বিদেশি কোম্পানিতে টাকা পাঠাতে নতুন নির্দেশনা
Published: 19th, February 2025 GMT
বাংলাদেশে অবস্থিত সাবসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানের সেবার অর্থ বিদেশি মূল কোম্পানিকে পরিশোধ করার বিষয়ে নতুন সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে এক হিসাব বছরে নীট মুনাফার ১০ শতাংশ পর্যন্ত অর্থ বিদেশে পাঠাতে পারবে। তবে এই অর্থ পাঠাতে হলে সাবসিডিয়ারি কোম্পানির ৫০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারন করতে হবে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, বিদেশি কোম্পানির স্থানীয় সাবিসিডিয়ারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের বিদেশি প্যারেন্ট বা গ্রুপ কোম্পানি থেকে বিভিন্ন সেবা গ্রহণের জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমতি দিয়েছে। এক্ষেত্রে, ব্যাংকগুলো স্থানীয় সাবিসিডিয়ারি কোম্পানিগুলোর পক্ষে সেবা মূল্য বাবদ অর্থ পরিশোধ করতে পারবে, যদি সেবা বা পরিষেবাগুলো স্থানীয়ভাবে পাওয়া না যায়। তবে বিদেশি প্যারেন্ট বা গ্রুপ কোম্পানিগুলো সাবসিডিয়ারি কোম্পানির ৫০ শতাংশের বেশি শেয়ার ধারণ করতে হবে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে বিদেশে পাঠানোর অর্থের পরিমাণ এক হিসাব বছরে নীট মুনাফার ১০ শতাংশের বেশি হবে না। নির্ধারিত ১০ শতাংশ সীমার চেয়ে বেশি পরিশোধের প্রয়োজন হলে খসড়া চুক্তি ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যসহ বাংলাদেশ ব্যাংককে আবেদন করতে হবে।
আরো পড়ুন:
তিন হাজার কোটি টাকার সুকুক ইস্যুর সিদ্ধান্ত
সাবেক গভর্নরসহ ২৫ জনের নামে লকার খুঁজে পায়নি দুদক
সার্কুলার অনুযায়ী, হিসাব বছরের মধ্যেও সেবা মূল্য বিদেশে পাঠানোর যোগ্য হবে। এক্ষেত্রে সম্ভাব্য মুনাফার পরিমাণ নির্ধারণ ও তা অডিটর দ্বারা প্রত্যায়িত হতে হবে। কোন পরিষেবা বাবদ অর্থ পরিশোধের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থেকে অনুমতির প্রয়োজন হলে বিদেশে অর্থ পাঠানোর বিষয়টি আলাচ্য সার্কুলার অনুযায়ী হবে না।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের এই উদ্যোগের ফলে বিদেশি মালিকানাধীন কোম্পানিগুলো বিদেশি প্যারেন্ট বা গ্রুপ কোম্পানি থেকে সেবা ক্রয় বাবদ মূল্য সহজে পরিশোধ করতে পারবে।
ঢাক/এনএফ/এসবি
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বালু লুট ও সালিশের নামে অন্যায় করতে দেওয়া হবে না: বাবুল
ফরিদপুরের সদরপুরবাসীদের উদ্দেশে কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল বলেছেন, আমি আপনাদের সঙ্গে কমিটমেন্ট করলাম, আমার শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমি আপনাদের পাশে থাকব। বালু লুট, সালিশের নামে টাকা হরিলুট, অন্যায়-অত্যাচার-জুলুম করতে দেওয়া হবে না। আমি এখানে জোর করে আসি নাই, দলের সিদ্ধান্তে এসেছি।
শনিবার বিকেলে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের জয়বাংলা মাঠে কৃষক দলের আয়োজিত ‘কৃষক সমাবেশে’ এসব কথা বলেন তিনি।
বাবুল বলেন, সদরপুরের সঙ্গে আমার হৃদয়ের সম্পর্ক। সদরপুর উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের পাশেই আমার বাড়ি। আমি রাজনীতি করি আটত্রিশ বছর ধরে। অনেক চড়াই উতরাই করে একটা গেরস্ত মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে ছাত্রদল করে করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আজ এ পর্যন্ত এসেছি।
তিনি বলেন, ১৩৮টি মামলা, রক্ত ঝরাইছি বার বার, কারাগারে গেছি বহুবার। আমি এইখানে বানরের নাচ খেলাইতে আসি নাই।
সদরপুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক মো. ফজলুর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কৃষক দলের সভাপতি কৃষিবিদ হাসান জাফির তুহিন।
তিনি বলেন, দলের সিদ্ধান্তে আমি (ফরিদপুর-৪)আপনাদের হাতে শহিদুল ইসলাম বাবুলকে তুলে দিলাম। তিনি আপনার এলাকায় কাজ করবেন।
সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন- বিশেষ অতিথি মহিলা কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, ভাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ইকবাল হোসেন সেলিম, সদরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি কাজী বদরুজ্জামান বদু, সদরপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক (কমিটি স্থগিত) তরিকুল ইসলাম কবির মোল্যা, সদরপুর উপজেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক মো. আসাদ মৃধা, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতারা।