Risingbd:
2025-04-22@12:56:57 GMT

গ্লেন ‘জন্টি’ ফিলিপস

Published: 19th, February 2025 GMT

গ্লেন ‘জন্টি’ ফিলিপস

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শুরুর ম্যাচে নিউ জিল্যান্ডের গ্লেন ফিলিপস নিজেকে চেনা রূপে দেখালেন।

দুর্দান্ত ফিল্ডিং বরাবরই নজরে থাকেন ফিলিপস। একেবারেই সহজাত অ্যাথলেট। সবুজ ঘাসে তার লাফালাফি, উড়ন্ত দৃশ্যর ছবি বারবারই দেখেছেন ক্রিকেট সমর্থকরা। সীমানায় অস্বাভাবিক কিছু ক্যাচ নেওয়া, সাধ্যের বাইরে গিয়ে চেষ্টা করা, রান বাঁচানো, রান আউটে দুর্দান্ত থ্রোতে ফিলিপস বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা ফিল্ডারদের এক জন।

বুধবার করাচিতেও এমন কিছুর সাক্ষী হলেন ক্রিকেটপ্রেমিরা। পাকিস্তানের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ানকে ফেরাতে ফিলিপস দারুণ এক ক্যাচ নিলেন। নিজের বিপরীত দিকে লাফিয়ে এক হাতে দৃষ্টিনন্দন ক্যাচ নেন। চোখের পলকেই বাজিমাত করলেন বাজপাখি ফিলিপস। তার এই ক্যাচ মনে করিয়ে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকার সর্বকালের অন্যতম সেরা ফিল্ডার জন্টি রোডসের কথা। তাইতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউড় হয়েছে, ফিলিপস ‘জন্টি’ রোডস।

আরো পড়ুন:

নারী ডিপিএল
মোহামেডানের হারের দিন আবাহনীর জয়, সান্দিহার ৬ উইকেট

ভারত-বাংলাদেশ: উত্তেজনা এক পাশে রেখে সবার মনোযোগ মাঠে

পেসার উইল ও’রুর্কের অফস্টাম্পের বাইরের বল কাট করেছিলেন রিজওয়ান। বল তার ব‌্যাটে টাইমিং হয়েছিল ভালোভাবেই। পয়েন্ট দিয়ে বেরিয়ে যেত অতি সহজেই। কিন্তু ওখানে রান বাঁচানোর দায়িত্বে থাকা ফেলেপস তো ছিলেন। চোখের পলকে বল আটকে দেন বাঁহাতে। বাঁদিকে ঝাপিয়ে বল তালুবন্দি করেন সেকেন্ড ব‌্যবধানে। স্তব্ধ হয়ে ক্রিজে দাঁড়িয়ে থাকা ছাড়া কিছু করার ছিল না রিজওয়ানের।

স্টেডিয়ামের সমর্থকরাও বিশ্বাস করতে পারছিলেন না কি হয়েছিল? তবে করতালিতে ফিলিপসকে অভিনন্দন জানাতে ভুল করেননি। তার এই ক‌্যাচ সত‌্যিই মনে করিয়ে দেয় কিংবদন্তি জন্টি রোডসের ক্ষীপ্রতা, দক্ষতাকে। ফিলিপস যেন তার ছায়া হয়ে করাচি মাতিয়ে যাচ্ছেন।

ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

পৃথিবীর জন্য আশার বাতিঘর হতে চায় বাংলাদেশ: প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশকে পৃথিবীর জন্য আশার বাতিঘর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে চান প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।

বিশ্ববাসীর উদ্দেশে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমরা পৃথিবীর জন্য আশার এক বাতিঘর হিসেবে দাঁড়াতে চাই এবং আমাদের বন্ধু ও অংশীদারদের আহ্বান জানাই, অন্তর্ভুক্তিমূলক সামাজিক চুক্তি পুনর্লিখনের জন্য, পাশাপাশি সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং মাইক্রোফাইন্যান্সের ভূমিকা অন্বেষণ করতে, যা প্রান্তিক জনগণের জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়ক।’

আজ মঙ্গলবার কাতারের রাজধানী দোহায় ‘আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, বাংলাদেশ এখন এমন এক অবস্থায় দাঁড়িয়ে, যেখানে একটি নতুন সামাজিক চুক্তি করার সুযোগ এসেছে। এটি এমন এক চুক্তি, যেখানে রাষ্ট্র ও জনগণ, বিশেষ করে যুবসমাজ, অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যবস্থা, ঐতিহ্য, ন্যায়বিচার, মর্যাদা ও সুযোগের ভিত্তিতে একটি ভবিষ্যৎ একত্রে গড়ে তুলবে। যেখানে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি ও প্রান্তিক জনগণের ক্ষমতায়ন মৌলিক বিষয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

প্রধান উপদেষ্টা তাঁর বক্তব্যে একটি সহনশীল, সমৃদ্ধ ও টেকসই ভবিষ্যতের স্বপ্নের কথা উল্লেখ করেন।

উন্নয়নকে বিপথে ঠেলে দিতে পারে, এখনো এমন নানা হুমকি রয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আমরা এমন এক সময় পার করছি, যেখানে বহুপাক্ষিকতা হুমকির মুখে, জলবায়ু পরিবর্তন দ্রুততর হচ্ছে, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে এবং মানবিক সংকট গভীরতর হচ্ছে। নতুন নতুন নীতিমালা, প্রযুক্তি ও শাসনপদ্ধতি আমাদের পৃথিবীকে দ্রুত রূপান্তরিত করছে, যা অতীতের অনেক অনুমানকে অচল করে দিচ্ছে।’

এমন প্রেক্ষাপটে সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এখন আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতার পুনরুজ্জীবনের প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি।

অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘আসুন আমরা সাহসী হই। একটি এমন পৃথিবী গড়ি, যেখানে কেউ এতটা দরিদ্র না হয় যে সে স্বপ্ন দেখতে না পারে এবং কোনো স্বপ্ন এত বড় না হয় যে তা অর্জন করা যায় না।’

আরও পড়ুনদোহায় পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা৯ ঘণ্টা আগে

ভবিষ্যৎ গড়ার ক্ষেত্রে সবার ভূমিকা প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘ভবিষ্যৎ এমন কিছু নয়, যা আমরা উত্তরাধিকার হিসেবে পাই। এটি এমন কিছু, যা আমরা তৈরি করি এবং আমাদের প্রত্যেকেরই এতে একটি করে ভূমিকা রয়েছে।’

অধ্যাপক ইউনূস তাঁর মূল বক্তব্যে সামাজিক ব্যবসা, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং ক্ষুদ্রঋণের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য টেকসই উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরির ওপর গুরুত্ব দেন।

দোহায় আজ শুরু হয়েছে দুই দিনব্যাপী আর্থনা শীর্ষ সম্মেলন। সম্মেলনের এবারের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘আমাদের উত্তরাধিকার গড়ে তোলা: স্থায়িত্ব, উদ্ভাবন ও ঐতিহ্যবাহী জ্ঞান’।

আরও পড়ুনপ্রধান উপদেষ্টার কাতার সফরে গুরুত্ব পাবে কী কী ২১ এপ্রিল ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ