প্রয়াসের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান
Published: 19th, February 2025 GMT
বিশেষায়িত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রয়াস, ঢাকার বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান হয়েছে। বুধবার ঢাকা সেনানিবাসের প্রয়াস প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের মধে৵ পুরস্কার বিতরণ করেন প্রয়াসের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় মোট ১০১টি ইভেন্টে ৩০৩ শিক্ষার্থী পুরস্কার পেয়েছে। সমাপনী অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা খেলার ইভেন্টের পাশাপাশি মার্চপাস্ট ও মনোমুগ্ধকর ডিসপ্লেতে অংশগ্রহণ করে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান ভিন্নভাবে সক্ষম শিশুসহ একীভূত কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থীর উন্নতি ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে একটি সুন্দর সমাজ গঠনে সবার সহযোগিতার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তিনি প্রয়াসের সব শিক্ষার্থীকে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানান। প্রয়াসের বহুমুখী কার্যক্রমকে আরও বেগবান করতে সমাজের বিত্তবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানসহ সবাইকে এগিয়ে আসার উদাত্ত আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে প্রয়াসের পৃষ্ঠপোষক সারাহনাজ কমলিকা জামান এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো.
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত বিশেষায়িত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রয়াস, ঢাকা ২০০৬ সালে ‘সেনা সহায়ক স্কুল’ নামে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন ও সাধারণ শিক্ষার্থীসহ ১ হাজার ৬৮৯ শিক্ষার্থী শিক্ষা গ্রহণ করছে। বিশেষায়িত এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘ ১৯ বছর ধরে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও ব্যক্তির মৌলিক অধিকার, কল্যাণ, সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে চলেছে। প্রতিষ্ঠানটি স্বাস্থ্যসেবা, বিশেষ ও একীভূত শিক্ষা বাস্তবায়ন, পুনর্বাসন ও কর্মসংস্থানের মাধ্যমে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন জনগোষ্ঠীকে মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন
এছাড়াও পড়ুন:
ভূমিকম্প হলে যা করবেন
পরপর দুটি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে মিয়ানমারে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা ইউএসজিএস এর তথ্য অনুযায়ী, প্রথম ভূমিকম্পটির মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৭। উৎপত্তিস্থলের ২০ কিলোমিটার দূরে ৬ দশমিক ৪ মাত্রার আরেকটি ভূমিকম্প হয়েছে। এর উৎপত্তিস্থল মিয়ানমারের মান্দালয় যা বাংলাদেশে থেকে ৫৯৭ কিলোমিটার দূরে। এতে শুধু মিয়ানমার নয়, এর প্রভাব অনুভূত হয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, থাইল্যান্ডসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন স্থানে।
ভূমিকম্পের জন্য বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে আছে, এমন মত বিশেষজ্ঞদের। আবহাওয়াবিদদের ভাষ্য, ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া খুব জটিল বিষয়। কোনো নির্দিষ্ট ভূমিকম্পকে সরাসরি নির্ণয় করা যায় না। ভূমিকম্পবিষয়ক দুর্যোগ মোকাবিলার জন্য সরকারের সুস্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকাটা অত্যন্ত জরুরি।
আবার ব্যক্তিপর্যায়েও ভূমিকম্পের সময় কিছু করণীয় আছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ভূমিকম্পের সময় করণীয় নিয়ে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছে। মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে এটি দেওয়া আছে।
নিচে করণীয়গুলো তুলে ধরা হলো:
ভূকম্পন অনুভূত হলে আতঙ্কিত হবেন না। ভূকম্পনের সময় বিছানায় থাকলে বালিশ দিয়ে মাথা ঢেকে টেবিল, ডেস্ক বা শক্ত কোনো আসবাবের নিচে আশ্রয় নিন। রান্নাঘরে থাকলে গ্যাসের চুলা বন্ধ করে দ্রুত বেরিয়ে আসুন। বিম, কলাম ও পিলার ঘেঁষে আশ্রয় নিন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে স্কুলব্যাগ মাথায় দিয়ে শক্ত বেঞ্চ অথবা শক্ত টেবিলের নিচে আশ্রয় নিন। ঘরের বাইরে থাকলে গাছ, উঁচু বাড়ি, বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে খোলাস্থানে আশ্রয় নিন। গার্মেন্টস ফ্যাক্টরি, হাসপাতাল, মার্কেট ও সিনেমা হলে থাকলে বের হওয়ার জন্য দরজার সামনে ভিড় কিংবা ধাক্কাধাক্কি না করে দুহাতে মাথা ঢেকে বসে পড়ুন। ভাঙা দেয়ালের নিচে চাপা পড়লে বেশি নড়াচড়ার চেষ্টা করবেন না। কাপড় দিয়ে মুখ ঢেকে রাখুন, যাতে ধুলাবালু শ্বাসনালিতে না ঢোকে। একবার কম্পন হওয়ার পর আবারও কম্পন হতে পারে। তাই সুযোগ বুঝে বের হয়ে খালি জায়গায় আশ্রয় নিন। ওপর তলায় থাকলে কম্পন বা ঝাঁকুনি না থামা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে; তাড়াহুড়ো করে লাফ দিয়ে বা লিফট ব্যবহার করে নামা থেকে বিরত থাকুন। কম্পন বা ঝাঁকুনি থামলে সিঁড়ি দিয়ে দ্রুত বেরিয়ে পড়ুন এবং খোলা আকাশের নিচে অবস্থান নিন। গাড়িতে থাকলে পদচারী–সেতু, উড়ালসড়ক, গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটি থেকে দূরে গাড়ি থামান। ভূকম্পন না থামা পর্যন্ত গাড়ির ভেতরে থাকুন। ব্যাটারিচালিত রেডিও, টর্চলাইট, পানি এবং প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম বাড়িতে রাখুন। বিল্ডিং কোড মেনে ভবন নির্মাণ করুন।