চট্টগ্রাম আদালতে উমেদার হিসেবে কর্মরত এক যুবকের সঙ্গে সম্পর্কের জের ধরে এজলাসের বাইরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন এক নারী। তিনি এক আইনজীবীর ক্লার্ক।

আজ বুধবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে চট্টগ্রাম আদালতের ভবনের দ্বিতীয় তলায় অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাসের বাইরে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই নারী বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বিয়ে না করলে এক সপ্তাহ আগে বিষপানে আত্মহত্যার হুমকি দেন ওই নারী। এ কারণে কয়েক দিন ধরে আদালতে আসছেন না ওই উমেদার। এ ছাড়া উমেদারের দুই আত্মীয় বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাপ দেন ওই নারীকে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আজ সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এজলাসের বাইরে এসে বিষপান করে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন ওই নারী। এর আগে উমেদারের নাম ধরে চিৎকার করতে থাকেন। পরে আহত অবস্থায় ওই নারীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান নারী পুলিশ সদস্য ও এক আইনজীবী। খবর পেয়ে সেখানে ছুটে আসে কোতোয়ালি থানা-পুলিশও।

জানতে চাইলে নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন আজ সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, এজলাসের বাইরে এক নারী বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে গেছেন। বর্তমানে সেখানে চিকিৎসাধীন। এক উমেদারের সঙ্গে সম্পর্কের দাবি করেন তিনি।

উল্লেখ্য, আদালতে কর্মরত উমেদাররা বিনা বেতনের নিম্ন শ্রেণির কর্মচারী। তবে আইনজীবী মক্কেলদের কাছ থেকে নেওয়া টাকা থেকে তাঁদের দৈনিক হিসেবে খরচ দেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ওই ন র

এছাড়াও পড়ুন:

পুলিশের কোনো কর্মকর্তা অপরাধে জড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হয়

বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন বলেছে, পুলিশ বাহিনীতে কোনো কর্মকর্তা কোনো অপরাধের সঙ্গে জড়িত হলে যথাযথ অনুসন্ধান করে বিধি মোতাবেক বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। সম্প্রতি অনেকগুলো জেলার পুলিশ সুপারসহ একাধিক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধান করে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

বৃহস্পতিবার পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. মতিউর রহমান শেখ ও সাধারণ সম্পাদক ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার মো. তৌহিদুল আরিফের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সারোয়ার হোসেনের একটি বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিষয়টি বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। ভিডিও পর্যালোচনায় দেখা যায়, এম সারোয়ার হোসেন ১৬ এপ্রিল পুলিশ সুপার তৌহিদুল আরিফ সম্পর্কে কম-বেশি ১০ কোটি টাকার দুর্নীতি উল্লেখ করেন। এমনকি পুলিশ মহাপরিদর্শক পুলিশে কর্মরত কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেন না বলে তিনি (এম সারোয়ার হোসেন) বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আইন অনুযায়ী সাক্ষ্য–প্রমাণ ছাড়া কারও বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে এ রকম বক্তব্য উপস্থাপন করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মানহানির শামিল। একজন স্বনামধন্য আইনজীবী ও সাবেক সেনা কর্মকর্তা হিসেবে পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত একজন কর্মকর্তাকে যথাযথ অনুসন্ধান ব্যতিরেকে দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসার বলায় আমাদের হতাশ করেছে। পুলিশ বাহিনীর প্রধানকে জড়িয়ে এ ধরনের অসত্য বক্তব্য প্রদান কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ধরনের বক্তব্য পুলিশ বাহিনীর মনোবলকে দুর্বল করা ও সুনাম জনসমক্ষে হেয় করার শামিল।’

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এ ধরনের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করছে। বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা সব সময় দেশের আইনশৃঙ্খলা সুরক্ষায় এবং উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে ইতিবাচক ভূমিকা রাখার ক্ষেত্রে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করছেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্রে শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের নিশানায় কারা, কী তাঁদের অপরাধ
  • সিজেএম আদালত ভবন নির্মাণে গতি নেই
  • ওয়াক্ফ আইনের বাস্তবায়ন স্থগিতেও রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে ভারতে
  • আইনজীবী তালিকাভুক্তিকরণ পরীক্ষা, প্রস্তুতিতে যা যা করতে পারেন
  • ওয়াক্ফ আইনের বাস্তবায়ন স্থগিতেও রাজনৈতিক বিতর্ক চলছে
  • পুলিশের কোনো কর্মকর্তা অপরাধে জড়ালে ব্যবস্থা নেওয়া হয়
  • আইনজীবী তালিকাভুক্তির এমসিকিউ পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ শুরু
  • গাইবান্ধার সাবেক এমপি সারোয়ার কবির কারাগারে 
  • বিচারক বললেন, আদালতের অনুমতি ছাড়া মক্কেলের সঙ্গে আইনজীবীর কথা নয়
  • অনলাইন জুয়ার ওয়েবসাইট–অ্যাপ ব্লক, প্রকাশিত বিজ্ঞাপন সরাতে নির্দেশনা চেয়ে রিট