ‘চীন ও ভারতের সাথে সম্পর্ককে আমরা কখনোই জিরো-সাম গেমের সম্পর্ক হিসেবে দেখি না; বরং উভয়ের সাথে গুরুত্বের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখাই আমাদের লক্ষ্য।’

সফরকালে চীনের বিভিন্ন শীর্ষ কোম্পানির সিইওদের সঙ্গে আলাপের প্রসঙ্গ তুলে খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমাদের জনগোষ্ঠীর অর্ধেক তরুণ, তাদের জন্য অনেক বেশি কর্মসংস্থান দরকার। আমরা এসব বিষয়ে সিইওদের সঙ্গে কথা বলেছি। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, তারা এতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এসব কোম্পানির বার্ষিক “টার্ন-ওভার” কোনো কোনো দেশের জিডিপির চেয়েও বেশি।’

এ প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ সফর নিয়ে অনেক বেশি আলোচনা তুলতে চাই না, আমাদের কাজ কথা বলবে। আমরা আশা করছি, দুই শতাধিক কোম্পানি, রাষ্ট্রদূত বলছেন এটা আরও বেশি হবে। রাষ্ট্রদূত প্রধান উপদেষ্টার সফরকে “মাইলস্টোন” বলেছেন, আমি এটাকে “ব্রেক থ্রু” বলব।’

বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে উল্লেখ করে খলিলুর রহমান বলেন, ‘আমরা এই সম্পর্ককে অনেক বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আশা করছি, আমাদের পরবর্তী সরকারও তা অব্যাহত রাখবে।’

প্রধান উপদেষ্টার এই সফর বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ভিত্তিকে আরও দৃঢ় করেছে বলে মন্তব্য করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, ‘এটি শুধু সরকার নয়, জনগণের সম্পর্ককেও প্রতিফলিত করে।’

সাংহাই ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. লিউ জংই বলেন, চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক কেবল অর্থনৈতিক নয়, সাংস্কৃতিক ও কৌশলগত দিক থেকেও গুরুত্বপূর্ণ। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের এলডিসি উত্তরণের প্রেক্ষাপটে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে চীন দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারত্বে আগ্রহী। এ সময় তিনি শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং শ্রমবাজারে সহযোগিতা বৃদ্ধির ঘোষণা দেন।

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আব্দুল হান্নান চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির পলিটিক্যাল সায়েন্স ও সোসিওলজি বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ নুরুজ্জামান। তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতিতে একটি কৌশলগত পুনর্গঠন পরিলক্ষিত হচ্ছে, যেখানে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক একটি নতুন মাত্রা লাভ করছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বাংলাদেশকে কৌশলগত পদক্ষেপ নিতে হবে
  • প্রত্যাবাসনের শুরুতে ১ লাখ ৮০ হাজার রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নেওয়ার আলোচনা মিথ্যা নয়: খলিলুর রহমান