বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনে চাপের মুখে প্রক্টরসহ প্রক্টরিয়াল বডির পাঁচজন পদত্যাগ করেছেন। তবে তিন দিন আগে দেওয়া পদত্যাগপত্র গোপন রেখে বুধবার তিনজনকে অব্যাহতি দেওয়ার কথা জানিয়েছে ববি প্রশাসন। পাশাপাশি সহকারী অধ্যাপক ড. সোনিয়া খান সনিকে নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এ টি এম রফিকুল ইসলাম, সহকারী প্রক্টর মো.

সাইফুল ইসলাম, মো. ইলিয়াস হোসেন, আলমগীর হোসেন এবং আব্দুল্লাহ আহমেদ ফয়সাল রোববার ভিসি বরাবর পদত্যাগপত্র দেন। বুধবার রফিকুল, সাইফুল এবং ইলিয়াসকে অব্যাহতি দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

জনসংযোগ দপ্তরের উপপরিচালক ফয়সাল মাহমুদ জানান, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শূন্যপদে ড. সোনিয়া খান ভারপ্রাপ্ত প্রক্টরের দায়িত্ব পালন করবেন।

পদত্যাগী সহকারী প্রক্টর ইতিহাস বিভাগের প্রভাষক মো. ইলিয়াস হোসেন বিকেলে জানান, প্রক্টর এবং তিনিসহ চার সহকারী প্রক্টর রোববার একসঙ্গে পদত্যাগপত্র দিয়েছেন। তিনি পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন। কেন সবাই পদত্যাগ করলেন এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অন্যরা কেন পদত্যাগ করেছেন তা তারা বলবেন।

আরেক সহকারী প্রক্টর মো. সাইফুল ইসলাম জানান, তিনি শুনেছেন যে, তাঁকে অব্যাহতি দিয়েছে। তবে পদত্যাগের বিষয়ে তিনি এখনই মন্তব্য করতে চাননি। অব্যাহতি দেওয়া প্রক্টর এ টি এম রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রশাসন তাঁকে যে কোনো কারণে অব্যাহতি দিতে পারে। তবে তিনি পদত্যাগ করেছেন কিনা এ বিষয়ে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

আরেক সহকারী প্রক্টর আলমগীর হোসেন জানান, তিনি ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে বাড়িতে আছেন। উপাচার্য তিনজনকে অব্যাহতি দিয়েছে বলে শুনেছেন। সহকারী প্রক্টর থেকে পদত্যাগ করেছেন কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নৈতিক দিক থেকে আমরা অনেক কিছু ভাবি। এ বিষয়টি ফোনে নয় সামনে এসে বলব।’

এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, উপাচার্যের নির্দেশে নতুন ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর হিসেবে সহকারী অধ্যাপক ড. সোনিয়া খান সনিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে আগের প্রক্টর কিংবা সহকারী প্রক্টরদের পদত্যাগের বিষয়ে কোনো বক্তব্য দেননি।
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: পদত য গ পদত য গপত র ল ইসল ম সহক র

এছাড়াও পড়ুন:

আসুন সবাই ড. ইউনূসকে সাহায্য করি: ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “আমি প্রফেসর ইউনূসকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, তিনি দায়িত্ব নিয়েছেন। আমার বিশ্বাসও আছে, তিনি সফল হবেন। আসুন, আমরা সবাই মিলে তাকে সাহায্য করি। আমরা নিজেরা নিজেদের সাহায্য করি।”

শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাজধানীর বসুন্ধরায় ‘রাষ্ট্রদূত সিরাজুল ইসলাম-এর দূরদৃষ্টিতে ক্ষমতায়ন বাংলাদেশ নেতৃত্ব-ঐক্য এবং প্রবৃদ্ধি’র পথে কূটনীতি-শাসনব্যবস্থা রূপান্তরমূলক’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “যেদিন ছাত্রদের ওপর রাস্তায় গুলি শুরু হয়েছে, সেদিন কিন্তু সবাই রাস্তায় নেমে এসেছে। ঠিক না? আজকে সেই একইভাবে আসুন, আমরা সবাই এক হয়ে যাই। সমস্যা আছে, সমস্যার সমাধান হবে। ইতোমধ্যে অনেক দূর এগিয়েছে।”

আরো পড়ুন:

জুলাইয়ের মধ্যে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার চিন্তা ইসির

ঐক্যের মধ্য দিয়ে নতুন বাংলাদেশ তৈরি করতে চাই: ফখরুল

বিএনপি সমাসচিব বলেন, “একটা কথা জোর দিয়ে বলতে চাই, গণতন্ত্রের কোনো বিকল্প নেই। গণতন্ত্রকে চাপিয়ে দেওয়া যায় না। আপনি আমার ওপর চাপিয়ে দিলেন, তা দেওয়া যাবে না। এটাকে চর্চা করতে হবে। সেই জায়গাগুলোকে ধরে রাখতে হবে।”

মির্জা ফখরুল বলেন, “আমার চারদিকে তাকিয়ে, বিশেষ করে টেলিভিশনের টক-শো, বিদ্যান মানুষদের কথা, রাজনীতির বক্তৃতা সবকিছু মিলে সবাই কেমন যেন একটু হতাশ হয়ে পড়েছেন। এত যে রক্তপাত হলো, এত মায়ের বুক খালি হলো; তার পরিণতি কী হবে শেষ পর্যন্ত? আমি বিশ্বাস করি এবং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ভালো হবে এবং খুব ভালো হবে।”

বিএনপি মহাসচিব বলেন, “কারণ, আমরা বাংলাদেশের মানুষ চিরকাল ভালোর জন্য লড়াই করেছি, সংগ্রাম করেছি এবং জয়ী হয়েছি। বিশেষ করে আমাদের তরুণেরা, আমাদের ছেলেরা; আজকে বাংলাদেশের যা কিছু ভালো অর্জন, সব তাদের জন্য। সেই ৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ২৪-এর জুলাই-আগস্টের অন্দোলন পর্যন্ত, প্রতিটিতেই সামনে ভ্যানগার্ডের ভূমিকা পালন করেছে আমাদের ছেলেরা। সেখানেই আমাদের শক্তি।”

ঢাকা/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইউপি সদস্যসহ তিনজনের কাছে মিলল আড়াই লাখ জাল টাকা
  • আসুন সবাই ড. ইউনূসকে সাহায্য করি: ফখরুল