ব্রাজিলিয়ান লিগের ফুটবলাররা অনলাইনে প্রতিবাদমূলক একটি প্রচারণা শুরু করেছেন। প্রাকৃতিক ঘাসের বদলে কৃত্রিম টার্ফে খেলার প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিবৃতি পোস্ট করেছেন খেলোয়াড়েরা। নেইমার, থিয়াগো সিলভা, মেম্ফিস ডিপাই, ফিলিপ কুতিনিওরা যোগ দিয়েছেন এই কর্মসূচিতে।

আরও পড়ুনহিমেনেজের ইতিহাসও বাঁচাতে পারেনি এসি মিলানকে১৩ ঘণ্টা আগে

গতকাল অনলাইনে সবাই একই বিবৃতি পোস্ট করেন। কৃত্রিম ঘাসের মাঠে খেলোয়াড়দের চোটে পড়ার হার বাড়ছে বলে মনে করেন খেলোয়াড়েরা। সান্তোস তারকা নেইমারের ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডলে পোস্ট করা সেই বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ব্রাজিলিয়ান ফুটবল যে পথে হাঁটছে তা উদ্বেগজনক। খেলাটিতে আমাদের ব্যাপ্তি এবং প্রতিনিধিত্ব যতটা, তাতে এ প্রশ্নই ওঠা উচিত নয়। বিশ্বের সেরা লিগগুলোয় খেলোয়াড়দের কথা শোনা হয় এবং মাঠ ও স্টেডিয়ামে বিনিয়োগ করা হয়। বাজে মাঠের সমাধান হলো ভালো মাঠ বানানো। ফুটবল প্রাকৃতিক, কৃত্রিম নয়।’ এই বিবৃতির শেষ কথায় লেখা হয়, ‘পেশাদার ফুটবল কৃত্রিম ঘাসে খেলা হয় না।’

সৌদি আরবের ক্লাব আল হিলাল ছেড়ে এ মাসেই সান্তোসে ফিরেছেন নেইমার। নেদারল্যান্ডসের ফুটবলার মেম্ফিস ডিপাই খেলেন করিন্থিয়ান্সে, থিয়াগো সিলভা ফ্লুমিনেন্সে।

আরও পড়ুনএক দিনেই মেসির তিন ছেলের হাতে ট্রফি, চিরোর অবিশ্বাস্য ‘মেসি’ গোল১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

ব্রাজিলের শীর্ষ লিগের কিছু ক্লাব স্টেডিয়ামের বহুমুখী ব্যবহারে কৃত্রিম ঘাস ব্যবহার করে মাঠে। এতে যেকোনো ব্যবহারেই মাঠের ক্ষতি কম হয়। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন বোতাফোগো, পালমেইরাস ও অ্যাথলেটিকো পারানায়েনসের মাঠ কৃত্রিম ঘাসে বানানো। বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস (এপি) জানিয়েছে, চোট থেকে ফেরা কিংবা তারকা খেলোয়াড়েরা এসব ক্লাবের মাঠে ম্যাচ বয়কট করতে পারেন।

ফ্লুমিনেন্সের ডিফেন্ডার থিয়াগো সিলভা.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ টবল

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাক থেকে ঝরে পড়া বালুর স্তর সড়কে

তাহেরুল ইসলাম একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, বাইসাইকেল চালিয়ে শহরের রেলগেট থেকে সাঁড়াগোপালপুরে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ট্রাক থেকে রাস্তায় ঝরে পড়া বালুর আস্তরণে চাকা পিছলে ইজিবাইকের ধাক্কায় উল্টে গিয়ে পড়েন রাস্তার পাশে পাতিবিলের কিনারায়। অল্পের জন্য তিনি পানিতে পড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান। অন্য যানবাহনের যাত্রীরা তাঁকে তুলে পাঠান বাড়িতে।
ঈশ্বরদীর টিপু সুলতান, উপজেলা, পাকশি পেপার মিল, ইপিজেডসহ বিভিন্ন সড়কে প্রতিদিন এমন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহন। এতে শিক্ষক তাহেরুলের মতো বিপদে পড়ছেন অনেকে। জানা গেছে, বালু বহনকারী ট্রাক, ডাম্প ট্রাক ও ট্রাক্টর থেকে ঝরে পড়া বালু রাস্তায় জমতে জমতে পুরু আস্তরণ তৈরি হয়েছে। 
এসব সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সরেজমিনে জানা গেছে, পদ্মা নদী থেকে ট্রাকে সড়কপথে বহন করা বালু ঝরে পড়ে বিভিন্ন সড়ক এখন বালুময় হয়ে গেছে। পাকা সড়ক ঢাকা পড়েছে বালুর আস্তরণে। চাকা পিছলে দুর্ঘটনায় পড়ছে যানবাহন।
টিপু সুলতান রোডে চলাচলকারী ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, এমনিতে এ সড়ক ভাঙা। এরই মধ্যে অতিরিক্ত ওজনের বালু বহন করায় ঝাঁকুনিতে ঝরে পড়ে। এতে বালু জমে সড়ক ঢাকা পড়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। ইজিবাইকচালক বদরুল আলমের ভাষ্য, বালুতে চাকা পিছলে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। বালু না সরানো হলে এবং ট্রাকে অতিরিক্ত ভার বহন বন্ধ করা না হলে এ অবস্থার সমাধান হবে না।
পদ্মা নদী থেকে বালু ভর্তি করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পৌঁছাতে এক থেকে দেড় ফুট বালু সড়কে ঝরে পড়ে বলে জানান ট্রাকচালক জামাল হোসেন। আরেক চালক সামসুল আলম বলেন, ভাঙা সড়কের কারণে বারবার অতিরিক্ত ঝাঁকুনিতে ট্রাক থেকে বালু ঝরে পড়ে। বাধ্য হয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি বালু লোড করতে হচ্ছে। এতে গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত ঝরে পড়ার পরও ট্রাকের আকার অনুযায়ী বালু থাকে।
ইউএনও সুবীর কুমার দাশ বলেন, বালুতে সড়কে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা জানা ছিল না। ট্রাফিক বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় বিষয়টি আলাপ করে সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ