‘চিত্রলেখায় জুলাই অভ্যুত্থান’ পুরস্কার পেলেন রাইজিংবিডির মোস্তাফিজুর
Published: 19th, February 2025 GMT
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন দপ্তর-সংস্থাগুলোর উদ্যোগে ‘চিত্রলেখায় জুলাই অভ্যুত্থান’ প্রতিযোগিতা ও প্রদর্শনীতে পুরস্কৃত হয়েছেন রাইজিংবিডি ডটকম-এর ইংরেজি বিভাগের সাংবাদিক এস এম মোস্তাফিজুর রহমান।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি)-এ এক অনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম।
আলোকচিত্র প্রতিযোগিতায় (পেশাদার ও অপেশাদার) ও ড্রোন ভিডিও ক্যাটাগরিতে ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অর্জনকারী ৯ জনকে পুরস্কৃত করা হয়। মোস্তাফিজুর রহমান ড্রোন ভিডিও ক্যাটাগরিতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে প্রাইজ মানি এক লাখ টাকা, সম্মাননা স্মারক ও সনদ গ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন পিআইবি মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা প্রমুখ।
মোস্তাফিজুর রহমান ন্যাচার কনসারভেন্সি-২০২৩, রয়্যাল সোসাইটি অফ বায়োলজি, এসপিআইই ইন্টারন্যাশনাল ফটো কন্টেস্ট-২০২৪, ইউনেস্কো ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর টিভিইটি জার্মানিসহ বেশকিছু পুরস্কার অর্জন করেছেন। পাশাপাশি ন্যাশনাল জিওগ্রাফি ম্যাগাজিনসহ দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে তার তোলা ছবি প্রকাশ পেয়েছে।
ঢাকা/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সাহাবিরা যেভাবে মহানবী (সা.)-কে মানতেন
নবীজি(সা.) র আনুগত্য প্রদর্শনে সাহাবিগণ অনন্য সব দৃষ্টান্ত পেশ করেছেন। প্রথমত তাঁর আনুগত্য মানে আল্লাহর আদেশ পালন। দ্বিতীয়ত তাদের অন্তরে নবীজির প্রতি যে ভালোবাসা ছিল, সেই ভালোবাসার আহ্বানে তারা সাড়া দিয়েছেন। মানুষ তার সহজে মানে, যাকে সে ভালোবাসে। আমরা মাত্র তিনটি উদাহরণ উপস্থাপন করছি।
১. জুমার দিন মসজিদের মিম্বরে উঠে নবীজি (সা.) বললেন, ‘বসো তোমরা।’ আবদুলাহ ইবনে মাসউদ (রা.) শোনামাত্র মসজিদের দরজায় বসে গেলেন। তিনি ‘বসো’ শব্দটি শুনে নিজেকে আর এক পা এগোনোর অনুমতি দেননি; যেখানে ছিলেন, সেখানেই বসে গেলেন। নবীজি তাকে দেখলেন যে, তিনি দরজার মুখে বসে গেছেন। বললেন, ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, এগিয়ে এসো।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ১,০৯১)
২. আবু আবদুর রহমান ফাহরি (রা.) বলেন, নবীজির (সা.) সঙ্গে আমি হোনাইনের যুদ্ধে উপস্থিত ছিলাম। গ্রীষ্মের দিনে আমরা প্রচণ্ড রোদের মধ্য দিয়ে চলছিলাম। একসময় সকলে গাছের ছায়ায় বসলাম। সূর্য হেলে পড়লে আমার বর্মটি পরলাম এবং ঘোড়ায় চড়ে নবীজির কাছে এলাম। তিনি তার তাঁবুতে ছিলেন। তাকে সালাম দিয়ে বললাম, আল্লাহর রাসুল, ‘আমাদের যাওয়ার সময় হয়েছে কি?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।’ এরপর তিনি ‘বেলাল’ বলে ডাক দিলেন। বেলাল (রা.) সামুরা গাছের নীচ থেকে ছুটে এলেন। তার ছায়া দেখে মনে হচ্ছিল যেন পাখির ছায়া। তিনি বললেন, ‘আমি হাজির।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস: ৫,২৩৩)
‘
পাখির ছায়া’ বলার কারণ হলো, নবীজির আওয়াজ শোনামাত্র বেলাল (রা.) এত দ্রুত এসেছেন, যেন তার দু’পা মাটিতে ছিল না, ছায়া দেখে মনে হচ্ছিল পাখির ছায়া।
৩. উসাইদ ইবনে জহির (রা.) বলেন, রাফে ইবনে খাদিজ (রা.) আমাদের কাছে এসে বললেন, আল্লাহর রাসুল (সা.) তোমাদের একটি বিষয় নিষেধ করেছেন, যা তোমাদের জন্য উপকারী। তবে মনে রেখো, আল্লাহ ও তার রাসুলের আনুগত্য করা আরও বেশি উপকারী। (সুনানে নাসায়ি, হাদিস: ৩,৮৯৭)
অর্থাৎ, আল্লাহর রাসুল যা বলেছেন, তাতে বাহ্যিক দৃষ্টিতে উপকারী বিষয় গ্রহণে নিষেধ করেছেন বোঝা গেলেও তাতে দ্বিধায় পড়েননি সাহাবিরা। বরং বুঝে নিয়েছেন যে, নিশ্চয় রাসুলের কথা মেনে নিলে আল্লাহ এর চেয়ে বেশি উপকার দেবেন।