বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্ট এবং রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, “বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল কলাগাছ নয়, যে পিঠ লাগালে ঠান্ডা লাগবে। এই দল শহীদ জিয়ার নেতৃত্বে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়ে পাকিস্তানী বাহিনীকে পরাজিত করে লাল সবুজের পতাকা অর্জন করেছে। এখনো স্বৈরাচারের মদদে আছেন, তাদের বলতে চাই, শহীদ জিয়ার সৈনিকরা বাংলাদেশের অতন্ত্র প্রহরী।”

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৩টায় কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির উদ্যোগে কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং ডি-ব্লকের একতা মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদ এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণার দাবিতে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে মিজানুর রহমান মিনু বলেন, “সব তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়েছে। আপনারা সেই পথেই হাটুন, তা না হলে কোনো বিপর্যয় যদি হয়, তাহলে তার দায় দায়িত্ব আপনাদের এই সরকারকেই নিতে হবে।”

আরো পড়ুন:

‘সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে মানুষের মনে সন্দেহ ঢুকেছে’

ইন্দ্রজিত সাহা
মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প চালু করেছিল বিএনপি সরকার

কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহম্মেদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকারের পরিচালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুম, বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, রেজা আহম্মেদ বাচ্চু মোল্লা, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী ও ফরিদা ইয়াসমিন। এসময় বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকা/কাঞ্চন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ব এনপ সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

ট্রাক থেকে ঝরে পড়া বালুর স্তর সড়কে

তাহেরুল ইসলাম একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক, বাইসাইকেল চালিয়ে শহরের রেলগেট থেকে সাঁড়াগোপালপুরে নিজ বাড়ি ফিরছিলেন। পথে ট্রাক থেকে রাস্তায় ঝরে পড়া বালুর আস্তরণে চাকা পিছলে ইজিবাইকের ধাক্কায় উল্টে গিয়ে পড়েন রাস্তার পাশে পাতিবিলের কিনারায়। অল্পের জন্য তিনি পানিতে পড়ে যাওয়ার হাত থেকে রক্ষা পান। অন্য যানবাহনের যাত্রীরা তাঁকে তুলে পাঠান বাড়িতে।
ঈশ্বরদীর টিপু সুলতান, উপজেলা, পাকশি পেপার মিল, ইপিজেডসহ বিভিন্ন সড়কে প্রতিদিন এমন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যানবাহন। এতে শিক্ষক তাহেরুলের মতো বিপদে পড়ছেন অনেকে। জানা গেছে, বালু বহনকারী ট্রাক, ডাম্প ট্রাক ও ট্রাক্টর থেকে ঝরে পড়া বালু রাস্তায় জমতে জমতে পুরু আস্তরণ তৈরি হয়েছে। 
এসব সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। সরেজমিনে জানা গেছে, পদ্মা নদী থেকে ট্রাকে সড়কপথে বহন করা বালু ঝরে পড়ে বিভিন্ন সড়ক এখন বালুময় হয়ে গেছে। পাকা সড়ক ঢাকা পড়েছে বালুর আস্তরণে। চাকা পিছলে দুর্ঘটনায় পড়ছে যানবাহন।
টিপু সুলতান রোডে চলাচলকারী ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলাম বলেন, এমনিতে এ সড়ক ভাঙা। এরই মধ্যে অতিরিক্ত ওজনের বালু বহন করায় ঝাঁকুনিতে ঝরে পড়ে। এতে বালু জমে সড়ক ঢাকা পড়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যাচ্ছে। ইজিবাইকচালক বদরুল আলমের ভাষ্য, বালুতে চাকা পিছলে প্রায়ই দুর্ঘটনায় পড়তে হচ্ছে। বালু না সরানো হলে এবং ট্রাকে অতিরিক্ত ভার বহন বন্ধ করা না হলে এ অবস্থার সমাধান হবে না।
পদ্মা নদী থেকে বালু ভর্তি করে নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছাতে পৌঁছাতে এক থেকে দেড় ফুট বালু সড়কে ঝরে পড়ে বলে জানান ট্রাকচালক জামাল হোসেন। আরেক চালক সামসুল আলম বলেন, ভাঙা সড়কের কারণে বারবার অতিরিক্ত ঝাঁকুনিতে ট্রাক থেকে বালু ঝরে পড়ে। বাধ্য হয়ে নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে বেশি বালু লোড করতে হচ্ছে। এতে গন্তব্যে পৌঁছানো পর্যন্ত ঝরে পড়ার পরও ট্রাকের আকার অনুযায়ী বালু থাকে।
ইউএনও সুবীর কুমার দাশ বলেন, বালুতে সড়কে এমন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, তা জানা ছিল না। ট্রাফিক বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলাবিষয়ক সভায় বিষয়টি আলাপ করে সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  

সম্পর্কিত নিবন্ধ