সিগন্যাল দেওয়ায় পুলিশকে অটোরিকশায় ঝুলিয়ে আধা কিলোমিটার নিয়ে গেলেন চালক
Published: 19th, February 2025 GMT
মহাসড়কে দাঁড়িয়ে একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা থামাতে সিগন্যাল দেন হাইওয়ে পুলিশের এক কনস্টেবল। চালক অটোরিকশা থামিয়ে কৌশলে কনস্টেবলকে তাতে উঠিয়ে ঝুলিয়ে রাখেন। ঝুলন্ত অবস্থায় অটোরিকশা চালিয়ে যান প্রায় আধা কিলোমিটার। গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনাবাজার এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বুধবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।
এই ঘটনায় অটোরিকশা চালককে আটক করেছে পুলিশ। ওই কনস্টেবলের নাম কমল চন্দ্র। তিনি মাওনা হাইওয়ে থানায় কর্মরত। অপরদিকে আটক অটোরিকশা চালক জনি আহমেদ (২৪) ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি গ্রামের মো.
ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার সামনের ডান পাশে বিপজ্জনকভাবে ঝুলে আছেন ওই কনস্টেবল। খুব দ্রুত চলছিল অটোরিকশাটি। কনস্টেবল বারবার রিকশা থামাতে অনুরোধ করলেও চালক থামাচ্ছিলেন না। একপর্যায়ে যানজটে পড়ে বাধ্য হয়ে থেমে যায়। এরপর কনস্টেবল ও স্থানীয় লোকজন ওই চালককে আটক করে।
কমল চন্দ্র ঘটনার বর্ণনায় বলেন, হাইওয়েতে অবৈধভাবে চলাচল করা ওই ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাকে তিনি হাতের ইশারায় থামাতে চেষ্টা করেন। এর পর রিকশাটি থামালে তিনি সেটির সামনের অংশে পা রেখে উঁকি দিয়ে চাবি খুলছিলেন। এমন সময় হঠাৎ চালক গাড়ি চালাতে শুরু করেন।
মাওনা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আইয়ুব আলী জানান, এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা একটি দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। রাতেই মামলা হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: হ ইওয
এছাড়াও পড়ুন:
গাজীপুরে কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে শ্রমিকদের বিক্ষোভ
অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে গাজীপুর মহানগরীর চান্দনা এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকেরা। আজ শনিবার সকাল আটটার দিকে চৌরাস্তা–সংলগ্ন বর্ষা সিনেমা হলের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এতে মহাসড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রী, চালক ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
আজ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পুলিশ ধাওয়া দিলে শ্রমিকেরা সড়ক থেকে সরে যান। এতে এলাকাটিতে আবার যান চলাচল স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
এর আগে জায়ান্ট নিট ফ্যাশন লিমিটেড নামের কারাখানাটি বন্ধ ঘোষণা করে আজ সকালে বিজ্ঞপ্তি দেয় কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, সার্বিক নিরাপত্তা, কারখানার সম্পত্তি ও জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী ১৩ (১) ধারা মোতাবেক কারখানাটি অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
পুলিশ ও শ্রমিকেরা বলেন, প্রতিদিনের মতো আজ সকালেও শ্রমিকেরা কারখানার কাজে যান। পরে সেখানে গিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের বিজ্ঞপ্তি দেখতে পান। বিষয়টির প্রতিবাদ জানিয়ে সকাল আটটা থেকে কারখানাটির শ্রমিকেরা বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রথমে তাঁরা জয়দেবপুর-ঢাকা রোড অবরোধ করেন। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে ভোগড়া বাইপাসের দিকে এগিয়ে গেলে চান্দনা চৌরাস্তা ও চৌধুরী বাড়ি এলাকার কয়েকটি কারখানা ছুটি দেওয়া হয়। পরে জায়ান্ট নিট ফ্যাশনের শ্রমিকেরা চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় বর্ষা সিনেমা হলের সামনে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন।
কারখানার শ্রমিকেরা বলেন, ২০ মার্চ ওই কারখানার শ্রমিকেরা ঈদ বোনাস ও ১০ দিনের ছুটির দাবিতে কর্মবিরতি পালন করেন। এ ছাড়া শ্রমিকেরা উত্তেজিত হয়ে চার কর্মকর্তাকে মারধর করেন। এ ঘটনায় যৌথ বাহিনী চার শ্রমিককে আটক করে পরে ছেড়ে দেন।
গাজীপুর শিল্প পুলিশ-২–এর পুলিশ সুপার এ কে এম জহিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় আশপাশের ৮-১০টি কারখানা আজকের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।