আমাদের সার্বভৌমত্ব আমরাই রক্ষা করবো : নাহিদ
Published: 19th, February 2025 GMT
জুলাই ২৪ এর গণহত্যাকারীদের বিচারের দাবীতে নগরীতে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) বিকেলে চাষাড়া শহীদ মিনার সংলগ্ন সড়কে গণঅধিকার পরিষদ নারায়ণগঞ্জ জেলা, মহানগর ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। বিক্ষোভ মিছিলে সভাপতিত্ব করেন, জেলা গণঅধিকার পরিষদ এর সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ইঞ্জিনিয়ার নাহিদ বলেন, জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে এদেশের ছাত্র-জনতার অপূরনীয় ক্ষতি হয়েছে। অনেকে পঙ্গু হয়েছে, কারো চোঁখ নষ্ট হয়েছে, অনেক শহীদ হয়েছে। বর্তমান সরকার বলেছে সেই সকল ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা তৈরি করে ক্ষতিপূরণ রাষ্ট্রীয়ভাবে দেওয়ার ব্যবস্থা করবে। অথচ দীর্ঘদিন পার হলেও সে সবের কোন প্রকার অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।
এসব ক্ষতিপূরণের জন্য রাজপথে নামতে হয় না। আমরা বাংলাদেশী, আমরা সবাই ভাই ভাই। আমাদের সার্বভৌমত্ব আমরাই রক্ষা করবো। এদেশকে আমরা সোনার বাংলাদেশে রুপান্তর করতে চাই। গণঅধিকার পরিষদ কখনো কুরুচিপূর্ণ, বিদ্বেষপূর্ণ বা সহিংসতার রাজনীতি পছন্দ করিনা। কিন্তু ঐ ফ্যাসিষ্ট সরকার যেভাবে গত ১৭ বছর মানুষের অধিকার হরণ করেছে যার প্রতিফলন আমরা জুলাইয়ের অভ্যুত্থানে দেখেছি।
এসময় অভ্যুত্থানে নিহত, আহত সহ সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে ৫ দফা দাবী উপস্থাপন করা হয়৷ এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, গণঅধিকার পরিষদ (জিওপি) - নারায়ণগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, গণঅধিকার পরিষদ জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, মহানগর গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) সাধারণ সম্পাদক রাহুল, মহানগর যুবঅধিকার পরিষদের সভাপতি শেখ সাব্বির রাজ, ওয়াসিম, জামান, লিপু, ইব্রাহিম খলিল, কামরুল, রায়হান, ওমর ফারুক এবং ছাত্র , যুব, শ্রমিক ও গণ অধিকার পরিষদ নেতৃবৃন্দ সহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ মিনারে ফুল দেওয়া নিয়ে বিএনপির ২ পক্ষের হাতাহাতি, আহত ২
মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগরে শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুইজন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে উপজেলা পরিষদ চত্বরের শহীদ মিনারে ঘটনাটি ঘটে। বিজয়নগর থানার ওসি মো. রওশন আলী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
আহতরা হলেন- উপজেলার চম্পকনগর ইউনিয়নের পেটুয়াজুরি এলাকার সাজু মিয়ার ছেলে মো. বেলাল (৩৮) ও ইছাপুরা ইউনিয়নের ইছাপুরা গ্রামের মহরম আলীর ছেলে জীবন আলী (১৭)। তারা বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি রয়েছেন।
আরো পড়ুন:
বাগেরহাটে বিএনপির দু’গ্রুপে সংঘর্ষে আহত নেতার মৃত্যু
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় কুয়েট প্রশাসনের মামলা
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, উপজেলায় বিএনপির দুইটি পক্ষ রয়েছে। এক পক্ষে আছেন জমির দস্তগীর ও ইমাম হোসেন। অপর পক্ষে রয়েছেন মহসিন ভূইয়া ও শাহালম মিয়া। একুশের প্রথম প্রহরে উপজেলা পরিষদের ভেতরের শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরা। এরপর বিএনপি শহীদ মিনারে ফুল দিতে যায়। আগে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে দলটির দুই পক্ষের নেতাকর্মীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এসময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে দুইজন আহত হন।
জমির ও ইমাম হোসেন এবং মহসিন ভূইয়া ও শাহালম মিয়ার মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তারা কল রিসিভ করেননি।
ইছাপুরা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এনাম খাঁ বলেন, “শহীদ মিনারে ফুল দিতে গিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত যে ঘটনাটি ঘটেছে তার জন্য আমরা খুবই দুঃখিত এবং মর্মাহত। এই ঘটনার জন্য দায়ী তারা যারা আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করার জন্য বিএনপির মধ্যে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছেন এবং তাদের দাওয়াত দিয়ে শহীদ মিনারে এনেছেন। এই আওয়ামী লীগের লোকগুলােই সুযোগ পেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটিয়েছে। সিসিটিভি ফুটেজ এবং মোবাইলে ধারণকৃত ভিডিও দেখে প্রত্যেক আওয়ামী লীগের সদস্যকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানাচ্ছি।”
এ বিষেয়ে জানতে বিজয়নগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাধনা ত্রিপুরার মোবাইলে কল করা হয়। তিনিও কল রিসিভ করেননি।
বিজয়নগর থানার ওসি মো. রওশন আলী বলেন, “শহীদ মিনারে ফুল আগে পরে দেওয়াকে কেন্দ্র করে ঘটনাটি ঘটে। দুইজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ