বিমানের টিকিটে দুর্বৃত্তপনা অনুসন্ধান করছি: স্বরাষ্ট্র সচিব
Published: 19th, February 2025 GMT
কিছু মানুষের দুর্বৃত্তপনার কারণে এয়ার টিকিটের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি ঘটে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. নাসিমুল গণি। তিনি বলেছেন, দেশের এভিয়েশন খাতে অনেক রকম সমস্যা রয়েছে। তা অনুসন্ধান করতে আমরা বসেছি।
বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এয়ার টিকিটের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি ও কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তদন্ত কমিটির শুনানির আগে এসব কথা বলেন নাসিমুল গণি।
তিনি বলেন, আমাদের (এভিয়েশন সেক্টরে) অনেক রকম সমস্যা রয়েছে। শুধু সমস্যাটা একতরফা যে তাদের (জেনারেল সেলস এজেন্ট) সেটা নয়। বিভিন্ন সমস্যা আছে। আমরা আজকে একটা বিষয় নিয়ে অনুসন্ধানের চেষ্টা করছি। আমাদের দেশ থেকে যারা মধ্যssপ্রাচ্য যায়, তাদের টিকিটের দাম অনেক বেশি পড়ে। এই পুরো প্রক্রিয়ায় আমাদের কিছু নিয়ম আছে; বিধি আছে। এর কিছু প্রতিপালন হচ্ছে আর কিছু হচ্ছে না। কিছু ক্ষেত্রে কিছু মানুষের দুর্বৃত্তপানা রয়েছে। এটা অনুসন্ধান করতে আমরা বসেছি।
সচিব আরও বলেন, বাংলাদেশে যেসব এয়ারলাইন্স চলে, তাদের যেসব প্রতিনিধি রয়েছে (জেনারেল সেলস এজেন্ট), তাদের নিয়ে বসেছি। তাদের অভিজ্ঞতাগুলো জানতে চাচ্ছি। একই সঙ্গে আমাদের অনুসন্ধানও যাতে মানুষের কাজে লাগে, এ কারণেই এই প্রচেষ্টা। এটা আমাদের মতো করে আমরা তদন্ত করব।
তিনি বলেন, আমরা এয়ার টিকিটের ভাড়া নির্ধারণ করতে যাচ্ছি না। শুধু তদন্ত করছি। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর থেকে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়ের উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ করায় বাবাকে হত্যা: গ্রেপ্তার ১
রাজশাহী নগরীর তালাইমারি এলাকায় মেয়েকে উত্ত্যক্তের প্রতিবাদ জানানোয় বাবাকে মাথা থেতলে হত্যা করে বখাটেরা। এই ঘটনায় আসামিদের ধরতে প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দেয় নিহতের এলাকাবাসী। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি শুক্রবার সন্ধ্যায় নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক হোসেন নিশ্চিত করেছেন।
বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাক হোসেন সমকালকে বলেন, মামলার আসামি রুমেলকে (২৫) গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রাজশাহীর তালাইমারি শহীদ মিনারের বাবর রোডের মাথা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তার করার জন্য অভিযান চলছে।
এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তালাইমারি শহিদ মিনার এলাকার কালু মিয়ার ছেলে নান্টু (২৮), মৃত রতনের ছেলে মো. বিশাল (২৮), মৃত আবদুস সাত্তারের ছেলে মো. খোকন মিয়া (২৮)। এছাড়া তালাইমারি বাবর আলী রোড এলাকার শাহীনের ছেলে তাসিন হোসেন (২৫), মো. অমি (২৫), জামালের ছেলে মো. নাহিদ (২৫), পিরুর ছেলে মো. শিশির (২০)।
নিহত আকরাম আলী (৫২) পেশায় একজন বাস চালক। তিনি রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। তার মেয়ে রাকিয়া ওরফে আলফি নগরীর অগ্রণী বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্রী। আলফিকে নিয়মিতই উত্ত্যক্ত করে আসছিল নান্টু ও তার সহযোগীরা। সর্বশেষ গত বুধবার বিকেলে ভুক্তভোগী আলফি কোচিং করে বাসায় ফেরার পথে নান্টু তাকে উত্ত্যক্ত করে। ভুক্তভোগী বাসায় এসে এই বিষয়ে জানালে তার বাবা অভিযুক্ত নান্টুর বাসায় বিচার দেয়। পরে, নান্টু ও তার সহযোগীরা সেদিন রাতে রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারি শহীদ মিনার এলাকায় হাতে লোহার রড, বাঁশের লাঠি, কাঠের লাকড়ি, ইটের আধলা নিয়ে ভুক্তভোগীর বড় ভাই ইমান হাসানের ওপর আক্রমণ করে। এসময় নান্টুর হুকুমে অন্য আসামিরা তাকে এলাপাতাড়িভাবে মারপিট করতে থাকে। প্রাণে বাঁচার তাগিদে চিৎকার করলে বাবা আকরাম বাঁচাতে এগিয়ে আসেন। তার বাবা এগিয়ে আসলে অভিযুক্ত নান্টুর হুকুমে আসামিরা এলোপাতাড়ি লাথি, কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এ সময় ইটের আধলা দিয়ে হত্যার উদ্দেশে তার (আকরাম) মাথার পিছনে আঘাত করে। মাথায় গুরুতর জখম হয়। পরে তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহত আকরাম আলীর ছেলে ইমাম হাসান অনন্ত বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার নগরীর বোয়ালিয়া থানায় সাতজনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত আর চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
ইমাম হাসান অনন্ত সমকালকে বলেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে আমার বাবার খুনিদের গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে। যারা গ্রেপ্তার হয়নি, তাদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে। এই খুনিরা সমাজের জন্য বিপদজনক।