ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন এলাকার পাঁচটি স্থাপনা থেকে শেখ পরিবারের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে। এই পাঁচ স্থাপনার মধ্যে দুটি সড়ক, দুটি পার্ক ও একটি সেতুর নাম রয়েছে। এ ছাড়া শাহবাগে অবস্থিত শিশুপার্কের নাম শহীদ জিয়া শিশুপার্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে।

আজ বুধবার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সর্বোচ্চ ফোরাম তথা বোর্ড সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় এসব স্থাপনার নাম পরিবর্তনের সুপারিশ করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়েছে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা রাসেল রহমান।

পরে যোগাযোগ করা হলে রাসেল রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, সব মিলিয়ে ১০টি স্থাপনার নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণের সুপারিশ করা হয়েছে। এই সুপারিশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে।

দক্ষিণ সিটির পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজকের বোর্ড সভায় রায়ের বাজার স্লুইসগেট থেকে পোস্তগোলা ব্রিজ পর্যন্ত ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ ফজলুল হক মণি সরণি’র নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘ইনার রিং সড়ক’, কামরাঙ্গীরচরে  ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল সরণি’র নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘ঝাউচর প্রধান সড়ক’, ‘শহীদ শেখ রাসেল শিশুপার্ক’–এর নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘কলাবাগান শিশুপার্ক’, যাত্রাবাড়ীর ‘শহীদ শেখ রাসেল শিশু পার্ক’–এর নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘যাত্রাবাড়ী শিশুপার্ক’, কামরাঙ্গীর চর এলাকায় ‘মেয়র শেখ তাপস সেতু’র নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘কামরাঙ্গীরচর ব্রিজ’ করা হয়েছে।

এ ছাড়া শাহবাগের ‘হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী শিশুপার্ক’–এর নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘শহীদ জিয়া শিশুপার্ক’, ‘মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’–এর নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘গেন্ডারিয়া সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’, ‘মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন পার্ক’–এর নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘সরাফতগঞ্জ পার্ক’, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো.

কামরুল ইসলাম সরণি’র নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘কামরাঙ্গীরচর লোহারপুল-বুড়িগঙ্গা সড়ক’ এবং ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মো. কামরুল ইসলাম সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’–এর নাম পরিবর্তন করে আগের নাম ‘কামরাঙ্গীরচর সামাজিক অনুষ্ঠান কেন্দ্র’ করার সুপারিশ করা হয়েছে।

সভায় নাগরিকদের চলাচল নির্বিঘ্ন ও স্বাচ্ছন্দ্যময় করতে পবিত্র রমজান মাসের আগেই বিভিন্ন রাস্তায় সৃষ্ট পিটহোলগুলো মেরামতের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।

সভার সমাপনী বক্তব্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক  মো. শাহজাহান মিয়া বলেন, জুলাই-আগস্টে ছাত্র–জনতার গণ–অভ্যুত্থান পরবর্তী নতুন জনপ্রত্যাশা সৃষ্টি হয়েছে। সীমিত সম্পদ সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সঙ্গে ব্যবহারের মাধ্যমে এই জনপ্রত্যাশা পূরণে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।  

সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান, সংস্থাটির সচিব মোহাম্মদ বশিরুল হক ভূঁঞাসহ করপোরেশনের সব বিভাগীয় প্রধান এবং আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ম জ ক অন ষ ঠ ন ক ন দ র র স প র শ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মঙ্গোলিয়ায় দুই নখের বিরল ডাইনোসরের জীবাশ্মের সন্ধান

এশিয়ার দেশ মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমি থেকে দুই নখের বিরল প্রজাতির ডাইনোসরের সন্ধান পেয়েছেন গবেষকেরা।

গবেষকেরা জানান, দুনোয়চুস সোগতবাতারি নামের অনন্য এ প্রজাতি থেরিজিনোসরস ডাইনোসরদের দলভুক্ত। এই প্রজাতির ডাইনোসর পেছনের পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়াত। সাধারণত এ প্রজাতির ডাইনোসরের তিনটি নখ ছিল।

সন্ধান পাওয়া ডাইনোসরের জীবাশ্মটি মাঝারি আকারের। এই ডাইনোসরের আনুমানিক ওজন ২৬০ কেজি।

আরও পড়ুনযুক্তরাজ্যে সাড়ে ১৬ কোটি বছর আগের ডাইনোসরের ২০০টি পায়ের ছাপের সন্ধান১৪ জানুয়ারি ২০২৫

গবেষকেরা ধারণা করছেন, এই ডাইনোসরের লম্বা আর বাঁকানো নখ প্রজাতিটিকে দৃঢ়ভাবে গাছের ডাল বাঁকাতে ও আঁকড়ে ধরতে দক্ষ করে তুলেছিল।

গবেষণা প্রতিবেদনের লেখকদের একজন এবং কানাডার ক্যালগেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক দারলা জেলেনিটস্কি বলেন, এ প্রজাতির ডাইনোসর দেখতে বিশাল আর অদ্ভুত। ‘জুরাসিক ওয়ার্ল্ড ডমিনিয়ন’ চলচ্চিত্রে এ প্রজাতিকে দেখানো হয়েছে।

মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমির বায়ানশিরি গঠনে জীবাশ্মটির সন্ধান মিলেছে। এটা ক্রিটেসিয়াস যুগের শেষ ভাগের। ১০ কোটি ৫ লাখ বছর থেকে ৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগের সময়কালকে এ যুগ ধরা হয়।

আরও পড়ুনডাইনোসর ফিরিয়ে আনতে চান বিজ্ঞানীরা২৫ নভেম্বর ২০২৪

জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থার (ইউনেসকো) পক্ষ থেকে মঙ্গোলিয়ার গোবি মরুভূমিকে বিশ্বে ডাইনোসরের জীবাশ্মের সবচেয়ে বড় আধার বলে চিহ্নিত করা হয়েছে।

এ অঞ্চল পরবর্তী ক্রিটেসিয়াস যুগের জীবাশ্মের একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এটিকে ডাইনোসর যুগের প্রধান তিন সময়কালের শেষ ভাগ ধরা হয়, যা ডাইনোসর বিবর্তনের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রতিনিধিত্ব করে।

গবেষণায় দেখা গেছে, প্রায় এক ফুট লম্বা নখগুলো এ প্রজাতির ডায়নোসরের কিছু হাড়ের চেয়ে বড়। এই নখ গাছের ডাল আঁকড়ে ধরার পাশাপাশি মাটি খোঁড়া ও ভয়ংকর অস্ত্র হিসেবেও ব্যবহার হয়ে থাকতে পারে। এই নখ ডাইনোসরের প্রতিরক্ষা, চলাচল আর শিকার ধরার জন্য সহায়ক ছিল।

আরও পড়ুননিলামে উঠছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ডাইনোসরের কঙ্কাল, দাম কত জানেন১৫ জুলাই ২০২৪

সম্পর্কিত নিবন্ধ