তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বালকদের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা
Published: 19th, February 2025 GMT
“এসো দেশ বদলাই পৃথিবী বদলাই” স্লোগানকে সামনে রেখে জেলা ক্রীড়া অফিস, নারায়ণগঞ্জের আয়োজনে বালকদের ক্রিকেট প্রতিযোগিতা সম্পন্ন হয়েছে।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় অনুমোদিত ক্রীড়া পরিদপ্তরের বার্ষিক ক্রীড়া কর্মসূচি ২০২৪-২০২৫ এর আওতায় তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন উপলক্ষে বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ওসমানি পৌর স্টেডিয়ামে এ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিযোগিতায় চারটি প্রতিষ্ঠানের মোট ৬০ জন বালক অংশগ্রহণ করেন চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।
ফারজানা আক্তার সাথী জেলা ক্রীড়া অফিসার নারায়ণগঞ্জ (অ: দা:) এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিযোগিদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন সাকিব-আল-রাব্বি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নারায়ণগঞ্জ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন খোরশেদ আলম নাসির, মাহমুদ হোসেন সুজন, মাহবুবুর রহমান বিজন, জনাব আরিফ মিহির সহ ক্রীড়া সংস্থার অন্যান্য সদস্যবৃন্দ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
বিদায় ১৪৩১, আজ চৈত্র সংক্রান্তি
আজ রোববার, ১৩ এপ্রিল, বাংলা ১৪৩১ সন বিদায় নিচ্ছে। এটি চৈত্র মাসের শেষ দিন, বাংলা বছরেরও শেষ দিন, আবার বসন্ত ঋতুরও শেষদিন। দিনটি পরিচিত চৈত্র সংক্রান্তি নামে।
আবহমান বাংলার চিরায়ত নানা ঐতিহ্যকে ধারণ করে আসছে এই চৈত্র সংক্রান্তি। পুরাতনকে বিদায় ও নতুন বর্ষকে বরণ করার জন্য প্রতি বছর চৈত্র সংক্রান্তিকে ঘিরে থাকে নানা অনুষ্ঠান-উৎসবের আয়োজন। মনে করা হয়, চৈত্র সংক্রান্তিকে অনুসরণ করেই পহেলা বৈশাখ উদযাপনের এত আয়োজন।
আগামীকাল সোমবার (১৪ এপ্রিল) শুরু হবে নতুন বাংলা বর্ষ ১৪৩২। ‘জীর্ণ পুরাতন সবকিছু ভেসে যাক, মুছে যাক গ্লানি’- এই প্রার্থণায় নতুন সূর্যকে বরণ করবে বাঙালি।
চৈত্রসংক্রান্তির দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা শাস্ত্র মেনে স্নান, দান, ব্রত, উপবাস করে কাটান। নিজ নিজ বিশ্বাস অনুযায়ী অন্য ধর্মাবলম্বীরাও নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করেন।
জনশ্রুতি আছে- চৈত্র মাসে স্বামী, সংসার, কৃষি, ব্যবসার মঙ্গল কামনায় লোকাচারে বিশ্বাসী নারীরা ব্রত পালন করতেন। এ সময় আমিষ নিষিদ্ধ থাকত। জিয়ল মাছ (পানিতে জিইয়ে রাখা যায় এমন মাছ) যেমন- কৈ শিং মাগুরের ঝোল করে খেতেন তারা। থাকত নিরামিষ, শাকসবজি আর সাত রকমের তিতো খাবারের ব্যবস্থা। বাড়ির আশপাশ বিল খাল থেকে শাক তুলে রান্না করতেন গৃহিণীরা।
গ্রামের নারীরা এ সময় সাজগোছ করেন ঘরদোর। মাটির ঘর লেপন করে ঝকঝকে করেন। গোয়ালঘর পরিষ্কার করে রাখাল। সকালে গরুর গা ধুয়ে দেওয়া হয়। ঘরে ঘরে চলে বিশেষ রান্না। উন্নতমানের খাবার ছাড়াও তৈরি করা হয় নকশি পিঠা, পায়েস, নারকেলের নাড়ু। দিনভর চলে আপ্যায়ন। গ্রামের গৃহস্থরা এ দিন নতুন জামা কাপড় পরে একে অন্যের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। একসময় এমনই ছিলো চৈত্রসংক্রান্তির ধরণ।
এই দিনে ব্যবসায়ীরাও পালন করেন বছর বিদায়ের অনুষ্ঠান। শুচি ও পবিত্রভাবে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিষ্কার করে সাজানো হয় নতুনভাবে। পুরোনো হিসাব-নিকাশ শেষ করে নতুন খাতা খোলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়, যাকে বলা হয় 'হালখাতা'। নতুন বছরের প্রথম দিনে এই হালখাতা খোলা হয়, আর ক্রেতাদের আপ্যায়ন করা হয় মিষ্টান্ন দিয়ে।
এছাড়া দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চৈত্র সংক্রান্তির মেলার আয়োজন হয়। অনেক পরিবার এই উপলক্ষে মেয়ের জামাইকে আমন্ত্রণ জানিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসেন। নতুন পোশাক পরিধানের রীতিও এই উৎসবের একটি অনন্য অংশ, যা বহুদিন ধরেই প্রচলিত।
চৈত্র সংক্রান্তি উপলক্ষ্যে আজ (রবিবার) সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা হয়েছে ‘ব্যান্ড শো’র। এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবে বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্যান্ডদলগুলো।
ঢাকা/টিপু