ওয়াসার পাইপ ফেটে চট্টগ্রামের বড় অংশে পানি সরবরাহ বন্ধ
Published: 19th, February 2025 GMT
জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ করার সময় ওয়াসার পাইপ ফেটে যাওয়ায় চট্টগ্রাম নগরীর একটি বড় অংশে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
গতকাল বুধবার পর্যন্ত তিন দিন সরবরাহ বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন নগরীর বিপুলসংখ্যক বাসিন্দা। তবে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা সংস্কারে জোর তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার থেকে সরবরাহ স্বাভাবিক হতে পারে।
জানা যায়, নগরীর অক্সিজেন-কুয়াইশ সড়কের অনন্যা আবাসিকসংলগ্ন এলাকায় জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের আওতায় কালভার্ট নির্মাণের কাজ চলছিল। এটি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) একটি প্রকল্প। এ সময় সোমবার বিকেলে ওয়াসার সরবরাহ পাইপটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর পর থেকেই পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে বিপাকে পড়েন নগরীর লাখো মানুষ। বোতলজাত ও জারে বাজারজাত পানি সংগ্রহ করে দৈনন্দিন জরুরি কাজ চালাচ্ছেন তারা।
যে পাইপলাইনটি ফেটে যায়, সেটি চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় কর্ণফুলী পানি শোধনাগার-১ থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় পানি সরবরাহ করে। ৪৮ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপটির প্রায় ৮-১০ ইঞ্চি ফেটে গেছে। এতে নগরীর উত্তর ও দক্ষিণ হালিশহর, আগ্রাবাদ, নয়াবাজার, মাদারবাড়ী, দেওয়ানহাট, ধনিয়ালাপাড়া, লালখানবাজার, ওয়াসার মোড়, জিইসি মোড়, ২ নম্বর গেট, বায়েজিদ বোস্তামী, নাসিরাবাদ, অক্সিজেনসহ কয়েকটি এলাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী রানা চৌধুরী বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত পাইপটি মেরামতের কাজ শেষ পর্যায়ে। বৃহস্পতিবার কাজটি শেষ হতে পারে। এরপর পানি সরবরাহ শুরু করা হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: নগর র
এছাড়াও পড়ুন:
ইলিশ: দাম স্বাভাবিক, ক্রেতা কম
বাংলা নববর্ষ উদযাপনে পান্তা ইলিশের একটি রেওয়াজ আছে। প্রতি বছর পয়লা বৈশাখ এলে বাজারে ইলিশের চাহিদা ও দাম বেড়ে যায়। কিন্তু এবার বাজারে বড় সাইজের ইলিশের সরবরাহ ও দাম স্বাভাবিক থাকলেও ক্রেতা কম বলে দাবি করেছেন ব্যবসায়ীরা।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে মাছ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এক কেজি বা একটু বেশি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা, ৭০০ থেকে ৯০০ গ্রামের ইলিশ ১ হাজার ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ২০০ থেকে এক হাজার ৩০০ টাকায়।
কারওয়ান বাজারে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছ কিনতে আসা বেসরকারি চাকরিজীবী সুইটি রানী রাইজিংবিডিকে বলেন, “পয়লা বৈশাখে পান্তা ইলিশ না খেলে নববর্ষ উদযাপন হবে কী করে? তাই স্বামীকে নিয়ে ইলিশ নিতে এসেছি। এখানে ভালো মানের ইলিশ পাওয়া যায়। আমি এক কেজি ওজনের দুটি ইলিশ নিয়েছি। আমার কাছ থেকে চার হাজার টাকা রেখেছে। গত সপ্তাহেও এই দামে নিয়েছি।”
আরো পড়ুন:
কড়া নাড়ছে ঈদ, চলছে শেষ মুহূর্তের কেনাকাটা
শেষ মুহূর্তে জমজমাট ঈদের কেনাকাটা
সাজ্জাদুল ইসলাম নামের আরেকজন ক্রেতা রাইজিংবিডিকে বলেন, “আমাদের অফিসের জন্য ১৫ কেজি ইলিশ নিয়েছি। অফিসের সবাই ইলিশ দিয়ে নববর্ষ উদযাপন করব। ৯০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের দাম রেখেছে ১ হাজার ৬০০ টাকা করে। অন্য সময় হয়তো ১ হাজার ৫০০ তে পেতাম। তবে এখানকার মাছগুলো টাটকা।”
পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশ মাছ কিনতে আসা কাইয়ুম মজুমদার রাইজিংবিডিকে বলেন, “এবার বাজারে অন্য বছরের তুলনায় ইলিশের দাম কম দেখলাম। বড় ইলিশ ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা মধ্যে। কিন্তু যারা মধ্যবিত্ত রয়েছে তাদের পক্ষে এই দামেও ইলিশ কেনা সম্ভব না।”
কারওয়ান বাজারে সুজন মৎস্য আড়ৎ এর স্বত্বাধিকারী মো. সুজন সিকদার রাইজিংবিডিকে বলেন, “বাজারে এখন পর্যাপ্ত পরিমাণ ইলিশ সরবরাহ থাকার কারণে পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ইলিশের দাম বাড়েনি। আগের দামে বিক্রি হচ্ছে। নদীর ইলিশের চাহিদা বেশি। এখন ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকার মধ্যে এক কেজি ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে। তবে আগে যেমন পয়লা বৈশাখে বাজারে ভিড় থাকত। এ বছর ভিড় দেখছি না, বিক্রিও কম।”
বাবুল মৎস্য আড়ৎ এর ইলিশ বিক্রেতা বাবুল মোল্লা রাইজিংবিডিকে বলেন, “এবার বাজারে ইলিশের দাম স্বাভাবিক রয়েছে। এর অন্যতম কারণ বড় ইলিশ মাছের সরবরাহ ঠিক আছে।”
ঢাকা/রায়হান/সাইফ