জুলাই ২৪ এর গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে চাষাড়া শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে গণঅধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা, মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে সভাপতিত্ব করেন, জেলা গণঅধিকার পরিষদ এর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ। 

মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ বলেন, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে এদেশের ছাত্র-জনতার অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। অনেকে পঙ্গু হয়েছে, কারো চোঁখ নষ্ট হয়েছে, অনেক শহীদ হয়েছে। বর্তমান সরকার বলেছে সেই সকল ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপূরণ রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। অথচ দীর্ঘদিন পার হলেও সে সবের কোন প্রকার অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

এসব ক্ষতিপূরণের জন্য রাজপথে নামতে হয় না। আমরা বাংলাদেশী, আমরা সবাই ভাই ভাই। আমাদের সার্বভৌমত্ব আমরাই রক্ষা করবো। এদেশকে আমরা সোনার বাংলাদেশে রুপান্তর করতে চাই। গণঅধিকার পরিষদ কখনো কুরুচিপূর্ণ, বিদ্বেষপূর্ণ বা সহিংসতার রাজনীতি পছন্দ করিনা। কিন্তু ঐ ফ্যাসিষ্ট সরকার যেভাবে গত ১৭ বছর মানুষের অধিকার হরণ করেছে যার প্রতিফলন আমরা জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে দেখেছি।

এসময় অভ্যুত্থানে নিহত, আহত সহ সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে ৫ দফা দাবী উপস্থাপন করা হয়৷ এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) - নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, গণঅধিকার পরিষদ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, মহানগর গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) সাধারণ সম্পাদক রাহুল, মহানগর যুবঅধিকার পরিষদের সভাপতি শেখ সাব্বির রাজ, ওয়াসিম, জামান, লিপু, ইব্রাহিম খলিল, কামরুল, রায়হান, ওমর ফারুক এবং ছাত্র , যুব, শ্রমিক ও গণ অধিকার পরিষদ নেতৃবৃন্দ সহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

রূপায়ণ টাউন মসজিদে সংঘর্ষ ও হাতুড়িপেটা, আহত ৬

 ফতুল্লায় একটি মসজিদের খতিবকে অপসারণ করাকে কেন্দ্র করে মসজিদের ভেতরে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় দু'পক্ষের লোকজন চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি সহ একে অপরকে হাতুড়িপেটা করেন।

এতে খতিব সহ ছয়জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতে ফতুল্লার ভুঁইগড় রূপায়ন টাউন জামে মসজিদে এ ঘটনা ঘটে। ইতিমধ্যে মসজিদের ভেতরে সংঘর্ষ ও হাতুড়িপেটার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। 

রূপায়ন টাউনের বাসিন্দারা জানান, মসজিদের খতিব মাওলানা জামাল উদ্দিন বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তৎকালিন পরিচালনা কমিটির মাধ্যমে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। এরপর থেকে তিনি খতিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

স¤প্রতি স্থানীয় বিএনপির দলীয় লোকজন নতুন করে মসজিদ পরিচালনা কমিটি গঠন করেন এবং জামাল উদ্দিনকে অপসারণ করে নতুন খতিব নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেন। 

তারা আরও জানান, বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত দশটায় তারাবির নামাজ শেষে নতুন কমিটির নেতৃবৃন্দ খতিব জামাল উদ্দিনকে অপসারণের চিঠি দিলে পুরাতন কমিটির লোকজন এর প্রতিবাদ করেন। এসময় নতুন কমিটির লোকজন উত্তেজিত হয়ে তাদের উপর হামলা করলে দু'পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। 

এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের লোকজন মসজিদের ভেতরে চেয়ার ছোঁড়াছুঁড়ি সহ একে অপরকে হাতুড়িপেটা করেন। মসজিদের দরজা জানালা ভাংচুরও করা হয়। এসময় নারী সহ বেশ কয়েকজন মুসুল্লি মিলে সংঘর্ষ থামানো চেষ্টা করে ব্যর্থ হন।

এ ঘটনায় মসজিদের খতিব জামাল উদ্দিন সহ ছয়জন আহত হলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে শহরের ৩০০ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। 

শুক্রবার (২১ মার্চ) দুপুরে জুম্মার নামাজের পরে আহতরা এ ঘটনার বিচার দাবি করলে মসজিদে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে ফতুল্লা থানা পুলিশ গিয়ে দু'পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। 

এ বিষয়ে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরীফুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমি থানা পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে যাই। পরে উভয়পক্ষের সাথে আলোচনা করে পরিস্থিতি শান্ত করি।

এ ঘটনায় দু'পক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তবে বিষয়টি সমাধানের পর্যায়ে আছে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এদিকে মুসুল্লিদের একটি অংশ জানান, বিগত ১২ বছর যাবত রূপায়ণ টাউন মসজিদের খতিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন মাওলানা জামাল উদ্দিন। খতিব জামাল উদ্দিন রুপায়ণের উপদেষ্টা সাবেক কৃষকলীগ নেতা ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্রজনতা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নাজিম উদ্দীন চেয়ারম্যানের সাথে আতাত করে দীর্ঘদিন খতিবের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্য ও ভুমিকা থাকার পরেও নাজিম চেয়ারম্যান এর সাথে সখ্যতা থাকার সুবাদে অনায়াসে খতিবের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। 


সাধারণ মুসল্লিদের অভিযোগ আগস্টের পটপরিবর্তনের পর নাজিম উদ্দীন চেয়ারম্যান পালিয়ে গেলে খতিবও লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান। ৫ মাস পর হঠাৎ গত ১৪ মার্চ শুক্রবার কাউকে মুসল্লীদের না জানিয়ে আবার নামাজ পড়াতে আসেন। মুসল্লীরা তার এমন আচরণ মেনে নিতে পারেনি। তার বিতর্কিত ভুমিকার জন্য তার অপসারণ দাবী করে সাধারণ মুসল্লিরা। তারই ধারাবাহিকতায় মসজিদ কমিটি তাকে সন্মানের সহিত অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয়। কমিটির এই সিদ্ধান্ত খতিব আঁচ করতে পেরে গত বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাতেই রুপায়ণ টাউনে চলে আসে দাওয়াতের নাম করে। সাধারণ মুসল্লি ও কমিটির পক্ষে অপসারণের বিষয়টি অবহিত করতে গেলে খতিব নিজেই উস্কানীমূলক কথা বলে এবং সাথে থাকা স্বৈরাচারের দোসর নাজিম চেয়ারম্যান এর অনুগত লোকজন এবং আজমেরী ওসমানের ক্যাডার রাজ কামরুজ্জামান সহ অন্যন্য কিছু লোক মিলে  উপদেষ্টা জহিরুল ইসলামের উপর চড়াও হয় এবং তাকে লাঞ্চিত করে। একপর্যায়ে বেধড়ক মারধর করে। জহিরুল ইসলামের চিৎকারে প্রথমে এগিয়ে আসেন রুপায়ণের বাসিন্দা আবু সাইদ পাটোয়ারী রাসেল। তাকেও মারধর করে হামলাকারীরা। পরে শত শত মুসল্লিরা এগিয়ে আসলে খতিব জামাল উদ্দিন তার পালিত লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনার জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আজমেরীর ক্যাডার রাজ, কামরুজ্জামান, সাইফুল ইসলাম মামুনের  নাম উল্লেখ করে এবং  অজ্ঞাত ২০ জনকে আসামি করে করে ফতুল্লা থানায় হত্যা চেস্টার অভিযোগ দেয়।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আগামী ১০ বছর জাতীয় ঐক্য ধরে রাখতে হবে : নূর
  • গাজীপুরের সোয়েটার কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষ, ভাঙচুর 
  • সিলেটে এনসিপির ইফতার মাহফিলে হাতাহাতি
  • হামলা-ভাঙচুর মামলায় জাতীয় নাগরিক কমিটির প্রতিনিধিসহ গ্রেপ্তার ২
  • বিশিষ্টজনদের নিয়ে না’গঞ্জ মহানগরী জামায়াতের ইফতার মাহফিল  
  • সেনাবাহিনীকে জনগণের মুখোমুখি দাঁড় করানোর ষড়যন্ত্র চলছে: রাশেদ খান
  • র‍্যাব ও এপিবিএন হেডকোয়ার্টার পরিদর্শন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার
  • রূপায়ণ টাউন মসজিদে সংঘর্ষ আহত ৬
  • খুলনায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ৫ নেতার বিরুদ্ধে গণঅধিকার পরিষদ নেতার মামলা
  • রূপায়ণ টাউন মসজিদে সংঘর্ষ ও হাতুড়িপেটা, আহত ৬