পাকিস্তানে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি শুরুর দিনেই বন্দুকধারীর হামলা, পুলিশ কর্মকর্তা নিহত
Published: 19th, February 2025 GMT
আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি দিয়ে ২৯ বছর পর কোনো বৈশ্বিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট আয়োজন করছে পাকিস্তান। দেশটিতে প্রায় তিন দশক ক্রিকেটের বড় আসর না হওয়ার মূল কারণ বড় দলগুলোর নিরাপত্তা–শঙ্কা।
রাজনৈতিক বৈরিতার পাশাপাশি নিরাপত্তাহীনতাকে সামনে এনে ভারত পাকিস্তানে না গেলেও অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলো ঠিকই সেখানে খেলতে গেছে। কিন্তু আজ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির উদ্বোধনী দিনে পাকিস্তানে যে নাশকতার ঘটনা ঘটল, তা ক্রিকেট বিশ্বকে দেশটির নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে আবারও নেতিবাচক বার্তা দিতে বাধ্য।
করাচিতে স্থানীয় সময় দুপুরে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির নবম আসরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি। বিকেলেই বার্তা সংস্থা এএফপি খবর দিল, দেশটির বাজাউর জেলায় বন্দুকধারীদের গুলিতে এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।
বন্দুকধারীদের হামলায় নিহত হয়েছেন পাকিস্তানের এক পুলিশ কর্মকর্তা.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিতে চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি
হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার এবং চাকরিতে পুনর্বহালের দাবিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে স্মারকলিপি দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা–কর্মচারী।
বৃহস্পতিবার ২৮ হাজার ৩০৭ কর্মীর সই করা এক হাজার ৪২৮ পৃষ্ঠার এই স্মারকলিপি উপদেষ্টার দপ্তরে জমা দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়, সংস্কার দাবির কারণে মাঠপর্যায়ে কোনো কর্মসূচি না থাকা সত্ত্বেও গত ১৬ অক্টোবর পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) ১০ জন কর্মকর্তাকে বিনা নোটিশে চাকরিচ্যুত করে। একই দিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পরদিন সকাল থেকে শুরু হয় কর্মকর্তাদের গ্রেপ্তার এবং আরও ১৪ জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এই ঘটনায় সমিতির কর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশার জন্ম দেয়, যার ফলে কিছু এলাকায় সাময়িক বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটে।
স্মারকলিপি আরও বলা হয়, আরইবি এখনও মামলা, চাকরিচ্যুতি, বদলি, সাসপেন্ড বিভিন্ন হয়রানিমূলক পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। শুধু স্মারকলিপিতে সই দেওয়ার কারণেও সম্প্রতি মাদারীপুর ও রাজশাহীর কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রায় অর্ধশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সংযুক্ত করে তদন্তের নামে হয়রানি ও শাস্তি দেওয়ার চেষ্টা চলছে। চাকরি হারিয়ে, মামলা ও জেল-জুলুমের শিকার হয়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে। এমনকি ক্ষতিগ্রস্তদের ছেলেমেয়ের পড়াশোনাও চরমভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে। এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি সমিতির ৩০ হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারীর সই করা স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। কিন্তু কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্মারকলিপিতে মামলা প্রত্যাহার ও চাকরিচ্যুতদের পুনর্বহালের দাবি জানানো হয়েছে।